ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সচ্ছলদের পেটে ১০ টাকার চাল

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ১ ডিসেম্বর ২০১৬

সচ্ছলদের পেটে ১০ টাকার চাল

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ৩০ নবেম্বর ॥ আটঘরিয়া উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের ১০ টাকা কেজির চাল যাচ্ছে সচ্ছলদের পেটে। এ ইউনিয়নে ১ হাজার ২০১ জন সুফলভোগীর মধ্যে অন্তত ৪শ’ জনই সচ্ছল। এদের মধ্যে অন্তত ৬০ জনের রয়েছে নিজস্ব পাকা দালান বাড়ি। এছাড়া আরও ২৫/২৬ জনের রয়েছে ৫ থেকে ৬ বিঘা করে জমি। এছাড়াও ঐ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের তালিকাভুক্ত ৭০টি পরিবারই ভুয়া। এসব কার্ডধারী পরিবারের কোন অস্তিত্ব নেই। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর মিয়া এবং কয়েকজন ডিলার এসব অস্তিত্বহীন মানুষের নামে বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলন করে কালোবাজারে বিক্রি করে ভাগ বাটোয়ারা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১ ও ২নং ওয়ার্ড ছাড়া অন্য ৭টি ওয়ার্ডে ১০ টাকা দরের চাল নিয়ে চলছে নানা কারচুপি। অপরদিকে এ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে নিয়োগকৃত ১২ ডিলারই যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগের নেতা। এরা প্রকৃত খাদ্য ব্যবসায়ী নন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ তুলেছেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাজপাড়া ইউনিয়নের ১ ও ২নং ওয়ার্ডে মোটামুটি প্রকৃত সুফলভোগীদের তালিকা করা হয়েছে। ৩নং ওয়ার্ডের রোকনপুর গ্রামের নবির উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম, মৃত রওশন ম-লের ছেলে স্বপন ম-ল, রাব্বান ম-ল, আব্দুর রাজ্জাক, হেলাল প্রামানিক, মোশারোফ বিশ্বাস, আব্দুল হাই প্রামানিকসহ অন্তত ৪০ জন পাকাবাড়ি এবং নিজস্ব জমির মালিক ও সচ্ছল। এছাড়া ৪নং ওয়ার্ডের অন্তত ৯০ জন সচ্ছল এবং পাকাবাড়ির মালিক। একই অবস্থা ৫, ৬, ৭, ৮ এবং ৯নং ওয়ার্ডের। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় ৫নং ওয়ার্ডে ৭০ জনের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তার সবাই ভুয়া। বাস্তবে এদের কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে মাজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, এখনকার গরিব মানুষও দালান বাড়িতে বসবাস করে। তাই পাকাবাড়ি আছে এমন কিছু লোক এই সুবিধা পেয়ে থাকতে পারে। তিনি আরও জানান, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের হয়ে বিগত ইউপি নির্বাচনে পরাজিত এক প্রার্থী তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, মেম্বারদের দেয়া তালিকা অনুযায়ী সুফলভোগীদের তালিকা হয়েছে। এখানে কোন ভুয়া লোক বা চেয়ারম্যানের নিজস্ব কোন পছন্দ নেই।
×