ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রবাসী হত্যা

পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি

প্রকাশিত: ০৬:০১, ১৯ জানুয়ারি ২০১৭

পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় এসে ঘরে ফেরার পথে প্রবাসী যুবক নিহত হওয়ার ঘটনায় পুুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বললেও কোন ধারণা পাচ্ছে না এ হত্যার মোটিভ সম্পর্কে। এদিকে বুধবার ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুক ইয়াসিন জনকণ্ঠকে জানান, এখনও শফিকুল ইসলামের পরিবারের লোকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়নি। লাশ দাফনের পর তারা রাতেই আবার থানায় এসে জবানবন্দী দেবেন। এ হত্যার ক্লু সম্পর্কে তারাই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে পারেন। কেননা নিহতের মরদেহের পাশে পড়ে থাকা ব্যাগে তেমন দামী জিনিস পাওয়া যায়নি। যদি কোন মোবাইল ফোনও থাকত তাহলেও কল লিস্টের সূত্র ধরে জানা যেত সর্বশেষ কার কার সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। এ অবস্থায় এখন জানতে হবে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় শফিকুল ইসলাম স্বজনদের সঙ্গে কোন তথ্যাদি বিনিময় করেছেন কিনা। এদিকে নিহতের পারিবারিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, গাজীপুর রেলওয়ের যে স্থান থেকে শফিকুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে তার পাশেই পড়ে ছিল ব্যাগ। ব্যাগের ভেতরে মূল্যবান কোন জিনিসপত্র না থাকায় সন্দেহ করা হচ্ছে তিনি ডাকাত বা ছিনতাইকারীর পাল্লায় পড়েছেন। এতদিন পর শফিক মালয়েশিয়া থেকে ঘরে ফিরেছেন অথচ তার ব্যাগে কোন ধরনের ন্যূনতম মালামাল সামগ্রী, মোবাইল ফোন বা টাকা-পয়সা ছিল না, এটা অবিশ্বাস্য। এসব ছিনতাইয়ের লক্ষ্যেই তাকে ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হতে পারে। পুলিশ জানায়, শফিকুল ইসলাম মালয়েশিয়ান এক তরুণীকে বিয়ে করেছেন। তিনি স্ত্রীর পাসপোর্ট ও অন্যান্য কাগজপত্র তৈরি করার জন্যই ঢাকায় এসেছিলেন। হতে পারে সেজন্য তেমন কোন মালামাল আনেননি। তবে একটা ক্লু পাওয়া যেতে পারে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে। তিনি যদি ফোন এনে থাকেন আর সেটা খোয়া যায়, তাহলে এটা ছিনতাইয়ের ঘটনা বলে যথেষ্ট জোর দেয়া সম্ভব। এদিকে শফিকুল ইসলাম কোন ট্রেনে ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে কখন রওনা হন সেটাও জানাতে পারেনি পুলিশ। ট্রেনের সময়সূচী জানা গেলে ঘটনার সময় সম্পর্কেও নিশ্চিত হতে পারত পুলিশ। শফিকুল (৩৮) সোমবার রাতে কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। ইমিগ্রেশনের কাজ সেরে তিনি যথারীতি বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে চলে যান বিমানবন্দর রেল স্টেশনে। সেখান থেকে তিনি ট্রেনে চেপে নিজ এলাকা সিরাজগঞ্জ রওনা হন। পথিমধ্যে মালামাল লুট করে চলন্ত ট্রেন থেকে তাকে ফেলে হত্যা করা হয় বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা। মঙ্গলবার সকালে রেলওয়ে পুলিশ গাজীপুর মহানগরের হায়দারাবাদ এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী রেলরুটের রেললাইনের পাশ থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করে।
×