ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

হাসিনা সাঈদ মুক্তা

তারুণ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ২২ ডিসেম্বর ২০১৬

তারুণ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা

বছর শেষে হিসাব-নিকাশ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়া সত্যি কৌতূহলের বিষয়। বছর শেষে তাই, বিভিন্ন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি এবং ব্যাংকগুলো পুরোদমে লাভ-লোকসানের হিসাব-নিকাশ নিয়ে ব্যস্ত। ডিসেম্বর মাসে সম্ভাব্য হিসাব-নিকাশ, সর্বোচ্চ মুনাফা এবং প্রত্যাশা পূরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিনিয়োগকারীরা। শেয়ারবাজারগুলোতেও ব্যাপক উদ্দীপনা। বর্তমানে শেয়ারবাজার বিনিয়োগকে লাভজনক ব্যবসা মনে করা হয়। তরুণপ্রজন্ম বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে শেয়ার ব্যবসার প্রতি ঝুঁকছেন। শুধু তাই নয়, চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী তারাও তাদের অর্থনৈতিক উন্নতিকে আরও কিছুটা সমৃদ্ধ করার জন্য শেয়ারব্যবসাকে লাভজনক মনে করেন। শেয়ারবাজারকে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবেও ধরা হয়। শিল্প কারখানা এবং ব্যাংক ব্যবস্থা সবকিছুর মেরুদণ্ড যেন এই শেয়ারবাজার। আর ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা এই বাজারের প্রাণ। সাধারণত শেয়ারবাজার হচ্ছে হাতে থাকা অপ্রয়োজনীয় টাকা যা বিনিয়োগ করা হয়। এতে বাড়তি কিছু টাকা আয় হয়। এক্ষেত্রে টাকা ধার করে বিনিয়োগ করা মোটেই ঠিক নয়। কারণ এতে তাড়াহুড়ো থাকে এবং ঝুঁকি অনেক বেশি। যারা এ ব্যবসায় একেবারেই নতুন তাদের মিচ্যুয়াল ফান্ড কেনার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এতে ঝুঁকি কিছুটা কম থাকে এবং ক্রয়-বিক্রয় ও বাজার শিখতে সহায়ক। সেক্ষেত্রে লোভ পরিহার করা, হতাশ না হওয়া, ধৈর্য ধরা এবং পুরাতন ব্যবসায়ীদের পরামর্শ নেয়া হলে এ বাজার আরও লাভজনক হতে পারে। তবে শটকাট পন্থায় বা অল্পসময়ে অনেক টাকা রোজগার এ ধরনের মনোভাব অবশ্যই পরিহার করতে হবে। সংস্কৃতির শক্তিশালী মাধ্যম চলচ্চিত্র। এ বছর সেপ্টেম্বর মাসে মুক্তিপ্রাপ্ত অমিতাভ রেজা চৌধুরীর প্রথম সিনেমা হচ্ছে ‘আয়নাবাজি’। বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে দাপট দেখিয়েছে মৌলিক ধারার এ গল্পটি। আর বছর শেষে চলচ্চিত্রের হিসাব-নিকাশ করলে গতানুগতিক বাণিজ্যিক ধারা বা এককেন্দ্রিক চিত্রকে পুরোদমে বদলে দিয়েছে। হলবিমুখ দর্শকও বেশ নড়েচড়ে এ ছবিটি দেখতে হলমুখী হয়েছে। তবে দেশীয় চলচ্চিত্রের ধারায় বর্তমানে এ ধরনের আরও কিছু ভিন্নধারার চলচ্চিত্র (মনপুরা, গেরিলা, জিরো ডিগ্রী, আমার বন্ধু রাশেদ, জয়যাত্রা, শ্যামল ছায়া, শিকারি ইত্যাদি) নতুন নির্মাতা ও কলাকুশলীদের নিয়ে তরুণপ্রজন্ম বেশ আশাবাদী। এবার আসা যাক তরুণ-তরুণীদের বছর শেষে ভাবনা বিষয়ে। এ সময় তারা হিসাব কষতে বেশি দেখে রাশিফল। কাজেই বছর শেষে পত্রপত্রিকা বা ম্যাগাজিনে তাদের আগ্রহ রাশিফল। ভালবাসা হোক হৃদয় দিয়ে, সঙ্গীকে ভাল করে জানাচেনা অত্যন্ত জরুরী। প্রত্যাশা যতটা কম করা যায় তাতেই সন্তুষ্ট হওয়ার চেষ্টা করলে, প্রত্যাশা এমনিতেই পূরণ হয়ে যাবে। যখন ব্যক্তির আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব, সরল অভিব্যক্তি এসব দেখে প্রেমিক মন বুঝতে পারবে যে তার মানুষটি সবার থেকে আলাদা। প্রেমিক হৃদয় ব্যাকুল হয়ে পড়বে তখন। এক্ষেত্রে বলা যায় ভালবাসায় হিসাব-নিকাশে জড়িয়ে লাভ নেই। কারণ ভালবাসা অনন্ত। এর কোন হিসাব-নিকাশ নেই। দাম্পত্য জীবনেও এর ব্যতিক্রম নয়। সঙ্গীর দিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখা, তার প্রতি ভালবাসা ও শ্রদ্ধা দিয়ে করলে যে কোন জটিলতা এড়ানো সম্ভব। জীবনসঙ্গীর পরিবারের দিক, আর্থিক বা জীবনের ছোটবড় বিভিন্ন দিক খেয়াল করলে সে যদি খুশি হয়; তাহলে তার ভেতরও সুখ খুঁজে নেয়া যায়। তাই বছর শেষে মান-অভিমানের পাল্লায় কিছুটা ছাড় দেয়া মঙ্গল। সন্তান ও পরিবারের সুখের দিকটা চিন্তা করা, কিছুটা আত্মত্যাগী মনোভাব যেমন বন্ধুবান্ধব ও নিজ পরিজনদের জন্য সময় নির্ধারণ করা শ্রেয়। এক্ষেত্রে আমি যদি সব দিয়ে দেই, তাহলে তো ঠকে যাব, এটা ভাবলে নেতিবাচক মনোভাবই বিঘিœত করবে দাম্পত্য জীবনকে। কাজেই স্বামী অথবা স্ত্রী দুজন-দুজনার এ বিষয়গুলো পারস্পরিক আলোচনা করাই উত্তম। একজন যদি চুপচাপ বা গম্ভীর স্বভাবের হয়, তাকে বোঝানোর দায়িত্ব কিন্তু জীবনসঙ্গীর। এতে করে অহংবোধ কিছুটা কমালে ক্ষতি নেই বরং সহায়ক হতে পারে দাম্পত্য সুখী জীবন গড়তে। পিসি ব্যানার্জী লেন, ঢাকা থেকে
×