ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আহমেদ রউফ

ধুলোবালির মহানগরী!

প্রকাশিত: ০৪:৫৭, ২৪ নভেম্বর ২০১৬

ধুলোবালির মহানগরী!

হেমন্তের কুয়াশা ঢাকা সকাল! প্রকৃতির সুনশান নীরবতা, ভাল লাগার এক নিবিড় বন্ধনে, প্রতিদিন সকালে পা বাড়ালেই দেখি; অসংখ্য গার্মেন্টস কর্মী হাতে ভাতের বাটি নিয়ে হেঁটে চলছে কর্মস্থলে। আবার সবাই সবার কর্মক্ষেত্রে সারাদিন কাজ শেষে বাড়ি ফিরছে। ধরা যায় তারা সবাই সুস্থ এখানে ডাক্তারের প্রয়োজন নেই। তাদের ‘ডাক্তার’ সর্বক্ষণ তাদের সঙ্গে আছেন তাই তারা সুস্থ ... আর তাদের ডাক্তার হলো প্রতিটি গার্মেন্টসের সুপারভাইজার, ইনচার্জ, পিএম, জিএম, ইডি, তারা! কারণ যতক্ষণ গার্মেন্টস কর্মীরা তাদের হেফাজতে আছে, প্রতিটি ছেলেমেয়ের দায়িত্ব তাদের ওপর। তাই তারা অনেক ভাল আছে বড় বড় আমলার চেয়ে। আমরা যারা জনগণ, আমাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে সরকারকে ক্ষমতায় বহাল রাখি। আমাদের জন্য কি করছেন তারা! বা কি করছেন। অসুস্থ পরিবেশে রাস্তায় রাস্তায় অনৈতিক পোস্টারে চেয়ে গেছে সব। বাইরে বের হলে দেখা যায় এসব আর বাংলাদেশের রাস্তা তো সূর্যের হাসি হাসে; এমন হাসি হয়ত কোন দেশের রাস্তা হাসতে পারে না। কারণ কোন দেশের মানুষ কাঁদতে জানে না তারা সব সময় হাসে। আর আমাদের প্রবাদ হলো, হাসির পরে যে কান্না আসে। বাংলাদেশ কাঁদতে জানে আবার হাসতেও জানে তাই ডাক্তার ও আছেন রোগীও আছেন শুধু সৎ উপদেশ দেবার মতো কেউ নেই, আর দেখার ও কেউ নেই। আবার ডাক্তার আছেন; কিন্তু যথাযথ ওষুধ নেই, যেখানে লাগবে এ্যান্টিবায়োটিক সেখানে দিচ্ছে মাথা ব্যথার ওষুধ। তা না হলে আমাদের দশা এমন হতো না। আমরা জানি ঢাকা শহর ধূলাবালির শহর! আবার আমরা দেখিও তা! প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রিক মিডিয়ায় অনেক বড় বড় আমলা কথা বলছেন কিন্তু কিছু কি হচ্ছে! কারণ সরকার ওষুধ দিচ্ছে আর সেই সব ওষুধ চলে যাচ্ছে আমলাগামলাদের ঘরে। তাহলে কোথায় হবে রাস্তা ড্রেন, মেনহোল মেরামতের কাজ আর কে দেখবে দেয়ালে দেয়ালে অনৈতিক সেই সব পোস্টার। আল্লাহপাক স্পষ্ট বলেছেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ। এই হলো আমাদের ইমান আর এই হলো হাল... ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ থেকে
×