ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

আশুলিয়ায় নারী কনস্টেবলের আত্মহত্যা, অভিযুক্ত পুলিশ গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৮:৩০, ১০ নভেম্বর ২০১৬

আশুলিয়ায় নারী কনস্টেবলের আত্মহত্যা, অভিযুক্ত পুলিশ গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা, সাভার, ৯ নবেম্বর ॥ আশুলিয়া থানার নারী কনস্টেবল সাবিনা ইয়াসমিন (২৫) গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বুধবার বিকেলে আশুলিয়া থানা চত্বরের এক শ’ গজ পশ্চিমে আহাদ আলীর পাঁচতলা ভবনে থাকা থানার ভাড়া করা ব্যারাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার রাতে ডিইপিজেড পুলিশ ক্যাম্পের ভেতর থেকে অভিযুক্ত কনস্টেবল জিয়াকে গ্রেফতার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। সাবিনার কক্ষ থেকে যে সুইসাইড নোটটি উদ্ধার করা হয়, তাতে কনস্টেবল জিয়াকে এ আত্মহত্যার ঘটনার জন্য অভিযুক্ত করা হয়। আর এ প্রেক্ষিতেই জিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নারী পুলিশ সদস্যের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলার পর বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় আশুলিয়ায় সাবিনা ইয়াসমিন নামে এক নারী পুলিশ সদস্য আত্মহত্যা করেছে। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আশুলিয়া থানার পেছনে আহাদ আলীর বাড়ি থেকে নিহতের ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় ওই কক্ষের ভেতর থেকে নারী পুলিশ সদস্যের হাতে লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করে থানা পুলিশ। একাধিক সূত্রমতে, একই থানায় চাকরির সুবাদে জিয়া ও সাবিনার মধ্যে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় আট মাস যাবত জিয়া ওই নারী পুলিশ সদস্যকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। জিয়া বিবাহিত ছিল- এ বিষয়টি না জানিয়েই সে সাবিনার সঙ্গে বিয়ের প্রলোভনে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। কয়েকদিন আগে জিয়া বিবাহিত- এ বিষয়টি জানতে পেরে খাবারে অনিয়ম ও চলাফেরা করতে দেখা যায় সাবিনাকে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ হয়ে গেলে সাবিনা বিয়ের জন্য জিয়াকে চাপ দেয়। কিন্তু জিয়া বিবাহিত ও তাদের একটি সন্তান থাকায় বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এসব কারণেই মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে সাবিনা আত্মহত্যা করে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
×