ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ফুটপাথ, ওভারব্রিজ সবই বেদখল, রাস্তায় পার্কিং

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ১৯ নভেম্বর ২০১৬

ফুটপাথ, ওভারব্রিজ সবই বেদখল, রাস্তায় পার্কিং

এমদাদুল হক তুহিন ॥ ফার্মগেট থেকে নিউমার্কেট যেতে চোখে পড়বে গ্রীন রোডের দুঃসহ যানজট। কেবল রিক্সার কারণে সিটি কলেজের সিগন্যাল পর্যন্ত পৌঁছাতে কখনও লেগে যাবে এক ঘণ্টা। সিটি কলেজের সামনে মূল রাস্তায় উঠতেই চোখে পড়বে থমকে থাকা শত শত বাস। শুধু বাসই থেমে আছে তা নয়, এখানে স্থবির প্রতিটি যান। চারদিকে লোকে লোকারণ্য। ফুটপাথ, ওভারব্রিজÑ সবখানেই মানুষ। এখানকার ওভারব্রিজগুলো হকারদের দখলে চলে গেছে সেই কবেই। ব্যবহার দেখলে মনে হবে ফুটপাথগুলোও তাদেরই নিজস্ব সম্পদ। বাধ্য হয়ে ফুটপাথ আর ওভারব্রিজ ছেড়ে রাস্তায় মানুষ। নিউমার্কেটের কাছে যেতেই চোখে পড়বে গাড়ির সামনে দিয়েও হাঁটছে মানুষ। ফুটপাথ ছেড়ে মূল রাস্তা ধরেও হাঁটছে মানুষ। নিউমার্কেটসহ রাজধানীর প্রতিটি বাণিজ্যিক এলাকায় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের চাপ যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে এসব এলাকার যানজট। সপ্তাহের প্রতিদিনই এসব এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়িতে অপেক্ষা করতে হয় মানুষকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ, প্রতিটি ভবনে কার পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকা, প্রয়োজনের তুলনায় কমসংখ্যক রাস্তা, ট্রাফিক আইন না মানা, পরিবহন পরিকল্পনায় অদক্ষতা ও কঠোর নজরদারির অভাবে রাজধানীর বাণিজ্যিক এলাকাগুলো যানজটের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে, বাণিজ্যিক এলাকায় গাড়ির চাকা না ঘুরে বরং ক্ষণে ক্ষণে থামছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে স্থবির হয়ে পড়ছে জনজীবন। স্থির হয়ে বসে থাকা, গাড়িতে বসে সেই অপেক্ষাÑ কত যে কষ্টের, কত যে বেদনার; নগরবাসী তা প্রতিনিয়তই হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। রাজধানীর মতিঝিল, গুলিস্তান, শাহবাগ, কাওরানবাজার, কাকরাইল, নিউমার্কেটসহ প্রতিটি বাণিজ্যিক এলাকার জানজট এখন ঢাকাবাসীর জন্য এক বিপর্যস্ত জনজীবনের চিত্র। এখানে ৫ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে কখনও কখনও এক ঘণ্টার বেশি সময় লাগছে। আবার ফিরতি পথে কখনও তা দুই ঘণ্টাও। ফলে নগরীর বাসিন্দাদের গুরুত্বপূর্ণ সময় রাস্তায় নষ্ট হচ্ছে। এতে তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি যেমন হচ্ছে তেমনি পিছিয়ে পড়ছে দেশ। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, রাস্তাগুলোতে কম গতিসম্পন্ন যানবাহন চলাচলের অনুমোদন দেয়াও বিরামহীন এ যানজটের অন্যতম কারণ। তাদের মতে, কেবল রিক্সার কারণেই কোন কোন রাস্তায় দীর্ঘ সময় আটকে থাকতে হয়। এছাড়াও শহরের অভ্যন্তরে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল, অবৈধ বাসস্ট্যান্ড, আকস্মিক গড়ে ওঠা টেম্পোস্ট্যান্ডের কারণেও সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। অভিযোগ রয়েছে, বাণিজ্যিক এলাকার অধিকাংশ ভবনেই কার পার্কিং নেই। আর যেসব ভবনে পার্কিং রয়েছে