ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ফিরে পেলেন ওয়ানডের এক নম্বর অলরাউন্ডার র‌্যাঙ্কিং, টি২০-র সেরা র‌্যাঙ্কিংয়ে মুস্তাফিজ

টেস্ট সিরিজ আরও কঠিন মনে করছেন সাকিব

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ১০ জানুয়ারি ২০১৭

টেস্ট সিরিজ আরও কঠিন মনে করছেন সাকিব

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টানা দুটি সীমিত ওভারের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ। দীর্ঘদিন পর এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ এবং টি২০ সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হারের পর এখন টেস্ট সিরিজে নামার অপেক্ষায় বাংলাদেশ। কিন্তু দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে দলের জন্য আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে বলেই মনে করছেন টেস্টে বিশ্বের দুই নম্বর অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। নতুন করে র‌্যাঙ্কিং রিভিউ করার পর ওয়ানডে অলরাউন্ডার হিসেবে এক নম্বর স্থানটা ফিরে পেয়েছেন তিনি। শ্রীলঙ্কার এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে পেছনে ঠেলে দিয়ে আবার শীর্ষস্থানে উঠেছেন। আর টি২০ বোলিং র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০ নম্বরে উঠে এসেছেন বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। যে কোন ফরমেটে এটিই তার ক্যারিয়ারসেরা র‌্যাঙ্কিং। সম্প্রতিই ক্যারিয়ারের সেরা পুরস্কার হিসেবে আইসিসি বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটার হয়েছেন মুস্তাফিজ। দীর্ঘদিন ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন ইনজুরির কারণে। সেখান থেকে ফিরে বেশ ভাল ছন্দেই বোলিং করছেন তিনি। ওয়ানডে সিরিজে দুই ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়েছেন। আর টি২০ সিরিজে দুই ম্যাচে নিয়েছেন ১ উইকেট। এ কারণে ওয়ানডের বোলিং র‌্যাঙ্কিংয়ে তিনি ২৯ নম্বরে উঠে এসেছে। তবে বাংলাদেশের পক্ষে সেরা অবস্থানে সাকিব। এ বাঁহাতি স্পিনার ৬৪৩ রেটিং নিয়ে আছেন ৬ নম্বরে। আর ৬১৪ রেটিং নিয়ে ১৪ নম্বরে মাশরাফি বিন মর্তুজা। তবে ওয়ানডের অলরাউন্ডার র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করেছেন সাকিব। তিনি ৩৭৭ রেটিং নিয়ে উঠে এসেছেন এক নম্বরে। পেছনে ফেলেছেন শ্রীলঙ্কার এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে। ম্যাথুস এতদিন শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিলেন। সাকিব ৩ ওয়ানডেতে ৫ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ৫৯ রানের একটি ইনিংসও খেলেছিলেন। টি২০ র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে মুস্তাফিজের। সাকিব আগের মতোই অলরাউন্ডার হিসেবে দুই নম্বরে আছেন এ ফরমেটের। কিন্তু বোলিংয়ে ১০ নম্বরে মুস্তাফিজ ৬৪৩ রেটিং নিয়ে। ১১ নম্বরে নেমে গেছেন সাকিব। এ খবরে এক প্রতিক্রিয়ায় মুস্তাফিজ বলেন, ‘র‌্যাঙ্কিং অবশ্যই একটা জরুরী বিষয় পারফর্মেন্সের ধারাবাহিকতার প্রমাণ হিসেবে। আমি খুবই খুশি এবং অনুপ্রাণিত নিজেকে প্রথমবারের মতো শীর্ষ দশে দেখতে পেয়ে।’ ব্যক্তিগত অর্জনগুলো মিললেও দলগতভাবে একেবারেই ব্যর্থ বাংলাদেশ। অর্জনের খাতা শূন্য। টানা ৬ ম্যাচ হেরেছে দল। এবার টেস্ট সিরিজে কি করবে সফরকারীরা। এ বিষয়ে সাকিব বলেন, ‘এখান থেকে যে কিছু শিখতে পারব সেটা বলা মুশকিল। টি২০ আর ওডিআই যারা খেলেছি, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই টেস্টেও খেলব। কিন্তু এতদিন ধরে যেহেতু আছি, তাই কন্ডিশনের সঙ্গে একটু হলেও মানিয়ে নিতে পারছি বলে মনে করি আমি। তবে টেস্টে উইকেট হবে অন্যরকম। টেস্ট অনেক কঠিন হবে বলেই আমার মনে হয়।’ কিন্তু এর আগের টেস্ট সিরিজে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক বিজয়ের পর দল থেকে প্রত্যাশাটা বেড়েছে আগের চেয়ে। এখন টেস্ট ক্রিকেটেও দারুণ কিছু চায় ভক্ত-সমর্থকরা। তবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাজে নৈপুণ্যটার কারণে এখন হতাশা দলের মধ্যে। এ বিষয়ে সাকিব বলেন, ‘সত্যি বলতে কি ওদের কন্ডিশনে ওরা অনেক ভাল দল। আমরা নিজেদের সেরাটা খেলতে পারলে হয়তো জেতার মতো অবস্থা তৈরি করতে পারতাম। তবে ট্যাকটিক্যালি আর টেকনিক্যালি ওরা নিজেদের কন্ডিশনে অনেক ভাল। আমরা যখন ভাল করি, তখন সবাই যেভাবে অবদান রাখি এখন সবাই সেভাবে করতে পারছি না।’ টেস্ট সিরিজে আবার যোগ হয়েছে সিনিয়র ক্রিকেটারদের ইনজুরি সমস্যা। অপরিহার্য ওপেনার তামিম ইকবাল হাতের আঙ্গুলে চোট পেয়েছেন। ইমরুল হাঁটুতে ব্যথা পেয়েছেন। এমনকি অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির সঙ্গে লড়ছেন সুস্থ হয়ে ফেরার জন্য। এ বিষয়ে সাকিব বলেন, ‘উনার (মুশফিক) অভিজ্ঞতা তো অবশ্যই অনেক বড় একটা ব্যাপার। আমাদের ব্যাটিংয়ের অন্যতম ভরসা উনি। স্বাভাবিকভাবেই তার না থাকাটা আমাদের জন্য বড় একটা অভাব হয়ে এসেছে। আশাকরি, টেস্টে উনি খেলবেন, আর ভালও করবেন।’
×