ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু ॥ স্বামীর দ্বিখণ্ডিত লাশ

প্রকাশিত: ০৩:৫৩, ৯ জানুয়ারি ২০১৭

রাজশাহীতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু ॥ স্বামীর দ্বিখণ্ডিত লাশ

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ নগরীর উপকণ্ঠ কাটাখালি পৌর এলাকার হরিয়ানে শ^শুরবাড়িতে সুমি নামের গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর পরদিন চারঘাটে রেললাইনে মিলল স্বামী মিঠুন আলীর (২৫) দ্বিখ-িত লাশ। ধারণা করা হচ্ছে, স্ত্রীকে হত্যার পর মিঠুন ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রবিবার সকালে শলুয়া গ্রামের রেললাইনের পাশ থেকে তার দ্বিখ-িত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ইউসুফপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবিন জানান, শনিবার রাতে মিঠুনের স্ত্রী সুমির রহস্যজনক মৃত্যু হয়। মিঠুনের পরিবারের পক্ষ থেকে সুমি আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করা হলেও সুমির পরিবার এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকা- দাবি করে নগরীর মতিহার থানায় মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে শনিবার রাতে মিঠুনের বাবা আব্দুল মজিদকে আটক করা হয়। তবে ঘটনার পর থেকে মিঠুনসহ পরিবারের সদস্যরা পলাতক ছিল। এরই মধ্যে রেললাইনের পাশে দ্বিখ-িত লাশ মিলল মিঠুনের। মিঠুনের এক আত্মীয় জানান, সুমি বেগম শনিবার রাতে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করলেও সুমির পরিবার এটিকে হত্যা বলে দাবি করে। পরে সুমির পরিবারের পক্ষ থেকে মতিহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এতে মিঠুনের বাবাকে আটক করে থানা পুলিশ। এ ঘটনা সহ্য করতে না পেরে হয়ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে মিঠুন আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। চারঘাট মডেল থানার ওসি নিবারন চন্দ্র বর্মন জানান, ঘটনাটি রেললাইনের ওপর হওয়ায় এটি রেলওয়ে পুলিশ তদন্ত করবে। এদিকে নগরীর মতিহার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম রেজা জানান, সাড়ে চার মাস আগে মিঠুনের সঙ্গে সুমির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুককে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় সুমিকে বাবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিলেন তার মামা। তবে সুমির বাবার বাড়িতে খবর দেয়া হয় সে আত্মহত্যা করেছে। তবে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করছে সুমির বাবার বাড়ির লোকজন। এসআই সেলিম রেজা আরও জানান, খবর পাওয়ার আগেই সুমির লাশ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায় তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে লাশ রেখে সবাই সটকে পড়ে। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ হাসপাতালে যায়।
×