ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ কাজে আসেনি

চিনি লবণ ভোজ্যতেল মসুর ডাল ও রসুন বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬

চিনি লবণ ভোজ্যতেল মসুর ডাল ও রসুন বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঘাটতি না থাকার পরও অত্যাবশ্যকীয় পাঁচ পণ্যÑ চিনি, লবণ, ভোজ্যতেল, মসুর ডাল এবং রসুন আগের মতো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি চিনি ৬৮-৭০, লবণ ৩৮-৪০, ভোজ্যতেল প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন ৮৮-৯০, রসুন ১৯০-২০০ এবং প্রতিকেজি মসুর ডাল মানভেদে ৯০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েক মাস ধরে এই পাঁচ পণ্য বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। এসব পণ্যের দাম কমাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নেয়া হলেও বাজারে তার তেমন কোন প্রভাব পড়েনি। ফলে ভোক্তাদের বেশি দামেই এসব পণ্য কিনতে হচ্ছে। যদিও সরবরাহ বাড়ায় শীতকালীন সবজির দাম কমে এসেছে। কমতির দিকে মাছের দাম। আমন ধান উঠায় মোটা চালের দর পড়তির দিকে রয়েছে। তবে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম আপাতত কমার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আমদানিকারকরা খোঁড়া যুক্তি দাঁড় করিয়ে বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে এসব পণ্যের দাম বাড়তির দিকে রয়েছে। বিশেষ করে চিনি, লবণ এবং ডালের দাম না কমায় সাধারণ ভোক্তাদের অস্বস্তি বাড়ছে। মসলা জাতীয় পণ্য রসুন নিয়ে বিরক্ত ভোক্তারা। কারণ গত কয়েক মাস ধরে রসুনের দাম বেড়েই যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন জনকণ্ঠকে বলেন, বেশির ভাগ পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবে অত্যাবশ্যকীয় পাঁচ পণ্যের মধ্যে লবণের দাম কমাতে আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। আমদানিকৃত লবণ দেশে এলে দাম কমে যাবে। আর চিনির ওপর থেকে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে দাম কমে আসবে। তবে এটা সরকারী নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। এছাড়া অন্যসব পণ্যের দাম কমানোর ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করা হচ্ছে। দাম বাড়ানোর প্রস্তাব অযৌক্তিক ॥ ইতোমধ্যে মিলমালিক এবং আমদানিকারকরা ভোজ্যতেল, লবণ এবং চিনির দাম বাড়ানোর জন্য ট্যারিফ কমিশনকে প্রস্তাব দিয়েছে। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তারা বলছেন, দাম বাড়ানোর প্রস্তাব অযৌক্তিক। এ মুহূর্তে অত্যাবশ্যকীয় কোন পণ্যের দাম বাড়ানো হবে না। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ৮ টাকা ও চিনির দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল বিপণনকারী কোম্পানিগুলো। এছাড়া লবণের দাম বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবিত দর নিয়ে ইতোমধ্যে ট্যারিফ কমিশন পর্যালোচনা করছে। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হচ্ছেÑ দাম বাড়ানোর প্রস্তাবটি সঠিক নয়। ভোক্তাদের স্বার্থে আপাতত কোন পণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে না। ছুটির দিনে উপচেপড়া ভিড় ॥ সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারে ছিল উপচেপড়া ভিড়। বিজয় দিবস উপলক্ষে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে মাছ এবং মাংস। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর প্রায় প্রতিটি পরিবারে বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। কাওরানবাজারে সাপ্তাহিক বাজার করছিলেন জামাল হোসেন। তিনি জানালেন, বিজয় দিবসে বাসায় ভাল খাবারের আয়োজন করা হবে। আর এজন্য বাড়তি বাজার করা হচ্ছে। কাওরানবাজারের মুরগি বিক্রেতা আসাদ বলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে বিক্রি বেড়েছে। আর বিক্রি বাড়ায় দামও কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে গেছে। এছাড়া এ সপ্তাহে সবজির পাশাপাশি পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। এছাড়া চাল, আটা, ডিমসহ অন্যান্য পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
×