ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

কাঁচাবাজারেও স্বস্তি নেই ভোক্তাদের

ভোগ্যপণ্যের বাজার অস্থির, দফায় দফায় বাড়ছে চাল চিনি তেল লবণের দাম

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ৩ নভেম্বর ২০১৬

ভোগ্যপণ্যের বাজার অস্থির, দফায় দফায় বাড়ছে চাল চিনি তেল লবণের দাম

এম শাহজাহান ॥ অত্যাবশ্যকীয় চারপণ্য চাল চিনি ভোজ্যতেল এবং লবণ বিক্রি হচ্ছে অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি দামে। এছাড়া দাম বাড়ার তালিকায় আছে নিত্যপণ্য শাক-সবজি। কাঁচা বাজারে ভোক্তাদের স্বস্তি নেই। এসব পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে সরকারীভাবে কিছু পদক্ষেপ থাকলেও বাজারে তার কোন প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। কোরবানির আগে আমদানি করা লবণ দেশে না পৌঁছানোর কারণে কমছে না এই পণ্যটির দাম। প্রশ্ন উঠেছে- তাহলে লবণ আমদানি করার অনুমতি দিয়ে সরকার কাদের লাভবান করতে চাচ্ছে? দ্রব্যমূল্য মজুদ এবং সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে সর্বশেষ বুধবারের বৈঠকে সর্বপ্রথমে লবণের প্রসঙ্গ সামনে নিয়ে আসা হয়। আমদানি করা লবণ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দেশে নিয়ে আসার জন্য ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে লবণ আনা সম্পন্ন না হলে আমদানিকারকদের শাস্তি প্রদানের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। এদিকে, আন্তর্জাতিক বাজারে কমলেও দেশে দফায় দফায় বাড়ছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য চাল, চিনি, ভোজ্যতেল, লবণ, রসুন এবং ডালের দাম। সবজির দাম এখন আকাশ ছোঁয়া। পেঁয়াজ ছাড়া গত এক বছরে ১১৪টি খাদ্যপণ্যের সবগুলোর দাম বেড়েছে। ২২টি নিত্যব্যবহার্য সামগ্রী এবং ১৪টি সেবা সার্ভিস নিতে মানুষকে আগের তুলনায় বেশি খরচ করতে হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের যাঁতাকলে পড়ে ভোক্তাদের ত্রাহি অবস্থা। স্বল্প আয়ের মানুষ ভোগ্যপণ্য কিনতে উপার্জনের সবটুকু ব্যয় করছেন। তারপরও স্বস্তি মিলছে না। সংশ্লিষ্টদের মতে, বাজার ব্যবস্থায় এ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির লাগাম টেনে ধরা ও কারসাজি রুখতে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় সরকারকে আরও কঠোর ও কৌশলী হতে হবে। কার্যকর করতে হবে প্রতিযোগিতা কমিশন আইন। জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরের ঘুম ভাঙ্গাতে হবে। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রয়োগ করে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়ারও তাগিদ দিয়েছে দেশে ভোক্তা অধিকার আন্দোলনের সংগঠনগুলো। এদিকে, সরকার নিয়ন্ত্রিত ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ টিসিবির তথ্যমতে বর্তমানে প্রতিকেজি সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৫৬ টাকায়। এক্ষেত্রে এক বছরে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১১ শতাংশ, মাঝারি মানের ৪০-৪৫ এবং মোটা স্বর্ণা, চায়না ও ইরি জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকায়। এক্ষেত্রে মোটা চালের দাম বেড়েছে প্রায় ১৯ শতাংশ পর্যন্ত। প্রতিলিটার ভোজ্যতেল লুজ সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৮৪-৮৬ টাকা এবং গত এক বছরে দাম বেড়েছে প্রায় ১২ ভাগ। চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭২-৭৫ টাকা কেজি এবং এক্ষেত্রে দাম বৃদ্ধির হার ৭৩ শতাংশ, লবণ দ্বিগুণ দামে ৩৫-৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত এক বছরে অত্যাবশ্যকীয় এই পণ্যটির দাম বেড়েছে ৫২ ভাগ পর্যন্ত। ৭০ শতাংশ দাম বেড়ে রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮৫ টাকা কেজি। মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১৫০ টাকা কেজি এবং এক্ষেত্রে দাম বৃদ্ধির হার প্রায় সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত। গত এক বছরে শুধু পেঁয়াজের দাম হ্রাস পেয়েছে। প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০-৩৫ টাকায় এবং এক বছরে দাম কমেছে প্রায় ৪৭ শতাংশ পর্যন্ত। এই বাস্তবতায় ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ে চরম অস্বস্তিতে দেশের কোটি কোটি সাধারণ ভোক্তা। লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে অস্বস্তি বিরাজ করছে সব শ্রেণীর ক্রেতাদের মধ্যে। ভোক্তাদের জিজ্ঞাসা-আন্তর্জাতিক বাজারে যখন মূল্য কমছে তখন কেন বাংলাদেশে এসব পণ্যের দাম বাড়ছে? তবে এসব প্রশ্নের সঠিক কোন উত্তর নেই সংশ্লিষ্টদের। তাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে-এসব সিন্ডিকেট চক্রের কারসাজি, জিম্মি হয়ে পড়ছে প্রশাসন। দুর্বল বাজার মনিটরিং, প্রতিযোগিতা কমিশন গঠন করা হলেও তা কার্যকর না হওয়া, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে যে আইন রয়েছে তা প্রয়োগ না হওয়া, ভ্রাম্যমাণ আদালত নিষ্ক্রিয় থাকা এবং পণ্যমূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার সুযোগ নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। তাই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং টিম শক্তিশালী করার সঙ্গে সঙ্গে সরকার নিয়ন্ত্রিত সংস্থা টিসিবিকে শক্তিশালী করার পরামর্শ রয়েছে তাদের। ক্যাব সভাপতি ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমানের মতে, বাজার ব্যবস্থায় প্রতিযোগিতা হ্রাস ও আইনী নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারণেই অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট গড়ে উঠছে। তারা অযৌক্তিক মুনাফার উদ্দেশে সময় ও সুযোগ বুঝে বাজার বিভাজনের মাধ্যমে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে আসছে। এ প্রবণতা ভোক্তা কিংবা সরকার কারও জন্যই শুভকর নয়। তিনি ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণে বিশেষ আইন প্রয়োগ করারও প্রস্তাব করেন। ইতোপূর্বে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সব ধরনের পণ্যের বিক্রয় মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব যুক্তিযুক্ত নয়। সাধারণ মানুষের নিত্যব্যবহার্য সেবা ও পণ্যের ওপর ভ্যাট আরোপ সরকারের জনকল্যাণমুখী নীতির সঙ্গে কোনভাবেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এটি করা হলে দ্রব্যমূল্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাবে। অসৎ ব্যবসায়ীরা আরও লাভবান ও জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একইসঙ্গে এটি ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণও বাড়বে। এ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট আরোপ না করার পরামর্শ দেন তিনি। চিনি ভোজ্যতেল ও লবণের দাম বেশি নেয়া হচ্ছে ॥ পণ্যের দর ও জাহাজ ভাড়া মিলিয়ে এক কেজি চিনির উৎপাদন খরচ পড়ে ৪৬ টাকা। গত জুনে ইউনাইটেড সুগার মিলস অপরিশোধিত চিনি আমদানি করেছে প্রতিটন ৩২০ ডলার দরে। এসব দরে আমদানি করা চিনি বর্তমানে দেশের বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে। অথচ আমদানি ব্যয়, পরিশোধন খরচ এবং সরকারের শুল্ককর ও ভ্যাট পরিশোধসহ প্রতিকেজি চিনিতে খরচ পড়ে ৫০ থেকে ৫২ টাকা। প্রতিকেজিতে পাইকারি ব্যবসায়ী বা পরিবেশক এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের দুই ও তিন টাকা করে লাভ ধরলে কেজিপ্রতি দর হওয়ার কথা ৫৫ থেকে ৫৭ টাকার মধ্যে। কিন্তু কারসাজি করে সেই চিনি এখন বিক্রি করা হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায়। এ প্রসঙ্গে মৌলবীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও চিনি ব্যবসায়ী হাজী মোঃ আলী ভুট্টো জনকণ্ঠকে বলেন, মিলমালিকদের কারণে চিনির দাম কমছে না। এছাড়া অপরিশোধিত এবং পরিশোধিত চিনির শুল্কহার সমন্বয় করা হলে চিনির দাম কমে আসবে। এদিকে, গত মাসের শেষের দিকে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম লিটারে দুই থেকে চার টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন মিল মালিকরা। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার অজুহাতে এ কাজ করেছেন তারা। সরকারী প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, এছাড়া সয়াবিন তেল লুজ প্রতিলিটার ৮৪-৮৬ টাকা বিক্রি হয়েছে। সম্প্রতি ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে ভোজ্যতেলের এই মূল্য বৃদ্ধিকে অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে, টিসিবির তথ্যমতে, বাজারে প্রতিকেজি পরিশোধিত লবণের দাম এখন ২৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত। গত বছর এই সময়ে প্রতিকেজি লবণের দাম ছিল ১৫ থেকে ২৮ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে লবণের দাম বেড়েছে ৫২ শতাংশ। এ অবস্থায় দেশের বাজারে কাঁচা লবণের দাম বাড়ার কারণে খাবার লবণের দাম বাড়ছে বলে মনে করছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে গত এক মাসের ব্যবধানে মসুর ডালের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে টনপ্রতি মসুর ডালের দাম ছিল ৫০ হাজার ৪৪০ টাকা। গত মাসের এই দিনে টনপ্রতি মসুর ডালের আন্তর্জাতিক দর ছিল ৭৭ হাজার ৯০৭ টাকা। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক বাজারে মসুর ডালের দর কমেছে ৩৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। আর গত এক বছরের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক বাজারে মসুর ডালের দর কমেছে ২৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। কিন্তু দেশের বাজারে গত এক মাসে দাম এক টাকাও কমেনি। বছরওয়ারি হিসাব করলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রায় ২৪ শতাংশ দরপতন হলেও দেশের ভেতরে দাম বেড়েছে প্রায় ৭ থেকে ২৮ শতাংশ পর্যন্ত। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন জনকণ্ঠকে বলেন, এটা সত্য যে, সরকারী পলিসির কারণে গত এক বছরে চিনির দাম বেশ বেড়ে গেছে। যদিও মূল্য এত বাড়ার কথা নয়। এক্ষেত্রে বাজারে কিছু কারসাজি করা হতে পারে। কেন দাম বেড়ে চিনির দাম আর কমছে না তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। লবণের দাম বাড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই পণ্যটির দাম কমে আসবে। চাহিদার ঘাটতি পূরণে লবণ আমদানি করা হচ্ছে। এছাড়া ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ ও ডালের দাম এখনও মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্যের দাম যাতে আর না বাড়ে সে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। জানা গেছে, গত রমজানে রিফাইনারিগুলো হঠাৎ তেল ও চিনির দাম বাড়িয়ে দেয়। এক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আগাম কোন আলোচনা করেননি মিল মালিকরা। দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির অজুহাত এবং পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের মুনাফা দ্বিগুণ করার তথ্য তুলে ধরে ট্যারিফ কমিশনে একটি আবেদন পাঠিয়েছেন মিল মালিকরা। তাতে নিজেদের মুনাফাও দ্বিগুণ করার প্রস্তাব করা হয়। আবার পণ্যের দাম যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে, সে জন্য চিনির ওপর আরোপিত ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারেরও দাবি করেছেন তারা। অবশ্য বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহারের বিরোধিতা করে বলেছে, রিফাইনারিগুলো কম দামে আমদানি করা চিনি অধিক মুনাফায় অযৌক্তিকভাবে বেশি দরে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছে। প্রতিযোগিতা কমিশন ব্যর্থ ॥ দ্রব্যমূল্য কমাতে প্রতিযোগিতা কমিশন ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও পণ্য ও সেবা বিপণন ব্যবস্থায় সুস্থ ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে চার বছর আগে ২০১২ সালে প্রণয়ন করা হয় প্রতিযোগিতা আইন। এ আইন বাস্তবায়নের জন্য ২০১৩ সালের গঠন করা হয় প্রতিযোগিতা কমিশন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন কাজ করার সক্ষমতা অর্জন করেনি ওই কমিশন। ২০১৩ সাল থেকে এ অফিস চালু হলেও এতদিন এ কক্ষে বসতেন যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কমিশন সচিব। এই একজন মাত্র জনবল ছিল। এর পরে গত ১৯ এপ্রিল কমিশনের একজন প্রধান কর্তাব্যক্তি বা চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ ইকবাল খান চৌধুরীকে। এর পরে গত ২২ মে নিয়োগ দেয়া হয়েছে উপ-সচিব পদমর্যাদার একজন ও সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার দুই কর্মকর্তাকে। তবে এখনও তাদের বসার ব্যবস্থা হয়নি। ফলে আইনটির সুফল পাচ্ছে না ভোক্তা সাধারণ। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জা আজিজুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, প্রতিযোগিতা কমিশন গঠন সরকারের একটি ভাল উদ্যোগ। কিন্তু এটি কার্যকর না হলে এর সুফল পাওয়া যাবে না। তাই প্রতিযোগিতা কমিশন কার্যকরে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
×