তা ব্যবহারেও অনীহা রয়েছে কোন কোন চালকের। আবার শর্ত ভেঙ্গে কোন কোন ভবনের কার পার্কিং ব্যবহৃত হচ্ছে বাণিজ্যিক কাজেও। নগরীর মোট আয়তনের শতকরা ২০ থেকে ৩০ ভাগ পর্যন্ত রাস্তা থাকা আবশ্যিক হলেও পরিসংখ্যান বলছে এখানে মাত্র ৮ শতাংশ রাস্তা রয়েছে। আবার যৎসামান্য এ রাস্তার বড় একটি অংশ বিভিন্ন কারণে বেদখল হয়ে আছে। ফলে জনসংখ্যা ও অত্যধিক গাড়ির চাপে বাণিজ্যিক এলাকায় নিত্যদিনই লেগে থাকছে দীর্ঘ যানজট। এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, দেশে পরিবহনের সঠিক পরিকল্পনা নেই। এখানে প্রয়োজনের তুলনায় সড়ক কম। নগরীর মোট আয়তনের মাত্র ৮ ভাগ সড়ক রয়েছে, যা হওয়া উচিত ছিল ২০ থেকে ৩০ ভাগ। যে ৮ ভাগ রয়েছে, এর একটি অংশও কোন না কোন কারণে বেদখল হয়ে গেছে। এভাবে ক্রমে ক্রমে আমাদের শহরের রাস্তার ধারণক্ষমতা কমে যাচ্ছে। একদিকে প্রয়োজনের তুলনায় রাস্তা কম, আবার যেটুকু আছে তাও ব্যবহারযোগ্য নয়। ফলে যানজটের কবল থেকে নগরবাসী রক্ষা পাচ্ছে না। সরেজমিন বাণিজ্যিক এলাকার কেন্দ্রবিন্দু মতিঝিল ঘুরে দেখা গেছে, দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারাও এখানে আইনের তোয়াক্কা করছেন না। প্রায় প্রতিটি ভবনের সামনেই রাখা আছে সারি সারি গাড়ি। মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকায় রয়েছে রিক্সার আধিক্য। এছাড়া সময়ে অসময়ে এখানকার ওভারব্রিজটির নিচে গড়ে উঠছে টেম্পোস্ট্যান্ড। এ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এখানকার জনতা ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংক, সাধারণ বীমা কর্পোরেশন, স্টক এক্সচেঞ্জ অফিস, সোনালী ব্যাংক, এফবিসিসিআই ও জনতা ব্যাংক ভবনসহ প্রায় প্রতিটি ভবনের সামনেই রাস্তায় পার্ক করা আছে অজস্র গাড়ি। এমনকি এখানকার বহুতল কার পার্কিংয়ে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা সত্ত্বেও এর সামনের রাস্তায়ও অবৈধভাবে পার্ক করে রাখা আছে শত শত গাড়ি। গ্রামীণফোনের কাস্টমার কেয়ার অফিস ভবনে আন্ডারগ্রাউন্ড ছয়তলা কার পার্কিং থাকা সত্ত্বেও সেখানে গাড়ি রাখতে অনীহা এক শ্রেণীর কর্মকর্তাদের। দেখা গেছে, ওই এলাকায় অফিস চলাকালে প্রায় প্রতিটি ভবনের সামনেই সারিবদ্ধ গাড়ির বাহার। মতিঝিল ওভারব্রিজসংলগ্ন ফুটপাথে ১০ বছর ধরে ব্যবসা করেন মোঃ শিশির। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, এখানে দিনের অধিকাংশ সময় পুরো রাস্তা দখল করে রাখে রিক্সা। গাড়ি হর্ন দিলেও সরে না। ফলে এ এলাকায় সব সময় যানজট লেগে থাকে। ফুটপাথের এ ব্যবসায়ী মনে করেন, রিক্সার আধিক্যই এ এলাকায় যানজটের অন্যতম কারণ। ট্রাফিক পুলিশের এক কর্মকর্তার মতে, সোনালী ব্যাংকের সামনে হকারদের ফুটপাথ দখলের কারণেও এখানে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। মতিঝিলে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত হাসান মাহমুদ বলেন, গুলিস্তান থেকে মতিঝিল আসতে প্রায় আধা ঘণ্টা লেগেছে। সিগন্যাল পয়েন্টগুলোতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে গিয়ে দেখা যায়, অনেক ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারাই সিগন্যাল সমন্ধে সচেতন নন। গাড়ি ছাড়ার ক্ষেত্রে তাদের একমুখী প্রবণতা