ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জিজিপি প্রকল্পে ধান চাষ ॥ কৃষক লাভবান

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ৯ নভেম্বর ২০১৬

জিজিপি প্রকল্পে ধান চাষ ॥ কৃষক লাভবান

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ চলতি আমন মৌসুমে গুড গ্রোথ প্ল্যান (জিজিপি) প্রকল্পের আওতায় আধুনিক প্রযুক্তিতে ধান চাষ করে লাভবান হয়েছে রাজশাহী অঞ্চলের কৃষকরা। এ প্রকল্পের অধীনে তানোর উপজেলার প্রত্যন্ত দুবাইল গ্রামের একশ’ কৃষক জমিতে আমন রোপণ করে বিঘাপ্রতি পাঁচ মণের বেশি ধানের ফলন পেয়েছেন। মঙ্গলবার তানোর উপজেলার দুবাইল গ্রামে বহুজাতিক কীটনাশক কোম্পানি সিনজেনটার উদ্যোগে আয়োজিত ‘ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস’ অনুষ্ঠানে জিজিপি প্রকল্পের সুফলভোগী কৃষকেরা এসব তথ্য দেন। সিরাজউদ্দিন নামের এক কৃষক বলেন, এ পদ্ধতিতে এক বিঘা জমি চাষ করে ২৪ মণ ধান পেয়েছি। সনাতন পদ্ধতিতে চাষ করলে বিঘায় ১৯ মণের বেশি ফলন পাওয়া যায় না। সিনজেনটা কোম্পানির কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে সঠিক বীজ নির্ণয়, বীজ শোধন এবং যথা সময়ে জমিতে কীটনাশক ও সার দিতে পারায় ফলন বেশি হয়েছে। স্থানীয় কয়েক কৃষক জানান, এ পদ্ধতিতে ধান চাষে বিঘায় এক হাজার টাকার সার ও কীটনাশক খরচ বেশি হয়। কিন্তু ফলন বেশি হওয়ায় খরচ বাদ দিয়েও সনাতন পদ্ধতির চেয়ে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা বেশি উপার্জন করা যায়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক জয়নাল আবেদীন বলেন, দেশে কৃষি জমির পরিমাণ কমে যাওয়ায় অল্প জমিতে বেশি ফসল উৎপাদনের বিকল্প নেই। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সিনজেনটার জিজিপি প্রকল্পের আওতায় ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ প্রশংসনীয়। সিনজেনটার সেলস ক্যাপাবিলিটি ম্যানেজার আদম আলী বলেন, জিজিপি প্রকল্পের আওতায় গত চার বছর ধরে বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর, যশোর, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা জেলায় ধান চাষ করা হচ্ছে। উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে পিটিয়ে আহত ॥ দুজনের দ- নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া, ৮ নবেম্বর ॥ মেহেরপুরে জেএসসি পরীক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত এবং মেয়ের সামনেই বাবাকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় আটক দুই বখাটে যুবককে কারাদ- দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। দ-প্রাপ্তরা হলো গাংনী উপজেলার বামুন্দি বুনোপাড়া এলাকার কাওছার আলীর ছেলে বিপ্লব হোসেন ও একই গ্রামের ওবায়দুল হকের ছেলে বাচ্চু হোসেন। মঙ্গলবার দুপুরে গাংনী উপজেলা চত্বরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের প্রত্যেককে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদ-ের নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম জামাল আহমেদ। ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি সূত্র জানায়, মেহেরপুরের বামুন্দি-নিশিপুর স্কুল এ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের জেএসসি পরীক্ষার্থী মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন বাবা। গত সোমবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে তারা বামুন্দি সিনেমা হলের সামনে পৌঁছলে স্থানীয় বুনোপাড়া এলাকার খেদুর ছেলে সাগর, খোদা বকসের ছেলে আলাল, মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে বুনো শামীম, রাহাতুল ইসলামের ছেলে লিখন, ওবায়দুল হকের ছেলে বাচ্চু হোসেন ও কাওছার আলীর ছেলে বিপ্লব হোসেনসহ কয়েকজন মোটরসাইকেলে তাদের পিছু নিয়ে মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে।
×