ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সাম্যবাদী দলের আলোচনায় নাসিম

আগামী জাতীয় নির্বাচন বর্তমান সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬

আগামী জাতীয় নির্বাচন বর্তমান সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া নিজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিতর্কিত করেছেন। তাই যে যত কথাই বলুক, আগামী জাতীয় নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও বর্তমান সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে। অন্য কোন সরকারের অধীনে এই নির্বাচন হবে না। মঙ্গলবার বিকেলে গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চে বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের অষ্টম কংগ্রেস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, সমস্ত দুনিয়ায় নির্বাচিত সরকারের অধিনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, বাংলাদেশেও তাই হবে। কারণ রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদকে জোর করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বানিয়ে বিএনপি প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করেছিল। সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার এমপি, সাম্যবাদী দলের পলিটব্যুরোর সদস্য শহিদুল ইসলাম, এম এ গনি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ১৪ দল মেনে নেবে জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সকল দলের সঙ্গে সংলাপের পর নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি যে সিদ্ধান্ত দেবেন আমরা সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেব। রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ১১৮ ধারার ক্ষমতাবলে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন। ভাল কাজকে বিতর্কিত করাই বিএনপির কাজ বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর এই সদস্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, দেশে বিভিন্ন ভাল কাজ হচ্ছে- সেই সকল কাজকে বিএনপি বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। সরকারের সকল অর্জনকে বিতর্কিত করাই যেন খালেদা জিয়ার কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনের রায় প্রসঙ্গে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষসহ সবাই এমনকি পরাজিত প্রার্থীও বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তারপরও বিএনপি একের এক বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। আসলে যে কোন ভাল অর্জনকে বিতর্কিত করাই বিএনপির অভ্যাস। বাংলাদেশের সব ভাল অর্জনকে তারা বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছে। বিএনপি একাত্তরের পরাজিত শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকেও বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু দেশের জনগণ তাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। স্বাস্থ্য কার্ডের মাধ্যমে অতি দরিদ্র্যদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিন ॥ স্বাস্থ্য কার্ডের মাধ্যমে অতি দরিদ্রদের জন্য বিমামূল্যে চিকিৎসা নিশ্চিত করতে টাঙ্গাইলের কালিহাতির পর ঘাটাইল ও মধুপুরে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচীর পাইলট প্রকল্পের কাজ দ্রুত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচীর স্টিয়ারিং কমিটির সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এই নির্দেশ দেন। সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কর্মসূচীর আওতাধীন উপজেলাগুলোতে চিকিৎসক ও নার্সদের সার্বক্ষণিক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। তিনি যে কোন মূল্যে কর্মসূচী সফল করার তাগিদ দেন। সভায় স্বাস্থ্য সচিব সিরাজুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য ইউনিটের মহাপরিচালক আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, এ বছরের ২৪ মার্চ স্বাস্থ্যমন্ত্রী টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে দেশে প্রথমবারের মতো অতি দরিদ্র্যদের জন্য স্বাস্থ্য কার্ড বিতরণ কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকার স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচীর আওতায় এই প্রকল্পের কাজ হাতে নেয়। প্রাথমিকভাবে টাঙ্গাইলের তিন উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। পরে তা সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে। এই কর্মসূচীর আওতায় প্রতি উপজেলায় ২৫ হাজার পরিবারকে স্বাস্থ্য কার্ড দেয়া হবে। কার্ডধারী ব্যক্তি নির্দিষ্ট ৫০টি রোগের চিকিৎসা বিনামূল্যে করতে পারবেন। উপজেলা হাসপাতাল থেকে শুরু করে জেলা, বিশেষায়িত ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ প্রয়োজনে বেসরকারী হাসপাতালেও চিকিৎসা পাবেন কার্ডধারী ব্যক্তি।
×