আওয়ামী লীগের সম্মেলনে জয় কাউন্সিলর হিসেবে যোগ দিচ্ছেন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে কাউন্সিলর হিসেবে যোগদান করবেন। আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে তিনি রংপুর জেলা থেকে প্রতিনিধিত্ব করবেন। বৃহস্পতিবার ধানম-ির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্মেলন সফল করতে গঠিত দফতর উপ-কমিটির রংপুর বিভাগের প্রস্তুতি সভায় দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কাউন্সিলদের যে তালিকা পাঠানো হয়েছে, তাতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নাম আছে। আগামী কাউন্সিলে রংপুরের কাউন্সিলর হিসেবেই তিনি সম্মেলনে যোগ দেবেন।’ ৪৫ বছর বয়সী তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সজীব ওয়াজেদ জয় কয়েক বছর আগে নানা ও মায়ের দল আওয়ামী লীগের সদস্যপদ নেন। পিতৃভূমি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা কমিটিতে গত বছর তাকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়। ২০১৪ সালে মা শেখ হাসিনার জন্য নৌকা প্রতীকে ভোট চাইতে পীরগঞ্জে কয়েকটি জনসভায়ও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এবারের সম্মেলনে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার রূপকল্প উপস্থাপন করা হবে বলে জানান হানিফ। নেতৃত্ব নির্বাচন কাউন্সিলদের ভোটের মাধ্যমেই হবে বলে তিনি জানান। খাদিজার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ॥ বৈঠক শেষে মাহবুব-উল আলম হানিফ সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসের চিকিৎসার সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছেন। চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার পাশাপশি প্রধানমন্ত্রী তাঁর দফতরের মাধ্যমে নিয়মিত নার্গিসের চিকিৎসার খোঁজখবর নিচ্ছেন। খাজিদা বেগম নার্গিসকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা প্রসঙ্গে হানিফ আরও বলেন, এ ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক। প্রার্থনা করি তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। এ ঘটনায় জড়িত বদরুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই, অপরাধী যে-ই হোক, সে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, ছাত্রদল কিংবা যুবদল- এটা আমাদের কাছে বিবেচ্য বিষয় নয়। অপরাধী অপরাধীই। অপরাধ করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এক্ষেত্রে দলীয় পরিচয় বিবেচ্য বিষয় নয়। তিনি বলেন, অপরাধী বদরুলকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। মামলায় তিনিই একমাত্র আসামি। তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ এবং দেশের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করতে না পারে। সভায় অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সিনিয়র নেতা আবদুল মান্নান এমপি, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, একেএম এনামুল হক শামীম, এসএম কামাল হোসেন ও মাহমুদ হাসান রিপন উপস্থিত ছিলেন।