ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাকি থাকল কিউই ওয়াশ

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬

বাকি থাকল কিউই ওয়াশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এক ম্যাচ হাতে থাকতেই সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হার হয়েছে। এখন তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটিই বাকি আছে। সেই ম্যাচটিতে হারলেই হোয়াইটওয়াশ হয়ে যাবে বাংলাদেশ। এবার কী তাহলে হোয়াইটওয়াশের পালা? শনিবার ভোর চারটায় নেলসনে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। দুটি ওয়ানডেতে দলের যে মুমূর্ষু অবস্থা দেখা গেছে, তাতে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার সম্ভাবনাইতো বেশি জাগছে! প্রথম ওয়ানডেতে ৩৪২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৭৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ দল। বৃহস্পতিবার নেলসনের সেক্সটন ওভালে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খেলতে নেমে ২৫২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমেও কিছুই করতে পারেনি। এবার ৬৭ রানে হার হয়েছে। তাতেই সিরিজ হার হয়ে গেছে। জেতার সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ দল। এমন সুযোগই যেখানে কাজে লাগানো যায়নি, সেখানে এর চেয়ে কঠিন অবস্থা ধরা দিলে কী জেতা সম্ভব হবে? বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ব্যাটসম্যানদের ধৈর্য হারা হওয়ার দিকেই নজর দিয়েছেন। ১০৫ রানে যেখানে এক উইকেট ছিল। জেতার সম্ভাবনা অনেক বেশি হয়ে যায়। সেখানে ব্যাটসম্যানদের দ্রুত শট খেলার তাড়নায় হেরে গেল বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের হাতে জয় ধরা দিল। অথচ দিনটি বাংলাদেশের হতে পারত। ব্যাটসম্যানরা যেন উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন। মাশরাফি তাই বলেছেন, ‘উইকেট উপহার দেয়া হয়নি। ব্যাটসম্যানরা রানের জন্য বেশি তাড়াহুড়া করেছে।’ নেলসনে বাংলাদেশ এর আগে একটি ম্যাচই খেলেছিল। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিতে জিতেছিল। সেটি বিশ্বকাপে ছিল। সেই ম্যাচটি প্রেরণা হয়েও ধরা দিয়েছিল। বোলাররা ভালও করেছিল। জয়ের জন্য যা দরকার তা বোলাররা করে দিয়েছিল। কিন্তু ব্যাটসম্যানরাই নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। আর তাই হার হয়েছে। মাশরাফি বললেন, ‘ইমরুল ও সাব্বির যেমন উইকেটে থেকে তার পরে ভাল খেলছিল। এখানে ১০-১৫টা বল দেখে তার পর স্বাভাবিক খেলা খেললে ভাল হতো। উইকেট উপহার দিয়ে আসার চেয়ে আমি বলব, আরেকটু ধৈর্য ধরে থিতু হয়ে তার পর স্বাভাবিক ব্যাটিং করা উচিত ছিল।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘যারা পরে এসেছে ব্যাটিংয়ে, সবাইকে প্রথম থেকে শুরু করতে হয়েছে। রিয়াদ দারুণ একটি বলে আউট হয়েছে। আমাদের ইমরুল বা সাব্বিরের একটা বড় ইনিংস খেলা উচিত ছিল। কারণ, ওরা থিতু হয়ে গিয়েছিল। নতুনদের জন্য কাজটা কঠিন। শূন্য থেকে শুরু করতে হতো। সেট ব্যাটসম্যানদের কেউ কাজটা করলে ভাল হতো।’ মাশরাফি বলেন, ১০৫ রানে কাছে গিয়ে যে ভুলবোঝাবোঝিতে সাব্বির রান আউট হন। সেটিই ডুবিয়েছে। সাব্বিরের রান আউটই মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। মাশরাফি বলেন, ‘ওই রানআউট ছিল আমাদের জন্য আসল মুহূর্ত। নিউজিল্যান্ডের জন্যও। ১ উইকেটে ১০৫ রান ছিল, ২৭ ওভারে আর দেড় শ’ রান দরকার ছিল। রান আউটটাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। রান আউটের পরও সুযোগ ছিল। তখন তো কেবল মাত্র দ্বিতীয় উইকেট পড়েছিল, ৫-৬ উইকেট নয়। তার পরও ব্যাটসম্যানরা ছিল। কিন্তু হয়নি।’ এবার সামনে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে। যেটি হবে বছরের শেষদিনটিতে। নতুন বছরের আগে হার হয়, হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ, নাকি জয় দিয়ে শুরু করে; সেটিই দেখার বিষয়। তবে দুই ওয়ানডের অভিজ্ঞতা থেকে একটিই প্রশ্ন উঠছে এবার কী হোয়াইটওয়াশের পালা?
×