ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইনজুরিতে ইমরুল

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭

ইনজুরিতে ইমরুল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে শুধু ইনজুরি নিয়ে দুঃসংবাদই মিলছে। বাংলাদেশ ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজুর রহমান পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় তিন ওয়ানডের মধ্যে দুটি ও তিন টি২০ ম্যাচের মধ্যে দুটি টি২০ ম্যাচ খেলতে পেরেছেন। টেস্ট সিরিজেতো নেই তিনি। প্রথম ওয়ানডের পর আবার মুশফিকুর রহীম ইনজুরিতে পড়েছেন। সেই ইনজুরি কাটিয়ে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৫৯ রানের ইনিংস খেলতে গিয়ে আবারও ইনজুরিতে পড়েছেন। এবার প্রথম টেস্টের চতুর্থদিনে ব্যাট করার সময় দ্রুত রান নিতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়লেন ওপেনার ইমরুল কায়েস। কি সুন্দর খেলছিল বাংলাদেশ। চতুর্থদিনে যেই ইমরুল কায়েস দ্রুত রান নিতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়লেন, বাঁ উরুতে ব্যথা পেলেন, তাতে ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ হলেন; বাংলাদেশও যেন এলোমেলো হয়ে গেল। ৪৬ রানের সময় ইমরুল রিটায়ার্ড হার্ট হলেন। চার রান যোগ হতেই ওপেনার তামিমও সাজঘরে ফিরলেন। দেখতে দেখতে ৫০ থেকে ৬৬ রানের মধ্যে, ১৬ রানে তিন উইকেটের পতন ঘটে গেল বাংলাদেশের। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও ‘নাইট ওয়াচম্যান’ হিসেবে নামা মেহেদী হাসান মিরাজও আউট হয়ে গেলেন। তবে সবচেয়ে বেশি দুঃসংবাদ হয়ে ধরা দিল ইমরুলের ইনজুরিই। দুই ওপেনার তামিম ও ইমরুল মিলে যে দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিলেন, ইমরুলের ইনজুরিতে তাতে ছেদ পড়ল। বাংলাদেশও যেন বিপদের শঙ্কায় পড়ে গেল। ইমরুল ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ হয়েছেন। শেষে গিয়ে আজ প্রয়োজনে ব্যাটিংও করতে পারবেন। তবে স্বাচ্ছন্দ্যভাবে কি আর ব্যাটিং করতে পারবেন ইমরুল। এমনওতো হতে পারে, ইমরুল ব্যাটিংই করতে পারলেন না। সেই রকম ইঙ্গিতই মিলছে। যতদূর বোঝা যাচ্ছে, ইমরুল আর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটই করতে পারবেন না। ইনজুরিতে পড়া মুশফিকুর রহীমের বিকল্প হিসেবে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে পুরোটা সময় উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন ইমরুল। ১৪৮.২ ওভার উইকেটের পেছনে দায়িত্ব পালন করেন ইমরুল। লম্বা সময় অনভ্যস্ত কাজটিই করে যান। এর প্রভাবই পড়ে ব্যাটিংয়ে। নিউজিল্যান্ডের ইনিংস শেষ হতেই ব্যাটিংয়ে নামেন। ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করতেও থাকেন। কিন্তু ইনজুরিতে পড়ে ২৪ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করে ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ হন এ ব্যাটসম্যান। সারাক্ষণ উইকেটের পেছনে একটানা ফিল্ডিং করার যে ধকল তা কাটিয়ে উঠতে পারেননি ইমরুল। ক্লান্তি ধরে যায়। শুরুতে তা বোঝা না গেলেও পরে গিয়ে স্পষ্ট হয়। একটু দ্রুত রান নিতে গিয়েই ঝামেলা বাধে। ১৩তম ওভারের পঞ্চম বলে পয়েন্টে বল ঠেলে দিয়েই এক রান নিতে দৌড়ান তামিম। ইমরুলও দ্রুত রান নিতে গিয়ে রানআউট হওয়ার ভয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। আর সেখানেই ঝামেলা বেধে যায়। আর উঠতে পারেননি। মাঠেই যন্ত্রণায় কাতরানোর মতো অবস্থা হয়। কিছুক্ষণ মাটিতে শুয়েও থাকেন। শেষ পর্যন্ত স্ট্রেচারে করে তাকে মাঠের বাইরে নিয়ে যেতে হয়। দলের মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম জানিয়েছেন, ‘ইমরুলের চোট বাঁ উরুতে। এক্সরে করা হয়েছে। কিন্তু কোন সমস্যা ধরা পড়েনি। পরে তার আলট্রাসাউন্ড করানো হবে।’ আলট্রাসাউন্ডের পরই জানা যাবে চোট কতটা গুরুতর। দ্বিতীয় ইনিংসে আর ব্যাট করতে পারবেন কিনা। তবে বাঁ উরুতে ব্যথা আছে। সেই ব্যথা ইমরুলকে ব্যাটিংয়ে নাও নামতে দিতে পারে। ব্যাটিংয়ে নামার আগে অবশ্য ইমরুল বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। উইকেটের পেছনে বদলি উইকেটরক্ষক হিসেবে পাঁচটি ক্যাচ নিয়েছেন ব্যাটসম্যান ইমরুল। টেস্ট ইতিহাসে প্রথম ইনিংসে প্রথমবারের মতো কোন বদলি উইকেটরক্ষক ৫ ক্যাচ নিলেন।
×