ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

কথিত গোলাগুলিতে যশোরে শ্রমিকদল নেতা নিহত

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ৩ নভেম্বর ২০১৬

কথিত গোলাগুলিতে যশোরে শ্রমিকদল নেতা নিহত

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ মনিরামপুরে দু’গ্রুপের মধ্যে কথিত গোলাগুলিতে আনিসুর রহমান (৩৮) নামে শ্রমিকদলের স্থানীয় এক নেতা নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত দুইটার দিকে তিনি মারা যান বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। পুলিশের দাবি, দু’পক্ষের গোলাগুলিতে আনিসুর রহমান নিহত হন। কিন্তু নিহতের পরিবারের দাবি, গত ৩০ অক্টোবর ভোরে পুলিশ তাকে লাউড়ি থেকে গ্রেফতার করে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত পৌনে দুইটার দিকে মনিরামপুর থানার এসআই কওসার আহত আনিসকে হাসপাতালে ভর্তি করে রেখে যান। রাত ২টা ৫ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহত আনিসুর রহমান মনিরামপুর উপজেলার লাউড়ি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। নিহত আনিসুর শ্রমিকদলের শ্যামকুড় ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ছিলেন। নিহতের ভাই আজিজুর রহমান জানান, তার ভাই আনিস মনিরামপুর বাজারে রড-সিমেন্টের ব্যবসা করেন। ৩০ অক্টোবর ভোরে আনিসকে মনিরামপুর থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। সকালে থানায় আনিসকে দেখতে গেলে পুলিশ জানায়, তাকে যশোর ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে তারা যশোর ডিবি অফিসে আনিসকে দেখতে গেছেন। এরপর বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে মর্মে পুলিশ দশ লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করে। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবিকৃত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করা হয়। এরপর বুধবার সকালে আনিসের লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে আছে খবর পেয়ে তিনি হাসপাতালে আসেন। মনিরাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলার বেগারিতলায় মিজান-মাহফুজ ও আনিসুর গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি হচ্ছে- এমন সংবাদ আসে তার কাছে। এরপর সেখানে পুলিশের একদল ফোর্স পাঠানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আনিসুরকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। গণপিটুনিতে দুই অপহরণকারী নিহত নিজস্ব সংবাদদাতা, বান্দরবান, ২ নবেম্বর ॥ লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হারগাজা ফকিরাখোলা এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে সিএনজি অটোরিক্সা থামিয়ে ৪ জনকে অপহরণ করার ঘটনায় স্থানীয়দের গণপিটুনিতে ২ অপহরণকারী নিহত হয়েছে। জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে অপহরণের ঘটনা ঘটলেও পরে রাত বারোটার দিকে একই এলাকা থেকে পুলিশ অপহৃত চারজনকে উদ্ধার করে। স্থানীয়রা দুই অপহরণকারীকে গণপিটুনি দিলে তারা ঘটনাস্থলেই মারা যায়। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন আহম্মেদ, মোঃ জহির, মানুর আলম, কালা পুতু। নিহত দুই অপহরণকারীর নাম জানা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের বাড়ি কক্সবাজারের ঈদগাও বলে ধারণা করছে পুলিশ। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, হারগাজা এলাকাটি অপহরণকারীদের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষের জানমালের কোন নিরাপত্তা নেই, তারা এই এলাকার মানুষ নয়, তারা অপরিচিত। এই ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার সঞ্চিত কুমার রায় বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি বিভিন্ন অপহরণের সঙ্গে জড়িত ছিল।
×