ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সশস্ত্র বাহিনী দিবসে প্রধানমন্ত্রী

আরও অনেক সুবিধা দেয়া হবে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরসূরিদের

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ২২ নভেম্বর ২০১৬

আরও অনেক সুবিধা দেয়া হবে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরসূরিদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধকে ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ ঘটনা’ আখ্যায়িত করে বলেছেন, রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ উপহার দিয়েছেন। তাই আমরা মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় সব কিছুই করব। স্বাধীনতার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যে অমূল্য অবদান তা স্মরণ করা আমাদের জাতীয় দায়িত্ব। সরকার মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০১৬ উপলক্ষে সোমবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসে বীর শ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকার ও খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ জাতির যে কোন প্রয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিবেদিত থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরসূরিদের জন্য অনেক কল্যাণমূলক কর্মসূচী গ্রহণ করেছে এবং অনেক প্রস্তাব ও পরিকল্পনা বিবেচনার জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি বলেন, বীরশ্রেষ্ঠদের মাসিক ভাতা বৃদ্ধি করে ৩০ হাজার টাকা, বীরউত্তম ২৫ হাজার, বীর বিক্রম ২০ হাজার ও বীর প্রতীকদের ১৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা নয় শ’ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এতে ভাতাপ্রাপ্তদের সংখ্যা এক লাখ থেকে দুই লাখে উন্নীত করা হয়েছে। তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ভাতা, চিকিৎসা ও রেশন প্রদানের জন্য ২৪৮৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আধুনিক পদ্ধতিতে মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করার লক্ষ্যে ডাটাবেজ উন্নয়নে একটি কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। ডাটাবেজ কর্মসূচী সম্পন্ন করার মাধ্যমে জাতির কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি নিখুঁত তালিকা উপস্থাপন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২২৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের মাধ্যমে দুই হাজার ৯৭১টি গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হবে। ‘জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের’ অধীনে ইতোমধ্যে ৪৩ জেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ সম্পন্ন এবং হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের জুলাই মাস থেকে সরকার এক হাজার ৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪২২ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের স্কিম গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ১৬১ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে জাতি মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে এবং কেউ এই ইতিহাস মুছে ফেলতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, এই ঐতিহাসিক দিনে সশস্ত্র বাহিনীর সাহসী সদস্যরা ও সাধারণ জনগণ পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে আক্রমণ পরিচালনা করে যা মুক্তিযুদ্ধকে বিজয়ের পথে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বিশাল দায়িত্ব রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যা দেশের উন্নয়ন, অবকাঠামো নির্মাণ, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বিরাট ভূমিকা রাখছে। তারা জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস দমনের বিষয়েও বিশেষ ভূমিকা রাখছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার আধুনিকায়ন, অবকাঠামোর উন্নয়নসহ কল্যাণভিত্তিক কর্মসূচী বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। এই ধারা অব্যাহত রাখার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুদ্ধ ও শান্তিকালীন অবস্থায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ বর্তমান সরকার ২০১৩-১৪ অর্থবছর থেকে যুদ্ধ ও শান্তিকালীন পদক প্রবর্তন করেছে। এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ, যা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য সহায়ক বলে তিনি মন্তব্য করেন। সশস্ত্র বাহিনীর পাঁচ সদস্যের শান্তিপদক প্রাপ্তির বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ জাতির যেকোন প্রয়োজনে সশস্ত্র বাহিনী নিবেদিত থাকবে। আমার বিশ্বাস শুধু দেশেই নয়, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী তাদের সততা, নৈতিকতা ও দক্ষতার মাধ্যমে বিদেশেও দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে। তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সশস্ত্র বাহিনীকে আরও আধুনিকায়ন করতে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। এই অসাধারণ কর্মতৎপরতা ভবিষ্যতেও দেশ মাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ বহির্বিশ্বেও সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সশস্ত্র বাহিনী বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।’ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে আর কেউ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করতে পারবে না। আমি স্বজনহারাদের দুঃখ, বেদনা বুঝি। স্বজনহারাদের বেদনা বুকে ধারণ করেই এদেশের মানুষের কল্যাণে আমি কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার বহির্বিশ্বের যে সকল বরেণ্য রাষ্ট্রনায়ক, রাজনীতিবিদ, দার্শনিক, শিল্পী সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, বিশিষ্ট নাগরিক বাংলার মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছেন পর্যায়ক্রমে তাদের ‘বাংলাদেশ স্বাধীনতা সম্মাননা’, ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’ এবং ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা’ প্রদান করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ গত ১৬ সেপ্টেম্বর কানাডার প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডোকে উক্ত সম্মাননা প্রদান করা হয়। তার পক্ষে কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং তার পুত্র জাস্টিন ট্রুডো এ সম্মাননা গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সময়ের আবর্তে অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধা আজ বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপনকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মান জানানোর ক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী যে উদ্যোগ প্রতিবছর নিচ্ছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এ জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। দুস্থ ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তা, পুনর্বাসন, চিকিৎসা সহায়তা প্রদান ও আবাসস্থলের সংস্কারসহ বিভিন্ন কল্যাণমুখী কাজ আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ভবিষ্যতেও করে যাবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমাদের স্বাধীনতা রক্ষার সুমহান দায়িত্ব সশস্ত্র বাহিনীর উপর ন্যস্ত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ পবিত্র দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আমাদের দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা, দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম, অবকাঠামো নির্মাণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে আমাদের সরকার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন, ভৌত ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বিবিধ কল্যাণমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকারের অধীনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য শান্তিকালীন সময়ে কৃতিত্বপূর্ণ কর্মকা-ের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৩-১৪ অর্থবছর থেকে শান্তিকালীন পদক প্রচলন করা হয়েছে, যা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। পদকপ্রাপ্তদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালের শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মধ্য থেকে ৫ সদস্যকে পদকে ভূষিত করা হয়েছে। এ বছর পদকপ্রাপ্ত সব কর্মকর্তা ও অন্যান্য পদবির সদস্যদের জন্য রইল আমার আন্তরিক অভিনন্দন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ফার্স্ট ট্রাক প্রকল্প গ্রহণ করেছি। গভীর সমুদ্রবন্দর, পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত প্রকল্প, মেট্রোরেল, আন্তঃদেশীয় রেল প্রকল্প এবং এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ও কর্ণফুলী নদীর তলদেশে দেশের প্রথম টানেল নির্মাণের কাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। দেশের বাস্তবায়নাধীন অন্যতম মেগা প্রজেক্ট পদ্মাসেতু সম্পর্কে তিনি বলেন, সব ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করছি। ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুর ৩২ ভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রের ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আমাদের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ মাহফুজুর রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী একেএম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মুহাম্মাদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান এ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল আবু এসরার এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয়পত্র বিতরণ ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীরত্ব খেতাবপ্রাপ্ত জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে এই প্রথমবারের মতো পরিচয়পত্র বিতরণ করেন। ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনীর এক সংবর্ধনায় এই পরিচয়পত্র বিতরণকালে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধীকারীদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় সব কিছু করতে তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্ব খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে পরিচয়পত্র বিতরণ করে তিনি আনন্দিত। এই পরিচয়পত্র ব্যবহার করে তারা রেল, বিআরটিসি বাস ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরণী ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের ফেরিতে বিনা ভাড়ায় ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। এই পরিচয়পত্রের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ বিমানের আন্তর্জাতিক রুটে একবার বিদেশ ভ্রমণ এবং একই এয়ারলাইন্সে জীবনে একবার হজ/ওমরাহ করার সুযোগ পাবেন। তারা বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ও ফেরিতে ভিআইপি কক্ষ ও কেবিনে সুবিধা পাবেন। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ৭ বীরশ্রেষ্ঠ’র উত্তরাধিকার ও অন্যান্য খেতাবপ্রাপ্তদের মাঝে সম্মানীর চেক এবং শাল ও মোবাইল ট্যাবসহ উপহার বিতরণ করেন। তিনি যুদ্ধ ও শান্তির সময় বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য সেনাবাহিনীর ৫ কর্মকর্তাকে বাহিনী পদক ও অসামান্য সেবা পদক প্রদান করেন।
×