ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মোহাম্মদ আলী

দুই নেত্রী? ॥ একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ৫ নভেম্বর ২০১৬

দুই নেত্রী? ॥ একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ

(৪ নবেম্বরের সম্পাদকীয় পাতার পর) দিনমজুর, ভিক্ষুক সবাই এখন মোবাইল ফোনের মালিক। শেখ হাসিনার উদ্যোগেই বাংলাদেশে ও সেক্টরের ব্যাপক উন্নতি ও বিস্তৃৃতি লাভ ঘটেছে। হাজার হাজার ছেলেমেয়ের কর্মসংস্থান হয়ছে। কালক্রমে ও একটি বড় রফতানি খাতে পরিণত হবে এবং এর মাধ্যমে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় আসবে। শেখ হাসিনার আর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হলো Fiber optics submarine cable-এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে Information Super Highway তে যুক্ত করা। খালেদা জিয়া একটি অত্যন্ত ঠুনকো কারণ ও সঙ্কীর্ণ চিন্তার বশবর্তী হয়ে ইতোপূর্বে এই সংযোগটি গ্রহণ করেননি, যা ওই সময়ে আমরা বিনা ব্যয়ে গ্রহণ করতে পারতাম। শেখ হাসিনা সব ধরনের ভ্রান্ত ও সঙ্কীর্ণ বিবেচনার উর্ধে উঠে দেশের স্বার্থে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে কোন দ্বিধা করেন না। Fiber optics submarine cable -এর বিষয়টি তার একটি বড় উদাহরণ। শেখ হসিনাই প্রথম প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে লাইসেন্স দিতে শুরু করেন। যার ফলে আজকে বাংলাদেশে এত প্রাইভেট চ্যানেল operate করছে। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতির স্বার্থে শেখ হাসিনা সব সময় সঙ্কীর্ণ দলীয় বিবেচনার উর্ধে থেকেছেন। দলীয় বিবেচনায় বা অন্য সরকারের আমলে শুরু করা কোন প্রকল্প বা কর্মসূচী তিনি কখনও বাতিল বা স্থগিত করেননি। LGED-র অবসরপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী ওয়াহিদুল হকের মুখে শুনেছিলাম যে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনা একটি সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ রিভিউ করছিলেন। অনেক প্রকল্পের বিষয়ে তাঁকে জানানো হলো যে, সেগুলো বিএনপি এমপিদের সুপারিশে গৃহীত হয়েছিল এবং সেই প্রকল্পগুলো রাখা হবে কিনা সে ব্যাপারে তাঁর সিদ্ধান্ত কামনা করা হয়। শেখ হাসিনা অত্যন্ত দ্ব্যর্থহীনভাবে সিদ্ধান্ত দিলেন যে, এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে গ্রামীণ জনগণের উপকার হবে, কাজেই এগুলো অবশ্যই সম্পন্ন করতে হবে, কার সুপারিশে সেগুলো গৃহীত হয়েছিল সেই প্রশ্ন অবান্তর। উন্নয়ন কর্মসূচী বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার কাছে জনগণের সুবিধা এবং স্বার্থই একমাত্র বিবেচ্য বিষয়, এটি অনেকবার প্রমাণিত হয়েছে। শেখ হাসিনার উন্নয়ন ভাবনা অত্যন্ত পরিষ্কার এবং উৎসাহব্যঞ্জক। তিনি প্রতিনিয়ত দেশবাসীকে সমৃদ্ধÑ উন্নত ভবিষ্যত বাংলদেশের প্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর প্রতিটি বক্তব্যে সেই অনুপ্রেরণা, সেই প্রত্যয় অত্যন্ত জোরালোভাবে উচ্চারিত হয়। তিনি দেশবাসীকে শুধু উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্নই দেখাচ্ছেন না, সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য নিরলসভাবে এবং পরিকল্পিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিটি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট ও সময়োপযোগী নীতিমালা ও কর্মপরিকল্পনার প্রয়োজন হয়। আর এটাও সর্বজনস্বীকৃত যে, যে কোন দেশের দীর্ঘমেয়াদী টেকসই উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মানবসম্পদ উন্নয়ন। সে লক্ষ্যে প্রয়োজন শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সুষ্ঠু নীতিমালা এবং ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম। শেখ হাসিনার সরকার জাতিকে একটি শিক্ষানীতি উপহার দিয়েছেন। ইতোপূর্বে তিনি একটি সুচিন্তিত স্বাস্থ্যনীতি ও কর্মপরিকল্পনা, সময়োপযোগী জনসংখ্যা নীতি, দেশের সর্বস্তরের জনগোষ্ঠীর বিশেষ করে শিশুদের পুষ্টির জন্য পুষ্টি ও খাদ্যনীতি গ্রহণ করেন। মা ও শিশুস্বাস্থ্য উন্নয়নে শেখ হাসিনার অবদান বিশেষ প্রশংসার দাবি রাখে। তিনি ‘নিরাপদ মাতৃত্ব’ কর্মসূচীর