ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

লোকসঙ্গীত উৎসবে দর্শক শ্রোতা মাতালেন নুরান সিস্টার্স

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ১৩ নভেম্বর ২০১৬

লোকসঙ্গীত উৎসবে দর্শক শ্রোতা মাতালেন নুরান সিস্টার্স

মনোয়ার হোসেন ॥ তারা দুই বোন। জ্যোতি নুরান ও সুলতানা নুরান। দুই বোনের গানের দল নুরান সিস্টার্স। ভারতের পাঞ্জাব থেকে উঠে এই লোকগানের দলটি মাতিয়ে দিলো ঢাকার শ্রোতা-দর্শককে। ভগ্নিদ্বয়ের পরিবেশনাটি যেন ছাপিয়ে গেল হাজার হাজার সুররসিকের প্রত্যাশাকে। খরস্রোতা নদীর মতো চড়া কণ্ঠের গানে গানে কাঁপিয়ে দিলো উৎসব উপভোগকারীর হৃদয়তন্ত্রী। বয়ে গেল শিহরণ। মোহময় সুরেলা শব্দধ্বনিতে নেচে উঠল সবাই। এভাবেই পারিবারিক সুফি ধারায় প্রভাবিত দুই শিল্পী লোকসঙ্গীত উৎসবের সমাপনী রাতটিকে আপন করে নিলেন। ওস্তাদ গুলশান মীরের দুই মেয়ে ছড়িয়ে দিলেন আলোর রশ্মি। শ্রোতাকে উচ্ছ্বসিত করা জ্যোতি ও সুলতানা পরিবেশিত গানগুলোর শিরোনাম ছিলÑ ‘দামাদাম মাস্ত কালান্দার’, ‘আল্লাহু আল্লাহু’ ও ‘পার্দে মে র‌্যাহনে দো’। এছাড়াও ঘণ্টাব্যাপ্তির পরিবেশনায় তারা গেয়ে শোনায় সুলতান সিনেমার ‘টুক টুক’ ও মিরজায়া ছবির ‘পাটাকা গুড্ডি’ গানটি। শনিবার ছিল তিনদিনের ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসঙ্গীত উৎসবের শেষদিন। এই রাতসহ তিন রাত শ্রোতা ভেসে বেড়াল লোকজ গানের সুরে। মনভরে শুনল দেশ-বিদেশের খ্যাতিমান লোকসঙ্গীত শিল্পীর গান। শেকড়ের গানে গানে কেটেছে তিনটি রাত। লোকগানের বাণীর মাঝে আবাহন করা হলো আপন সংস্কৃতি ও দর্শনকে। সেই সঙ্গে জানা হলো ভিন দেশের লোকগীতির ধারাকে। সময়ের হিসেবে প্রতিদিন ৬ ঘণ্টা করে ১৮ ঘণ্টার সঙ্গীতাসরটি এক আঙিনায় জড়ো করেছে ঢাকার নানা প্রান্তের মানুষকে। ছয় প্রহরের এই সঙ্গীতযজ্ঞ শুরু হয়েছিল বৃহস্পতিবার। রাজধানীর লক্ষাধিক সঙ্গীতানুরাগীর মনমজানো উৎসবটি শেষ হলো শনিবার। প্রাপ্তির বিবেচনায় দেশ-বিদেশের লোকজ সুরসুধায় উচ্চারিত হলো বাংলার লোকসঙ্গীতের নবজাগরণের প্রত্যাশা। অসুরের বিরুদ্ধে সুরের প্রতিবাদে স্বস্তির সুবাতাস ছড়িয়ে বিদায় নিলো এ উৎসব। নেত্রকোনার কেন্দুয়ার দৃষ্টিহীন বাউল সুনীল কর্মকারের গান দিয়ে সূচনা হয় উৎসবের সমাপনী দিনের পরিবেশনা। অন্তর দিয়ে দেখা দৃষ্টিহীন এই শিল্পীর সঙ্গে পরিবেশনায় অংশ নেয় খুদে বাউল শফিকুল ইসলাম। পরিবেশন করে বাউলসাধক জালাল খাঁর গান। তাদের পরিবেশিত কয়েকটি গানের শিরোনাম ছিল ‘অতৃপ্ত আশা’, ‘আঁধারে ঘিরিলো কোথায় যাইবো’ ও ‘কত আশা ছিল রে বন্ধু’। দ্বিতীয় পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসেন শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত শ্রোতাদের পরিচিত কিশোরগঞ্জের গায়েন ইসলাম উদ্দিন কিস্্সাকারের গান। তার সূত্র ধরে শহুরে শ্রোতা শুনতে পেল ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী পালাগান। যেহেতু পালাগান তাই শ্রবণের সঙ্গে যুক্ত হয় দর্শন। নারীর