স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর ৩৫টিসহ দেশের ৩৩৭ সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এবার অনলাইনে ভর্তির জন্য আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ১৬ হাজার ৪৪টি। এর মধ্যে রাজধানীর স্কুলের বিপরীতে ৬৮ হাজার ৩৮৭ এবং রাজধানীর বাইরের ৩০২ স্কুলের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে দুই লাখ ১৬ হাজার ৪৪টি। এবার বিড়ম্বনাহীন অনআইন কার্যক্রমে খুশি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই।
সোমবার রাত ১২টায় শেষ হয়েছে রাজধানীর ৩৫ সরকারী স্কুলে অনলাইনে ভর্তি আবেদন। এবার রাজধানীর স্কুলগুলোতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার আসন শূন্য রয়েছে। এর বিপরীতে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত প্রায় ৬৮ হ্জাার ৩৮৭টি আবেদন জমা পড়েছে। তবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাকি ছয় ঘণ্টায় আরও কয়েক হাজার আবেদন জমা পড়বে। রাজধানীর ৩৫টি সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য তিন গ্রুপে পর্যাক্রমে ১৭, ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম শ্রেণীতে ভর্তির লটারি ড্র অনুষ্ঠিত হবে ২৪ ডিসেম্বর। ৩৫টির মধ্যে প্রথম শ্রেণী আছে ১৪টি বিদ্যালয়ে। িি.িমংধ.ঃবষবঃধষশ.পড়স.নফ এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আবেদন করতে পারেন প্রার্থীরা। আবেদন ফি’র ১৫০ টাকা টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে পরিশোধ করার সুযোগ পান। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক এলিয়াছ হোসেইন ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া সফলভাবে চলায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিড়ম্বনা বহুগুণে কমে গেছে। নেই শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি। আবেদন করতে সন্তানকে নিয়ে স্কুলে স্কুলে দৌড়াতেও হচ্ছে না অভিভাবককে। বরং অনলাইনে কোন রকমের বিড়ম্বনা ছাড়া ওয়েবসাইটে গিয়ে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা ঘরে বসেই আবেদন করতে পারছেন। তিনি জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত ঢাকায় আবেদন জমা পড়েছে ৬৮ হাজার ৩৮৭টি। বাইরের প্রতিষ্ঠানের জন্য জমা পড়ছে দুই লাখ ১৬ হাজার ৪৪টি। তবে বাকি কয়েক ঘণ্টায় আরও আবেদন জমা পড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন পরিচালক। রাজধানীর ৩৫টিতে ১০ হাজার এবং রাজধানীর বাইরের প্রতিষ্ঠানে আসন আছে ৬০ হাজারের মতো।
প্রথম শ্রেণীতে লটারি ছাড়াও জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে নবম শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীতে বাংলা ১৫, ইংরেজী ১৫ ও গণিতে ২০ নম্বর করে মোট ৫০ নম্বরের এক ঘণ্টার এবং অন্যান্য শ্রেণীতে বাংলা ৩০, ইংরেজী ৩০ ও গণিতে ৪০ নম্বর করে মোট ১০০ নম্বরের ২ ঘণ্টার পরীক্ষা নেয়া হবে। ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী গত বছরের মতো এবারও ঢাকা মহানগরীর সরকারী ও বেসরকারী স্কুলে ভর্তিতে নিজ নিজ এলাকার জন্য ৪০ শতাংশ কোটা বরাদ্দ থাকবে। অবশিষ্ট আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। সরকারী স্কুলের ক্যাচমেন্ট এরিয়া নির্ধারণ করে দেবে মাউশি। এ ছাড়া ৪০ শতাংশ এলাকা কোটার বাইরেও এবার ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ২ শতাংশ প্রতিবন্ধী, এক শতাংশ লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের শিশু ও দুই শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। বাকি ৫০ শতাংশ আসন সব শিশুর জন্য।