ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

কুমিল্লায় প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি ॥ ওসির প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২০ জানুয়ারি ২০১৭

কুমিল্লায় প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি ॥ ওসির প্রতিবেদন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কুমিল্লা জেলার বাঙ্গরা থানার প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি বলে প্রতিবেদন দিয়েছেন ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। বৃহস্পতিবার এফিডেভিট আকারে হাইকোর্টে দাখিল করা পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনায় এজাহারে নাম থাকা পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাছাড়া ভুক্তভোগীর জবানবন্দীতে এসেছে ধর্ষণ নয়, এখানে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের দাখিলকৃত প্রতিবেদনটি আগামী ২১ জানুয়ারি রবিবার সংশ্লিষ্ট আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন, ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। ‘কুমিল্লার বাঙ্গরা : বোনকে ধর্ষণ ভাইকে কোপ থানায় সালিশ’ এমন শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ঘটনায় অভিযুক্তকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারে ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে ধর্ষণের মতো আপোষ অযোগ্য অভিযোগ সালিশের মাধ্যমে মীমাংসার উদ্যোগ কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন আদালত। গ্রেফতার বিষয়ে অগ্রগতি আগামী ১৯ জানুয়ারির মধ্যে জানাতে কুমিল্লার পুলিশ সুপার ও বাঙ্গরা থানার ওসিকে জানাতে বলা হয়। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার এই পুলিশ প্রতিবেদনটি জমা দেয়া হয়। আদালত সেদিনই এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ২১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ৭ জানুয়ারি ‘কুমিল্লার বাঙ্গরা : বোনকে ধর্ষণ ভাইকে কোপ থানায় সালিশ’ শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদন সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী মুজিবুর রহমান নজরে আনলে এ আদেশ দেন আদালত। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বোনকে ধর্ষণের প্রতিবাদ করায় ভাইকে কুপিয়েছে বখাটে যুবক। পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। পুলিশ গত ছয় দিনেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। শনিবার কুমিল্লার বাঙ্গরা থানায় এ নিয়ে সালিশ বসার কথা রয়েছে। আইন অনুযায়ী এ ধরনের ঘটনা সালিশে মীমাংসা করা যায় না। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ২৩ ডিসেম্বর গ্রামের পাশে একটি ব্রিকস ফিল্ডে প্রতিবন্ধী মেয়েকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন করে প্রতিবেশী নজরুল (৩০)। সে ওই গ্রামের কুদ্দুছ মিয়ার ছেলে। এ সময় স্থানীয় কয়েক যুবক বখাটে নজরুলকে হাতেনাতে ধরে। কিন্তু প্রভাবশালী হওয়ায় তারা কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
×