পোশাক পরিহিত এই পুরুষ বাউলের গানের সঙ্গে বিচিত্র অঙ্গভঙ্গির নাচে পরিবেশনা হয়ে ওঠে অনবদ্য। গল্পচ্ছলে গাওয়া তার পালার শিরোনাম ছিল ‘উতলা সুন্দরী’। পালা শেষে ছিল সমাপনী আনুষ্ঠানিকতা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের ও প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ফেরদৌসী রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উৎসবের আয়োজক সান ইভেন্টসের চেয়ারম্যান অঞ্জন চৌধুরী। আসাদুজ্জামান নূর বলেন, গ্রামের বাউল শহরে এসে শহুরে বাউল হয়ে গেছে। হোক সেটা ফিউশন। মাটির শেকড় থেকে সন্ধান করা এসব গান যত ছড়িয়ে যাবে ততই আমাদের সংস্কৃতি ঋদ্ধ হবে। ফেরদৌসী রহমান বলেন, দেশের সংস্কৃতিতে এক বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে এসেছে এ সম্মেলন। বার্ষিক আনন্দ-উৎসবে পরিণত হয়েছে এ উৎসব। সমাপনী আনুষ্ঠানিকতা শেষে মঞ্চে আসেন লোকগীতির সঙ্গে ক্লাসিক্যালের সম্মিলন ঘটানো শিল্পী বারী সিদ্দিকী। তার চমৎকার কণ্ঠসঙ্গীতের সঙ্গে শ্রোতাদের জন্য বাড়তি পাওনা ছিল সুরেলা বাঁশির সুর। বিচ্ছেদী আবহে এই শিল্পী গেয়ে শোনান ‘আষাঢ় মাইসা ভাসা পানি রে’, ‘মালিক ছাড়া কেনো গতি নাই’, ‘ঘরে জ¦ালা বাইরে জ¦ালা রে একমাত্র তোর প্রেমের কারণে’, ‘রজনী হইসনা অবসান/আজ নিশিতে আসতে পারে আমার বন্ধু কালাচাঁন’ গানগুলো। ‘শুয়াচান পাখি’ গানটি গেয়ে শেষ করে পরিবেশনা। এর পর পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসে দেশের লোকসঙ্গীত দল তাপস এ্যান্ড ফ্রেন্ডস। পাশ্চাত্য সঙ্গীতায়োজনে ফিউশন ঘরানায় তারা লোকগীতি পরিবেশন করে। সব শেষে মঞ্চে আসে এক হাতে একতারা ও অন্য হাতে ডুবকি বাজিয়ে শ্রোতাকে উচ্ছ্বসিত করা ভারতের পবন দাস বাউল। সেই সঙ্গে ছিল যুক্তরাজ্যের লোকজ ঘরানার ব্যান্ডদল সুশীলা রামান এ্যান্ড স্যাম মিলস। ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুশীলা ও স্যাম মিলস এ দলের দুই শিল্পী। মূলত ভারত ও পাকিস্তানের ভক্তিমূলক ও সুফিবাদী ঐতিহ্যকে ধারণ করে পরিবেশনা সাজায় দলটি। হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার পেলেন দুই কথাসাহিত্যিক ॥ কথাসাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য হাসান আজিজুল হক এবং নবীন সাহিত্য শ্রেণীতে স্বকৃত নোমান পেলেন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার-২০১৬। হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনকে সামনে রেখে তাদের এই পুরস্কারটি তুলে দেয় এক্সিম ব্যাংক ও পাক্ষিক পত্রিকা অন্যদিন। শনিবার বিকেলে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের হাতে তুলে দেয়া হয় পুরস্কার। হাসান আজিজুল হককে পুস্কারের সম্মানী হিসেবে ৫ লাখ টাকা প্রদান করা হয়। ‘কালকেউটের সুখ’ উপন্যাসের জন্য নবীন সাহিত্য শ্রেণীতে প্রাপ্ত স্বকৃত নোমানের পুরস্কারের সম্মানী ছিল ১ লাখ টাকা। এছাড়াও তাদের প্রদান করা হয় পুরস্কারের স্মারক