ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

আজ টি২০ খেলবেন না মুস্তাফিজ

তামিমের কণ্ঠেও হতাশার সুর

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ৮ জানুয়ারি ২০১৭

তামিমের কণ্ঠেও হতাশার সুর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সব হচ্ছে। আশা তৈরি করা যাচ্ছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হারে হতাশাই হচ্ছে সঙ্গী। কেন? একটি কারণেই। দলগত নৈপুণ্য যে মিলছে না। প্রতিটি ম্যাচের পর এ একটি আক্ষেপই কুরিয়ে মারছে ক্রিকেটারদের, দলকে। শনিবার বাংলাদেশ ওপেনার তামিম ইকবালও যেমন এ নিয়ে আক্ষেপ করলেন। জিততে হলে বললেন, ‘একা নয়, পুরো দলকেই ভাল খেলতে হবে।’ শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে হেরে সিরিজ হার হয়ে গেছে। আজ তৃতীয় ও শেষ টি২০তে খেলতে নামার আগে ছিল ক্রিকেটারদের বিশ্রাম। সঙ্গে ঐচ্ছিক অনুশীলনও। তাতে সকালেই মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে অনুশীলন শুরু করেন ক্রিকেটাররা। তবে সবাই অনুশীলন করেননি। যতদূর জানা গেছে, ওপেনার তামিম ইকবাল, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, সৌম্য সরকার ও নুরুল হাসান সোহান অনুশীলন করেছেন। এ চার ব্যাটসম্যানকে নেটে বল করে গেছেন টেস্ট স্কোয়াডে থাকা তিন পেসার তাসকিন আহমেদ, শুভাশীষ রায় ও কামরুল ইসলাম রাব্বি। আর দুই স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। বাকিদের মধ্যে টি২০ দলের সাব্বির রহমান রুম্মনও স্টেডিয়ামে উপস্থিত হন। তবে অনুশীলন করেননি। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন, রুবেল হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান হোটেলেই বিশ্রাম নেন। মুস্তাফিজ আজ ম্যাচে নাও খেলতে পারেন। বিশ্রামে থাকতে পারেন। মুস্তাফিজের পরিবর্তে একাদশে তাসকিনকে দেখা যেতে পারে। বারবার একাদশে পরিবর্তন এনেও কোন কাজ হচ্ছে না। আজ যদি হয়, তাহলেতো ভালই। না হলে যে হোয়াইটওয়াশ হবে নিয়তি। তা ঠেকাতে দলগত নৈপুণ্যের বিকল্প নেই। প্রতিটি ম্যাচেই দেখা যাচ্ছে, এক-দুইজন ভাল করছেন। কিন্তু দলগত নৈপুণ্য মিলছে না। আর তাতে করে হারও হচ্ছে। তামিমই যেমন বললেন, ‘আমি একা ভাল খেললে কি আর হবে? আসলে আমরা সবাই ভাল খেললেই দল জেতে। আমি চাই পুরো দল ভাল খেলুক। তাহলেই দেখবেন সাফল্য ধরা দেবে।’ তামিমও ভাল করে জানেন, বিদেশের মাটিতে জেতা কঠিন। এমনকি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যেভাবে দলের গতি মন্থর দেখা যাচ্ছে, তাতে জেতার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যেতে পারে। তারপরও আশারতো শেষ নেই। এজন্য ধৈর্য ধরা ছাড়া বিকল্প কোন পথও নেই। তামিম তাই বিদেশের মাটিতে সাফল্য দেখতে হলে সবাইকে ধৈর্য ধরার দিকেই ইঙ্গিত করলেন। বললেন, ‘পাঁচটা ম্যাচ হেরেছি আমরা। সমর্থকরা কতটা হতাশ, আমি জানি। তবে মনে রাখতে হবে, আমরা বিদেশী কন্ডিশনে খেলছি। সবারই একটু ধৈর্য ধরতে হবে। আমাদের পুরো স্কোয়াডে যে ২২ জন আছে, এর মধ্যে বোধ হয় ১০ জনই এই প্রথমবার এই ধরনের কন্ডিশনে খেলছে। যে কোন দলই যখন বিদেশে যায়, তখন তাদের জন্য সফরটা খুব কঠিন হয়। ইংল্যান্ডকেই দেখুন, টেস্ট ক্রিকেটের এত ভাল দল, অথচ ভারতের কাছে ৫-০ ব্যবধানে (হবে ৪-০) হেরেছে।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘দেখুন, ক্রিকেট এমন একটা খেলা, যেখানে রাতারাতি সব বদলে ফেলা সম্ভব না। দেশের মাটিতে আমরা যে সাফল্য পাচ্ছি, সেটার জন্যও আমাদের প্রায় বছর দশেক অপেক্ষা করতে হয়েছে। বিদেশী কন্ডিশনেও যদি আমাদের ভাল করতে হয়, নিয়মিত সফর করতে হবে, খেলতে হবে। হয়তো আগামী ৫-১০টা ম্যাচেও ফল আমাদের পক্ষে নাও আসতে পারে। কিন্তু ধীরে ধীরে ভুলগুলো কমিয়ে আনলে আমাদের পক্ষেও ভালভাবে ঘুরে দাঁড়ান সম্ভব।’ তামিম এখনও আশায় আছেন, জেতা সম্ভব। নিজেই বলেছেন, ‘দলের সবার মধ্যে অন্তত এই বিশ্বাসটা আছে যে আমরা জিততে পারি। হয়তো আমাদের পারফর্মেন্স আমাদের এই বিশ্বাসটাকে প্রকাশ করছে না। কিন্তু আমি এতটুকু বলতে পারি, আমরা যে ২২ জন দলের সঙ্গে আছি, আমরা কোনদিন স্বপ্ন দেখা বন্ধ করিনি যে বিদেশী কন্ডিশনে আমরা জিতব। এটাও মনে করি না যে আমরা এখানে শুধু হারার জন্য এসেছি। চেষ্টা করছি। হয়তো সাফল্যও আসবে।’ দলগত নৈপুণ্য এখন মিললেই হয়। সাফল্য ধরা দিলেই হয়।
×