ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

থ্রি হুইলারে সয়লাব ঠাকুরগাঁও

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬

থ্রি হুইলারে সয়লাব ঠাকুরগাঁও

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ১৮ ডিসেম্বর ॥ যে সড়ক দিয়েই যাবেন, সেখানেই অটোরিক্সার উৎপাত। হাজারো অটোরিক্সার চাপে নাস্তানাবুদ ঠাকুরগাঁওবাসী। ঘর থেকে বেরোলেই এদের সঙ্গে মোকাবেলা করে পা টিপে টিপে যেতে হয়। বিশেষ করে শিশু-নারী ও বয়স্ক জনগণ প্রতিদিন এসব যানবাহনের প্রভাবে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এসব দেখার যেন কেউ নেই। কেননা বিআরটির তথ্য মতে ১২ হাজারেরও উপরে নিবন্ধনহীন ব্যাটারিচালিত এসব যান চলাচল করছে জেলার ৫টি উপজেলায়। আর প্রতি মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটছে এ অবৈধ যানবাহন থেকে। যারা চালক তাদের বয়স ১৩ থেকে ১৫ বছর। অপ্রাপ্ত বয়স্করাই এসব যানবাহনের প্রধান চালক। কারণ এদের মালিকপক্ষ নামে মাত্র মজুরি প্রদান করে। ট্রাফিক পুলিশ এদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। কারণ এসব যানবাহনের মালিক উঠতি কিছু ধনী লুটেরা শ্রেণীর লোক। ট্রাফিক পুলিশ জানান, কি করব! জনগণ প্রতিরোধ করলে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ হতে পারে। তাকে পাল্টা প্রশ্ন করা হলে প্রতুত্তরে বলেন, উপরওয়ালারাই এ ব্যাপারে কোন কথা বলছে না। আমরা ছোট চাকুরে, বেশি কিছু বললেই পানিশম্যান্ট হবে। বিআরটিএর তথ্য অনুযায়ী আরও জানা যায়, থ্রি হুইলার পাগলু যানগুলোর কিছু রেজিস্ট্রেশন থাকলেও এখন তা বন্ধ হয়ে গেছে। ঠাকুরগাঁও পৌরসভা জানায়, শহরে মাত্র ৫০০ ব্যাটারিচালিত থ্রি হুইলারকে তারা নিবন্ধন দিলেও এখন এর সংখ্যা কয়েক হাজার। যা তাদের পক্ষে সামাল দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। বিদ্যুত বিতরণ ও বিক্রয় কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, শুধু রাস্তার দুর্ভোগ বাড়ানো নয়, বিদ্যুতের ওপরও প্রভাব ফেলছে এসব অবৈধ অটোরিক্সা। এগুলোর ব্যাটারির চার্জ দিতে প্রতিদিন এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত খরচ হয় বলে জানান, ঠাকুরগাঁও বিদ্যুত বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান। অথচ ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিদিনের বিদ্যুত চাহিদাই ১৮ মেগাওয়াট।
×