ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার বিকৃত ইতিহাস প্রচার করছে ॥ ফখরুল

জিয়ার মাজারে খালেদার শ্রদ্ধা নিবেদন, বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ৮ নভেম্বর ২০১৬

জিয়ার মাজারে খালেদার শ্রদ্ধা নিবেদন, বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ৭ নবেম্বর উপলক্ষে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। দলটির পক্ষ থেকে ৭ নবেম্বরকে বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচীও পালন করেছে। এর মধ্যে সোমবার সকালে পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এবং গুলশানের চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এছাড়াও পোস্টার লিফলেট বিতরণ ও বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়। জিয়ার মাজারের শ্রদ্ধা জানানো শেষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ৭ নবেম্বর সম্পর্কে সরকার বিকৃত ইতিহাস প্রচার করছে। তারা ক্ষমতায় গিয়ে ৭ নবেম্বরকে অবমূল্যায়ন করছে। একই সঙ্গে তিনি দিবসটি উপলক্ষে বিএনপি সমাবেশের অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দলের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বেগম জিয়া শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানান এবং ফাতেহা পাঠ করেন। প্রয়াত বিএনপির এই প্রতিষ্ঠাতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাতেও অংশ নেন তিনি। এ সময় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদ জিয়া ও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম ছাড়াও দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে ছিলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ নেতা চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, রুহুল আলম চৌধুরী, আবদুল মান্নান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, রুহুল কবির রিজভী, মাহবুবউদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, কায়সার কামাল, কাজী আসাদুজ্জামান আসাদ, নাজিমউদ্দিন আলম, কামরুজ্জামান রতন, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আফরোজা আব্বাস ও সাইফুল আলম নিরবসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের কাছে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, দিনটি উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে চালু রাখার জন্য সমাবেশের অনুমতি দেবে। বিএনপি সমাবেশ করার সুযোগ পাবে। প্রত্যাশা করি এ বিষয়ে সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। বাহ্মণবাড়িয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য বিনষ্ট দেশের ভাবমূর্তিকে খারাপভাবে দেখাতে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটানা ঘটানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগের লোকেরাই। পত্রপত্রিকায়ও এসেছে, কারা এর নেতৃত্ব দিয়েছে। এতে প্রমাণ হয়েছে সরকারের দলের লোকেরাই এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে বিরোধী দলের ওপরে সেই দোষ চাপায়। এ ধরনের ঘটনাকে সরকারের অত্যন্ত বিকৃত এবং হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার শামিল বলে উল্লেখ করেন। এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে বিরোধী দলকে দমনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে তারা।
×