ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প তত্ত্বাবধানে সেনাবাহিনী

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ২ জানুয়ারি ২০১৭

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প তত্ত্বাবধানে সেনাবাহিনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পেল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট (সিএসসি)। এ কাজে সিএসসিকে সহযোগিতা করবে বুয়েটের বিআরটিসি (ব্যুরো অব রিসার্চ টেস্টিং এ্যান্ড কনসালটেন্ট)। রবিবার এ বিষয়ে সিএসসির সঙ্গে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একটি চুক্তি হয়। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, পদ্মা সেতুতে একই সঙ্গে রেল চলাচলের জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সঠিক সময় নির্মাণকাজ শেষ করতে পরামর্শক কাজ সেনাবাহিনীকে দেয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে সেনা প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক বলেন, ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর কাছে ন্যস্ত পদ্মা বহুমুখী সেতুর ৩টি প্রকল্পের মধ্যে দুটি প্রকল্প যথাসময়ে সম্পন্ন করে বাংলাদেশ ব্রিজ অথরিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সিএসসির কর্মদক্ষতা ও পেশাদারিত্বের নতুন মাইলফলক রচিত হয়েছে। রেল ভবনে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পরিচালক সুকুমার ভৌমিক, সেনাবাহিনী ও বিআরটিসির পক্ষ থেকে কর্নেল মোঃ আবুল কালাম আজাদ (প্রজেক্ট ম্যানেজার, সিএসসি, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প) চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের জন্য সিএসসিকে সুপারভিশন পরামর্শক হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি গত ২০ ডিসেম্বর সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সায় পায়। এ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৪১ কোটি টাকা। পরামর্শক সেবাকাল দুই হাজার ১০০ দিন। এই সেবার আওতায় সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যরা ঠিকাদারের দাখিল করা নক্সা যাচাই করে তার অনুমোদন দেবেন। এছাড়া রেলের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, সাইট ক্লিয়ারেন্স এবং পুনর্বাসন কার্যক্রমে সহায়তা ও তদারকি করবে। দেশী-বিদেশী বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে নির্মাণকাজ সুষ্ঠু তদারকিসহ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণসহ যোগ্যতা বৃদ্ধি করা পরামর্শক সেবার মধ্যে রয়েছে। বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর মূল কাঠামোর নির্মাণকাজ চলছে এখন। ২০১৮ সাল নাগাদ এই সেতু চলাচলের জন্য খুলে দেয়া যাবে এবং ওই সময় পদ্মা সেতুতে ট্রেন চলাচলও শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে সরকার। ইতোমধ্যে সেতুর সার্বিক কাজ শেষ হয়েছে ৪০ ভাগ। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণে গত আগস্টে চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে রেলপথ মন্ত্রণালয়। এ প্রকল্পের আওতায় ১৪টি নতুন স্টেশন ভবন ও ছয়টি স্টেশন পুনঃনির্মাণ, ৬৬টি গুরুত্বপূর্ণ সেতু এবং ২৪৪টি ছোট সেতু নির্মাণ, ১০০টি নতুন রেলকোচ কেনা এবং আধুনিক সিগন্যাল সিস্টেমের জন্য অপটিক্যাল ফাইবার লাইন স্থাপন করা হবে।
×