উদ্যোক্তা এবং তার আমলেই প্রথম ১৯৯৭ সালে প্রতি বছর ২৩ মে ‘নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও যুগান্তকারী কর্মসূচী হলো গ্রামাঞ্চলে প্রতি ছয় হাজার মানুষের জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন। এই ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণ অতি সহজলভ্যভাবে প্রাথমিক স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবা এবং পরিবার পরিকল্পনা সেবা পেয়ে থাকেন। দুঃখের বিষয়, বিএনপি সরকার ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে এই অতি প্রয়োজনীয় প্রকল্পটি বন্ধ করে দেয় যার ফলে কোটি কোটি মানুষ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে জবারঃ Revitalization of Community Clinic Project--এর মাধ্যমে শেখ হাসিনা এই প্রকল্পটি পুনরায় চালু করেছেন। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার আর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো পিজি হাসপাতালকে উন্নীত করে দেশের প্রথম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন যার মাধ্যমে দেশে উন্নততর চিকিৎসা, চিকিৎসা ক্ষেত্রে গবেষণা ও উচ্চতর ট্রেনিংয়ের পথ সুগম হয়। দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ভৌত অবকাঠামো, দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়ন কর্মসূচী গ্রহণ ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শেখ হাসিনার উদ্যোগ তুলনাহীন। যমুনা সেতুর কার্যক্রম আগে শুরু হলেও তার আমলেই সেটির সুষ্ঠু ও সন্তোষজনক বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়। অদম্য সাহস ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে তিনি নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর মতো দেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্পের কাজ শুরু করেন। বিদ্যুত ক্ষেত্রে যুগান্তকারী উন্নয়ন নিশ্চিত করেন ফা¬ইওভার নির্মাণ, অর্থনৈতিক জোন স্থাপন, মেট্রোরেলের উদ্যোগ, পায়রা বন্দর নির্মাণ, দেশে কৃষি বিপ্লব প্রতিটি ক্ষেত্রেই শেখ হাসিনার জাদুকরী স্পর্শে দেশ দ্রুত মধ্যম আয় তথা উন্নত দেশের পর্যায়ে এগিয়ে চলেছে। বিশ্বের দরবারে বাড়ছে দেশের সম্মান ও গুরুত্ব। শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি লাভে ধন্য হয়েছেন। প্রতিটি সরকারী দায়িত্ব এবং রাষ্ট্র্রীয় প্রটোকল শেখ হাসিনা অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে থাকেন। একটি উদাহরণ দেই, একটি নিয়ম আছে যে, প্রধানমন্ত্রী বিদেশ ভ্রমণের পূর্বে এবং বিদেশ থেকে ফিরে মহামান্য রাষ্ট্র্রপতির সঙ্গে দেখা করতে হয় এবং তাকে ব্রিফ করতে হয়। শেখ হাসিনা সব সময় এই দায়িত্বটি যথাযথভাবে পালন করেন। শেখ হাসিনার যে বৈশিষ্ট্যটি তার ক্ষেত্রে আলাদা গুরুত্ব বহন করে তা হলো তার জীবনাচরণ। তিনি ফজরের নামাজ ও কোরআন তেলাওয়াত করে দিন শুরু করেন, সঠিক সময়ে অফিসে আসেন, সমানুবর্তিতা তার একটি বিশেষ গুণ, কোন অনুষ্ঠানে বা সভায় আমি তাকে কখনও বিলম্বে যেতে দেখিনি। তিনি নিরলসভাবে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে পারেন। কাজের জন্য তাঁর কখনও সময়ের অভার হয় না। ইংরেজীতে একটি কথা আছে ‘ঞযব নঁংরবংঃ সধহ যধং ধষষ ঃযব ঃরসব রহ ঃযব ড়িৎষফ’ শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে কথাটি খুবই প্রযোজ্য। কোন কাজের জন্য তাঁর সময়ের অভাব হয় না এবং তিনি কোন কাজ ফেলে রাখেন না। ২০০৯ সালের নির্বাচনের পূর্বে কোন একটি কাজে আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চাই। আমাকে সময় দিলেন রাত ১১টা। আমি ‘সুধা সদনে’ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে দেখি তখনও প্রায় ২০-২৫ জন লোক তার সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষমাণ। তিনি আমাদের সবার কথা শুনলেন, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিলেন। সারাদিন তিনি প্রতিটি মুহূর্ত কর্মব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু রাত ১১-৩০ মিনিটে তাঁর মধ্যে ক্লান্তির কোন লেশমাত্র নেই। জানতে পারলাম আমাদের সঙ্গে কথা শেষ করে তিনি এশার নামাজ পড়বেন এবং ডিনার করবেন। তারপর ঘুমাতে যাবেন। ‘সুধা সদনে’ আর যে দৃশ্যটি আমি অনেকবার প্রত্যক্ষ করেছি তা হলো গরিব-দুঃখী মানুষ এবং দলের নির্যাতিত দরিদ্র কর্মীদের প্রতি তার মায়াভরা ও সহানুভূতিপূর্ণ ব্যবহার। অনেক দরিদ্র সাহায্যপ্রার্থী মহিলা তাকে আবেগ ও শ্রদ্ধাভরে জড়িয়ে ধরতেন। তিনিও তাদের তেমন আবেগ ও ভালবাসা দিয়ে জড়িয়ে ধরেন, ধৈর্য সহকারে তাদের কথা শোনেন এবং তাৎক্ষণিক সাহায্য দিতে ভোলেন না। গরিব-দুঃখী সাধারণ মানুষ, তৃণমূল পর্যায়ের কর্মী কারও সঙ্গে তিনি দূরত্ব বজায় রেখে চলেন না। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে আর একটি ঘটনা উল্লেখ করতে চাই। ঘটনাটি শেখ হাসিনার উদারতা ও ন্যায় বিচারের একটি দৃষ্টান্ত। আমি সরকারী চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর স্বাস্থ্য সচিব হিসেবে কে আমার স্থলাভিষিক্ত হবে এই নিয়ে আলোচনার জন্য শেখ হাসিনা একদিন আমাকে তার অফিসে দেখা করতে বললেন। আমি ও আমার এক জ্যেষ্ঠ সহকর্মী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর অফিসে যাই। আলোচনাকালে সম্ভাব্য কর্মকর্তাদের মধ্যে এমন একজনের নাম উঠল যার এক নিকটাত্মীয় বঙ্গবন্ধু হত্যা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ ছিল। আমার সহকর্মী এই কথাটি উল্লেখ করলে শেখ হাসিনা জবাব দিলেন যে, ষড়যন্ত্র তো তার আত্মীয় করেছে, তিনি তো করেননি, তার আত্মীয়ের অপরাধে আমি তাকে অপরাধী বিবেচনা করব কেন? তিনি তো একজন সৎ ও দক্ষ অফিসার। শেখ হাসিনা তখন কতকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ওই কর্মকর্তার দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের বর্ণনা দিয়ে তার সন্তুষ্টির কথা জানালেন। আমার চাকরিকালে আমি লক্ষ্য করেছি শেখ হাসিনা সব সময়ই সঠিকভাবে এবং উদারতার সঙ্গে সব কর্মকর্তার মূল্যায়ন করতেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার দক্ষতা দেখে আমি মাঝে মাঝে আশ্চর্য হয়ে যেতাম। একটি ঘটনা প্রায়ই মনে পড়ে। পিজি হাসপাতালকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার প্রক্রিয়ায় একদিন বিকেলে একটি ফাইল তার আদেশের জন্য নিয়ে যাই। ফাইলটি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে সেদিনই রাষ্ট্র্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠাতে হবে। নথিতে যে ংঁসসধৎু ছিল শেখ হাসিনা সেটি পড়ে কিছু পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন। কিন্তু সার-সংক্ষেপটি পুনরায় লিখে টাইপ করে নিয়ে আসতে হলে বিষয়টি বিলম্বিত হবে এই ভেবে শেখ হাসিনা নিজেই এটিতে এমন ভাবে গুছিয়ে ৫-৬ লাইনের একটি আদেশ লিখলেন যাতে নথিটি আর কোন ৎবারংরড়হ ছাড়াই রাষ্ট্র্রপতির কাছে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হলো। সেই আদেশটি এমন সুচিন্তিত ও সুলিখিত ছিল যে আমরা যারা ৩০-৩৫ বছর যাবত চাকরি করেছি এবং অসংখ্য নথিতে নোট বা ড়ৎফবৎ লিখেছি তাদের পক্ষেও অতটা গুছিয়ে লেখা বোধহয় সম্ভব হতো না যেভাবে শেখ হাসিনা লিখেছিলেন। এই লেখায় দুই নেত্রী সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা, বিভিন্ন তথ্য ও ঘটনাবলীর আলোকে যে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হলো তারপর আশা করি কেউ আর দুই নেত্রীকে এক পাল্লায় মাপার চেষ্টা করবেন না। শেখ হাসিনাকে ও খালেদা জিয়াকে অবশ্যই ভিন্ন মানদ-ে মূল্যায়ন করতে হবে। কারণ, প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাদের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য। ব্যক্তি হিসেবে, মানুষ হিসেবে, রাজনৈতিক নেত্রী হিসেবে এবং সরকারপ্রধান হিসেবে শেখ হাসিনার স্থান নিঃসন্দেহে অনেক উর্ধে। দেশের ভবিষ্যত উন্নতি অগ্রগতির লক্ষ্যে শেখ হাসিনার কাছ থেকে যা প্রত্যাশা করা যায়, খালেদা জিয়ার কাছ থেকে তার সিকিভাগও আশা করা সমীচীন হবে না। কারণ, খালেদা জিয়ার ব্যর্থতা, সীমাবদ্ধতা ও দুর্বলতাগুলো আমাদের স্মরণ রাখতে হবে। শেখ হাসিনাই সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশের রূপকার, একজন সফল সরকারপ্রধান, নন্দিত রাষ্ট্রনায়ক। খালেদা জিয়াকে এই ভূমিকায় কোন অবস্থাতেই কল্পনা করা যায় না। (সমাপ্ত) লেখক : সাবেক সচিব
×