রয়েছে। এতে অন্যদিকে তীব্র যানজট সৃষ্টি হলেও তাদের কোন ভ্রƒক্ষেপ নেই। মতিঝিল এলাকার দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশের উর্ধতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনকণ্ঠকে বলেন, জনগণের আইন অমান্য করার প্রবণতার কারণে এ এলাকার যানজট নিরসন সম্ভব হচ্ছে না। রেকার অভিযান, জরিমানা করা সত্ত্বেও সমাজের উচ্চ শ্রেণীর মানুষ তাদের গাড়ি অবৈধভাবে রাস্তায় পার্ক করছে। এতে যানজট মোকাবেলায় আমাদের হিমশিম খেতে হয়। টঙ্গী শিল্প এলাকায় একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন মাহাবুব হাসান সজীব। থাকেন মহাখালীতে। অধিকাংশ সময় অফিসের গাড়িতে গেলেও কখনও কখনও তাকে বাসে চড়ে যেতে হয়। জনকণ্ঠকে তিনি বলেন, অফিসে যেতে বাসে প্রায় দেড় ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। ফেরার পথে যানজট আরও তীব্র আকার ধারণ করে, তখন প্রায় দুই ঘণ্টা বসে থাকতে হয় গাড়িতে। রাতেও যদি গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজ থাকে কেবল যানজটের কারণে অফিস থেকে ফিরে তা আর করা সম্ভব হয় না। ফকিরাপুল, আল হেলাল পুলিশ বক্স, দৈনিক বাংলা মোড়, গুলিস্তান, শাহবাগ, ফার্মগেটের চিত্রও একই। এসব এলাকায় দেখা গেছে, ট্রাফিক সিগন্যালের প্রতিটি ক্রসিং পয়েন্টের সর্বমুখী রাস্তায় সার্বক্ষণিক সারি সারি যানবাহনের চাপে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। কঠোর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় এসব এলাকার রাস্তায় যেখানে সেখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানো-নামানো হচ্ছে। গত রবিবার রাত ৯টায় ফকিরাপুল মোড়ে দেখা গেছে, এ মোড়ের চারদিকের রাস্তায় শত শত রিক্সা। এখানে কোন ফুটওভারব্রিজ নেই। গাড়ি থামতেই মানুষ হাঁটছে, কখনওবা গাড়ি থামিয়ে। পূর্ব দিকের রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে আন্তঃজেলা পরিবহনের একাধিক বাস। ফলে সিগন্যাল পয়েন্টে ক্ষণে ক্ষণে তৈরি হচ্ছে যানবাহনের জটলা। কাওরানবাজার ঢাকা শহরের অন্যতম বাণিজ্যিক এলাকা। এখানে গড়ে উঠেছে বড় বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। কয়েকটি জাতীয় দৈনিকের কার্যালয় ছাড়াও একাধিক বেসরকারী টেলিভিশনের প্রধান কার্যালয়ও এখানেই। এছাড়া এ বাজারটিই শহরের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার। তবে সবকিছু ছাপিয়ে কাওরানবাজারের যানজট এখন এক মহাদুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারীদের কখনও কখনও ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাওরানবাজার সিগ্যনাল পয়েন্টে অপেক্ষা করতে হয়। বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আল জোবায়ের কাওরানবাজার সিগন্যাল পয়েন্টকে এক মহাদুর্ভোগ আখ্যা দিয়ে বলেন, ফামর্গেট থেকে শাহবাগ যেতে এখানেই সবচেয়ে বেশি সময় নষ্ট হয়। সরেজমিন দেখা গেছে, কাওরানবাজার সিগন্যাল পয়েন্টের পূর্বের রাস্তায় রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা সারি সারি গাড়ি রাখা থাকে। পেট্রোবাংলার সামনে গড়ে উঠেছে অবৈধ রিক্সাস্ট্যান্ড। এছাড়া তেজতুরীবাজার থেকে শুরু হয়ে সোনরাগাঁও পর্যন্ত যতগুলো ভবন রয়েছে সবগুলো ভবনের