ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

দিনাজপুরে আলুবীজ সঙ্কট ॥ সরকারী সরবরাহ মাত্র দেড় শতাংশ

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬

দিনাজপুরে আলুবীজ সঙ্কট ॥ সরকারী সরবরাহ মাত্র দেড় শতাংশ

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ মানসম্মত বীজের অভাবে কৃষিনির্ভর জেলা দিনাজপুরের আলু চাষীরা বিপাকে পড়েছেন। সরকারী সরবরাহকৃত মানসম্মত বীজ না পেয়ে স্থানীয়ভাবে নিম্নমানের বীজ সংগ্রহ করে আলু আবাদ শুরু করলেও, কাক্সিক্ষত ফলন নিয়ে তারা শঙ্কায় রয়েছেন। অনেকেই জমি প্রস্তুত করেও বীজ না পেয়ে আলু আবাদ করতে পারছেন না। জানা যায়, চাহিদার তুলনায় সরকারীভাবে সরবরাহকৃত আলুবীজ কৃষকরা পেয়েছে শতকরা মাত্র দেড় শতাংশ। দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক গোলাম মোস্তফা জনকণ্ঠকে জানান, দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৪২ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এজন্য বীজের প্রয়োজন ৬৩ হাজার ৩৪৫ মেট্রিক টন। সরকারী বীজ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন-বিএডিসি স্বল্প পরিমাণ আলুবীজ সরবরাহ করেছে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন-বিএডিসি (বীজ) দিনাজপুরের উপ-পরিচালক ড. মাহবুবুর রহমান জানান, দিনাজপুর জেলায় এবার মোট ১ হাজার ৬৭৫ টন আলুবীজ সরবরাহ করা হয়েছে। এসব বীজের মধ্যে রয়েছে- গ্র্যানুলা, কার্ডিনাল ও স্টেরিক্স জাতের আলু। ডিলারদের মাধ্যমে এই বীজ কৃষকরা সংগ্রহ করেছে বলে জানান তিনি। চাহিদার তুলনায় আলুবীজ সঙ্কটের কথা স্বীকার করে ড. মাহবুবুর রহমান জানান, জনবলের সঙ্কট ও সরকারী জমির অভাবে চাহিদা অনুযায়ী আলুবীজ উৎপাদন ও সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। সরকারী মানসম্মত এসব বীজের প্রতি কেজি মূল্য ২২ টাকা ও ২৫ টাকা হলেও বাজারে তা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দাম দিয়েও পাচ্ছেন না আলুচাষীরা। বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বীজ সঙ্কটের কথা স্বীকার করে জানান, সরকারী মানসম্মত বীজ না পাওয়ায় তারা বাজার থেকে ভাল বীজ নিয়ে আলু চাষ করার পরামর্শ দিচ্ছেন। নতুবা ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসল আবাদের জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করছেন তারা।
×