ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাহুল নার্ভাস ১৯৯, চেন্নাই টেস্টেও চেনা ভারত

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬

রাহুল নার্ভাস ১৯৯, চেন্নাই টেস্টেও চেনা ভারত

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মাত্র ১ রানের জন্য ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি পাননি লোকেশ রাহুল। তবে ব্যক্তিগত হতাশার দিনে দলকে ঠিকই দাপুটে অবস্থানে নিয়ে গেছেন তরুণ ভারতীয় ওপেনার। রাহুলের ১৯৯ রানের সৌজন্যে ইংল্যান্ডের ৪৭৭ রানের জবাবে তৃতীয়দিন শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে চেন্নাই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভারতের সংগ্রহ ৩৯১ রান। ৮৬ রানে পিছিয়ে বিরাট কোহলির দল। বড় রানের জবাব দিতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন রাহুল। সেঞ্চুরি, দেড় শ’ পেরনোর পর ডাবল সেঞ্চুরিটা মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু নিঃশ্বাস ছোঁয়া দূরত্বে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ক্ল্যাসিক্যাল এই ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় ভারতীয় ও বিশ্বের নবম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে নার্ভাস ১৯৯ রানে আউট হলেন রাহুল। পাঁচ টেস্টের সিরিজ ইতোমধ্যে ৩-০তে জিতে নিয়েছে কোহলির দল। চেন্নাইয়ের শেষ ম্যাচটা তাই সফরকারী এ্যালিস্টার কুকদের জন্য ব্যবধান কমানর লড়াই। স্বাগতিকরা যেভাবে ব্যাটিং করছে তাদের জন্য কাজটা মোটেই সহজ নয়। বিনা উইকেটে ৬০ রান নিয়ে দিন শুরু করে ভারত। ব্যক্তিগত ৩০ রান নিয়ে নামেন রাহুল। সঙ্গী পার্থিব প্যাটেলকে নিয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন তিনি। উদ্বোধনীতে তাদের কাছ থেকে ভারত পেয়ে যায় ১৫২ রানের জুটি। প্যাটেলকে ৭১ রানে থামিয়ে দিয়ে ইংল্যান্ডকে প্রথম সাফল্য এনে দেন স্পিনার মঈন আলি। টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেয়া ইনিংসে ৭টি বাউন্ডারি মারেন প্যাটেল। ৫৯ রানের ব্যবধানে দলের দুই ভরসা চেতেশ্বর পুজারা ও বিরাট কোহলিকে হারিয়ে ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা। অধিনায়ক কোহলি বিদায় নেয়ার আগে ক্রিজে থেকেই দেখেছেন রাহুলের সেঞ্চুরি উৎসব। নিজ মাঠে প্রথম ক্যারিয়ারে চতুর্থ সেঞ্চুরির স্বাদ নেন রাহুল। দেশের মাটিতে প্রথম সেঞ্চুরির ইনিংসটি আরও বড় আকারে স্মরণীয় করে রাখার পথও তৈরি করেছিলেন। পাঁচ নম্বরে নামা করুন নায়ারকে নিয়ে দলের স্কোরটা বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে দেড় শ’ ছাড়িয়ে ডাবল-সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় পৌঁছে যান তিনি। কিন্তু ভাগ্য সহায় না থাকায় ইনিংসের ১০৩তম ওভারে ১৯৯ রানে বিদায় নিতে হয়। লেগ স্পিনার আদিল রশিদের করা অফ-স্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বলটি সজোরে মেরে কভার পয়েন্টে জস বাটলারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। দৃষ্টিনন্দন ইনিংসটিতে ৩১১ বল মোবাবেলায় ১৬টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন রাহুল। বিশ্বের নবম ও ভারতের মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে নার্ভাস ১৯৯ রানে আউট হলেন রাহুল। অপর ভারতীয় হলেন মোহাম্মদ আজহারউদ্দীন (১৯৮৬ সালে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে)। রাহুল যখন বিদায় নেন, তখন দিনের খেলা বাকি মাত্র ৫ ওভার ৩ বল বাকি। এমন অবস্থায় পরের সময়টা ভালভাবেই পার করে দেন নায়ার ও মুরালি বিজয়। নায়ার ৭১ ও বিজয় ১৭ রানে অপরাজিত আছেন। স্কোর ॥ ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস ৪৭৭/১০ (১৫৭.২ ওভার; কুক ১০, জেনিংস ১, রুট ৮৮, মঈন ১৪৬, বেয়ারস্টো ৪৯, স্টোকস ৬, বাটলার ৫, ডসন ৬৬*, রশিদ ৬০, ব্রড ১৯, বল ১২; যাদব ২/৭৩, ইশান্ত ২/৪২, জাদেজা ৩/১০৬, অশ্বিন ১/১৫১, মিশ্র ১/৮৭, নায়ার ০/৪)। ভারত ১ম ইনিংস ৩৯১/৪ (১০৮ ওভার; রাহুল ১৯৯, পার্থিব প্যাটেল ৭১, করুন নায়ার ৭১*, পুজারা ১৬, কোহলি ১৫, বিজয় ১৭*; স্টোকস ১/৩৭, ব্রড ১/৪৬, রশিদ ১/৭৬, মঈন ১/৯৬)। ** তৃতীয়দিন শেষে
×