সামনেই অবৈধভাবে পার্ক করে রাখা আছে শত শত ব্যক্তিগত গাড়ি। রাতের বেলায় এ এলাকায় বেড়ে যায় ট্রাকের সংখ্যা। দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা হাজার হাজার ট্রাক এ এলাকায় ঢুকতে থাকে। ফলে দিনের চেয়ে রাতে এখানে যানজট বেড়ে যায়। ফার্মগেট থেকে কাওরানবাজার সিগন্যাল পয়েন্ট ক্রস করতে রাতের বেলায় কখনও কখনও এক ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে। শাহবাগ মোড়ে এখন নিত্যদিনের যানজট। প্রায়ই প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠছে শাহবাগ। এখানে চতুর্মুখী রাস্তা বন্ধ করে যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে সমাজের তরুণ প্রজন্ম। এতে এ এলাকায় সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। আবার শাহবাগ মোড়ের চতুর্দিকেই গড়ে উঠেছে ছোট-বড় রিক্সাস্ট্যান্ড। মূল সিগন্যাল পয়েন্টের ১০০ গজের মধ্যে এখানে বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানো-নামানো হয়। ফলে মৎস্য ভবন মোড় থেকে শাহবাগ মোড় অতিক্রম করতে যাত্রীদের বাসে বসে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। নিত্যদিনের এ দীর্ঘ যানজটে অতিষ্ঠ নগরবাসী। অভিযোগ রয়েছে, শেরাটন মোড়ে কেউ মানছে না ট্রাফিক আইন। হোটেল থেকে বের হয়ে ভিআইপিদের গাড়ি সরাসরি চলছে উল্টেপথে। ফলে এখানেও হরহামেশা সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। শাহবাগে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আল জোবায়ের। প্রতিদিন ফার্মগেট থেকে শাহবাগে যেতে হয় তাকে। নিত্যদিনের বাসের এ যাত্রী জনকণ্ঠকে বলেন, কেবল যানজটের কারণে ৫ মিনিটের পথ আধা ঘণ্টায়ও অতিক্রম করা যায় না। আর আসার পথে এ পথ পাড়ি দিতে কখনও কখনও এক ঘণ্টা লেগে যায়। তিনি বলেন, ফার্মগেটে হকাররা ফুটপাথ বন্ধ করে রেখেছে, ফলে এখানে তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তার অভিযোগ, শাহবাগ মোড়ে ভিআইপিদের চলাচলে প্রায়ই রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়। শেরাটন মোড়ে ট্রাফিক আইন বলতে কিছুই নেই। পরীবাগে অপরিকল্পিতভাবে ফুটওভারব্রিজ করে ফুটপাথ বন্ধ করে রাখায় এখানে মানুষ মূল রাস্তা ধরে হাঁটছে। ফলে এ এলাকায়ও সব সময় তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। বাণিজ্যিক এলাকাগুলো যানজটের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হওয়ার কয়েকটি কারণ উল্লেখ করে বিশিষ্ট নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, বাণিজ্যিক এলাকায় ব্যক্তিগত গাড়ির আধিক্য রয়েছে। এসব এলাকার অধিকাংশ ভবনেই পর্যাপ্ত পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই। এসব এলাকায় জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একদিকে যেমন বাড়ছে গাড়ির সংখ্যা তেমনি প্রতিটি ভবনের সামনের রাস্তায় দেখা যাচ্ছে সারি সারি গাড়ি। পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় ঘাটতিসহ জনগণের আইন না মানার প্রবণতার কারণে এসব এলাকার যানজট দূর করা সম্ভব হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কঠোর নজরদারির মাধ্যমে ট্রাফিক আইন পুরোপুরি কার্যকর করা সম্ভব হলে বহুলাংশেই যানজট নিরসন সম্ভব।
×