উত্তরীয়। প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এছাড়াও অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, হুমায়ূন আহমেদের ভাই অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, হুমায়ূনপতœী মেহের আফরোজ শাওন, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া ও অন্যদিন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, হুমায়ূন আহমেদ রাজধানীতে সাংস্কৃতিক বলয় প্রতিষ্ঠায় মূল্যবান অবদান রেখেছেন। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, এই পুরস্কারটি একই সঙ্গে আনন্দ ও বেদনার। হুমায়ূন আহমেদ দীর্ঘ জীবন লাভ না করলেও তিনি বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে নতুনভাবে জাগিয়ে দিয়ে গেছেন। তার রচনা বৈচিত্র্য আমাদের মুগ্ধ করে। আমি বলব, তার ছোট গল্পের দিকে আরেকটু মনযোগী হলে তার মৌলিক উৎকর্ষতার সঙ্গে পরিচিত হওয়া যাবে। পুরস্কারপ্রাপ্তির অনুভূতি জানাতে এসে হাসান আজিজুল হক বলেন, লেখকদের এভাবে পুরস্কৃত করলে তারা অনুপ্রাণিত হয়, এটি ভীষণ উৎসাহব্যঞ্জক। হুমায়ূনের নামাঙ্কিত এই পুরস্কারটি গ্রহণ করে আমি ভীষণ গর্ববোধ করছি। স্বকৃত নোমান বলেন, আজ আমি এমন একজনের সঙ্গে এ পুরস্কারটি পেলাম, সাহিত্যজীবনের শুরু থেকে যার হাত আমার মাথার উপর আছে। অনুষ্ঠানে প্রশংসাবচন পাঠ করেন আবুল হাসনাত ও সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। শিল্পী সেলিম চৌধুরী হুমায়ূন আহমেদের লেখা গান পরিবেশন করেন। প্রতœসম্পদ রক্ষায় বড় সমস্যা দখলদারিত্ব ॥ আমাদের দেশ প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শনে সমৃদ্ধ। কিন্তু নানাবিধ সমস্যা সঙ্কটের কারণে এসব নিদর্শন সঠিকভাবে তুলে ধরতে সমস্যা হয়। এর মধ্যে অন্যতম সমস্য হচ্ছে প্রতœসম্পদের দখল। কিন্তু যে কেনভাবেই হোক এসব সমৃদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো সবার সামনে তুলে ধরতে হবে। পঞ্চগড়ের ভিতরগড় প্রাচীন দূর্গনগরী নিয়ে ‘হাউ টু সেভ ভিতরগড় ফর প্রসপারিটি : নিড ফর এ্যা ওয়েল কো-অর্ডিনেটেড এ্যাকশান প্ল্যান’ বিষয়ক একটি সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। এই সেমিনারের আয়োজন করে ভিতরগড় প্রমোশনাল সোসাইটি, প্রতœতত্ত্ব অধিদফতর ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর। শনিবার জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। অতিথি হিসেবে ছিলেন সংস্কৃতি সচিব আকতারী মমতাজ। স্বাগত বক্তব্য দেন ভিতরগড় প্রমোশনাল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল্লাহ করিম। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রতœতত্ত্ব অধিদফতরের মহাপরিচালক আলতাফ হোসেন। ভিতরগড় প্রাচীন দূর্গনগরী নিয়ে বিস্তৃত উপস্থাপনা করেন সেমিনারের প্রধান বক্তা ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস (ইউল্যাব)-এর অধ্যাপক প্রতœতত্ত্ববিদ ডক্টর শাহনাজ হোসেন জাহান। ভিতরগড়ের প্রতœতাত্ত্বিক খননকার্য বিষয়ে একটি উপস্থাপনা পেশ করেন প্রতœতত্ত্ব অধিদফতরের রাজশাহী বিভাগীয় আঞ্চলিক পরিচালক নাহিদ সুলতানা। সেমিনারে বিষয়ভিত্তিক কি-নোট উপস্থাপন করেন ভিতরগড় প্রমোশনাল সোসাইটির সভাপতি ও সেমিনারের সভাপতি প্রতœতত্ত্ববিদ সোহেল আহমদ চৌধুরী। