ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

৬ বছরেও ন্যায় বিচার পায়নি ফেলানীর পরিবার

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ৭ জানুয়ারি ২০১৭

৬ বছরেও ন্যায়  বিচার পায়নি  ফেলানীর পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ আজ ৭ জানুয়ারি। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কিশোরী ফেলানী হত্যার ৬ বছর পূর্ণ হলো। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হত্যাকা-ের মধ্যে বিএসএফের গুলিতে নিহত একমাত্র ফেলানী হত্যার বিচার শুরু করে ভারতের বিএসএফ। মামলাটি এখন বিএসএফের বিশেষ আদালত গড়িয়ে এখন ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে। নির্মম এ হত্যাকা-ের বিচারকাজ দীর্ঘ ৬ বছর ধরে চললেও এখনও ন্যায়বিচার পায়নি তার পরিবার। উপরন্তু আত্মস্বীকৃত খুনী অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে দু’দুবার নির্দোষ সাব্যস্ত করে বিএসএফের বিশেষ আদালত। ন্যায়বিচার না হওয়ায় ফেলানীর পিতা নুরুল ইসলাম ভারতের মানবাধিকার সংস্থা মাসুমের সহায়তার সে দেশের সপ্রীমকোর্টে একটি রিট করায় মামলাটি বর্তমানে ভারতের উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আর এ উচ্চ আদালতের ন্যায়বিচারের আশায় চেয়ে আছে ফেলানীর পরিবারসহ দেশবাসী। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায় নির্মমভাবে খুন হয় কিশোরী ফেলানী। ভারতের ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নিহত ফেলানীর মরদেহ কাঁটাতারেই ঝুলে থাকে দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা। ফেলানীর ঝুলে থাকা লাশের ছবি দেশ-বিদেশের গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মাঝে সমালোচনার ঝড় তোলে। এক পর্যায়ে বিজিবির দাবির মুখে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারে বিএসএফের বিশেষ আদালতের সোনারী ছাউনীতে ফেলানী হত্যার বিচারকাজ শুরু হয়। ঐ বছর ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয় ঐ আদালত। সন্তানের নির্মম এ হত্যার কথা মনে হলে এখনও কেঁদে ওঠেন মা জাহানারা বেগম। সংসারের নানা দুঃখ কষ্টের মাঝেও দাবি করেন অভিযুক্ত অমিয় ঘোষের সর্বোচ্চ শাস্তি। তিনি দাবি করেন তার বুকের ধন ফেলানীকে যেভাবে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ, তেমনি তার সর্বোচ্চ শাস্তি যেন নিশ্চিত করে ভারতের উচ্চ আদালত। ফেলানীর নির্মম হত্যাকা-ের কথা এখনও ভুলতে পারেননি তার স্বজনসহ এলাকাবাসী। সীমান্ত এলাকায় বাস করা এ মানুষগুলো সব সময় আতঙ্কে দিন কাটান। তাদের দাবি এ হত্যাকা-ের ন্যায়বিচারসহ সীমান্ত হত্যা বন্ধের। কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন বলেন, ভারতের সুপ্রীমকোর্টের প্রধান বিচারপতি রিটটি গ্রহণ করায় এবার ন্যায়বিচারের আশা করছেন তিনি।
×