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বিভিন্ন প্রতœসম্পদের নাম অনেক আগে জানা গেলেও ভিতরগড় প্রাচীন দূর্গনগরীর নাম তেমন জানা যায়নি। সাম্প্রতিক সময়ে সমৃদ্ধ এ ইতিহাসকে জনগণের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা চলছে, যা একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। ভিতরগড় একসময় দেশী-বিদেশী পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণে পরিণত হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বাংলাদেশ প্রতœসম্পদে সমৃদ্ধ একটি দেশ। মাটির উপরে ও মাটির নিচে প্রচুর প্রতœসম্পদ রয়েছে। আমাদের নানাবিধ সমস্যা ও সঙ্কট রয়েছে। অর্থের সঙ্কট থাকলেও তা তেমন বড় সমস্যা নয়। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো প্রতœসম্পদের দখলের বিষয়টি। পুরান ঢাকার শাঁখারিপট্টি, ছোট কাটরা, বড় কাটরা, লালবাগ কেল্লা, ভিতরগড়সহ সব জায়গায় একই অবস্থা। দখলকারীদের একটি প্রভাব বলয় রয়েছে, আমাদের জন্য যা বিরাট সমস্যা। এছাড়া দক্ষ লোকবল ও বিশেষজ্ঞের অভাবও রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভিতরগড়ের বিরাট অংশ দখল হয়ে আছে। দখলমুক্ত করে প্রাচীন এ দূর্গনগরীর খনন ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে হলে শুধু আইনের প্রয়োগ ও সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়, বসবাসকারীসহ সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণ, সচেতনতা ও চেতনা দরকার । মঙ্গলবার দিনব্যাপী নবান্ন উৎসব ॥ আগামী মঙ্গলবার পহেলা অগ্রহায়ণ দিনব্যাপী উদ্্যাপিত হবে নবান্ন উৎসব। একইসঙ্গে রাজধানীর দুই আঙ্গিনায় অনুষ্ঠিত হবে এ উৎসব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় ও ধানম-ি রবীন্দ্র সরোবর মুক্তমঞ্চে নাচ-গান, কবিতা ও কথায় স্বাগত জানানো হবে নবান্নকে। এদিন বকুলতলা সকাল ৭টা ১ মিনিট থেকে সকালের অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়ে প্রথম পর্ব সকাল ৯টায় নবান্ন শোভাযাত্রার মাধ্যমে শেষ হবে। দ্বিতীয় পর্ব একযোগে ধানম-ি রবীন্দ্র সরোবর মুক্তমঞ্চ ও চারুকলার বকুলতলায় বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। জাতীয় নবান্নোৎসব উদ্যাপন পর্ষদ আয়োজিত এ উৎসবের সহযোগিতায় রয়েছে ল্যাবএইড। এ বছরের উৎসব উদ্বোধন করবেন ভাষা সংগ্রামী, লেখক সংস্কৃতিজন আবুল মাল আবদুল মুহিত (গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় অর্থমন্ত্রী)। উৎসবে সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি, নবান্ন শোভাযাত্রা, আদিবাসী পরিবেশনাসহ বিভিন্ন পরিবেশনা থাকবে। থাকবে ঢাক-ঢোলের বাদন আর মুড়ি-মুড়কি-বাতাসা ও পিঠার আয়োজন।
×