ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজ ॥ তামিম, তাসকিন আর মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যমের বিশেষ সতর্ক বার্তা!

ইংলিশদের ভাবনায় ওরা তিন

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ৬ অক্টোবর ২০১৬

ইংলিশদের ভাবনায় ওরা তিন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ উপমহাদেশে বাইরের দলগুলোর জন্য স্পিন আক্রমণ সবসময় বাড়তি চ্যালেঞ্জ, রয়েছে প্রচ- গরম আর বিরূপ কন্ডিশন। বাংলাদেশ সফরে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের জন্য বাড়তি দুশ্চিন্তা ঘরের মাটিতে টাইগারদের সাম্প্রতিক পারফর্মেন্স। ঢাকায় পা রাখার পর থেকেই অতিথি ম্যানেজমেন্ট এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে প্রস্তুত হচ্ছেন। সিরিজ কভার করতে আসা ইংল্যান্ডের প্রভাবশালী গণমাধ্যম স্কাই স্পোর্টসের সাংবাদিক জেমস উইলসনের সঙ্গে সুনির্দিষ্ট তিনটি নাম যোগ করেছেন, মাঠের দ্বৈরথে যারা জস বাটলার-এ্যালিস্টার কুকদের জন্য বড় রকমের হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারেন। তিনজন হলেন তামিম ইকবাল, তাসকিন আহমেদ ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কেন এই তিন টাইগার ভয়ঙ্কর সেটিও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়, এটা ঠিক বাটলারদের ভুলে গেলে চলবে না, ঘরের মাটিতে বাংলাদেশ টানা ছয়টি ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে। এমনকি তারা প্রবল প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, ভারত আর দক্ষিণ আফ্রিকাকেও উড়িয়ে দিয়েছে। এ্যাডিলেডে ২০১৫ বিশ্বকাপের সেই হারও ইংল্যান্ডের জন্য সতর্ক সঙ্কেত। তবে দুর্ধর্ষ এই বাংলাদেশকে নিয়ে বলতে গেলে, ২০০৭ সালে অভিষিক্ত তামিমের কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করতে হয়। ২৭ বছর বয়সী বাঁহাতি এখন টপ-অর্ডারে বিশ্বের অন্যতম ভয়ঙ্কর এক ব্যাটসম্যান। ওয়ানতে ২০১৫ সালে ৪৬ গড়ে সে ৭৪২ রান করেছে। আমিরাতে পাকিস্তান ক্রিকেট লীগেও ছিল সফল। ঘরের মাটিতে সদ্য সমাপ্ত আফগানিস্তান সিরিজে খেলেছে ৮০ ও ১১৮ রানের দুরন্ত দুটি ইনিংস। যার ওপর ভর করে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল ২-১এ সিরিজ জিতেছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও তামিম সফল, প্রমাণ ২০১০ সালে ওয়ানডেতে তার সেই ১২০ বলে ১২৫ রানের ইনিংস। রিপোর্টে তাসকিনের বিষয়ে বলা হয়, ইংলিশ থিঙ্কট্যাঙ্কদের অনেকেই হয়তো বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ নিয়ে বাড়তি ভাবনায় থাকবেন। অলরাউন্ডার সাকিবের সঙ্গে আরও অনেকেই আছেন। তবে ইংল্যান্ড ম্যানেজমেন্টকে স্মরণ রাখতে হবে, দারুণ এই সাফল্যে টাইগারদের পেস আক্রমণ কিন্তু সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। মুস্তাফিজুর রহমান ইনজুরিতে, কিন্তু নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে তাসকিন যেভাবে ফিরে এসেছে, সেটিও বাড়তি মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। মরা পিচেও সে ঘণ্টায় ৯০ মাইল বেগে বল করতে পারে। ডেথ ওভারে ইয়র্কার দিতে পারঙ্গম। ২০১৪ সালে নিজের অভিষেক ওয়ানডেতেই সে ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিল। এ্যাডিলেডে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালেও ভারতের তিন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠিয়ে ছিল। সঙ্গে মশরাফি, শফিউল ইসলাম আর রুবেল হোসেনরা দারুণ করছে। সাকিবকে সম্মান দেখালেও, উইলসন মাহমুদুল্লাহকে ‘স্পেশাল ফ্যাক্টর’ বলে মনে করেন। বিশেষ করে ওয়ানডতে। তার যুক্তি, ১২৮ ওয়ানডে খেলা ৩০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বাংলাদেশ স্কোয়াডের অন্যতম অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। বিশ্বকাপে ‘ব্যাট টু ব্যাক’ সেঞ্চুরিসহ ৭৩ গড়ে করেছিলেন ৩৬৫ রান। ১০৩ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে মাহমুদুল্লাহই ইংল্যান্ডকে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে (৯ মার্চ, এ্যাডিলেড) দিয়ে প্রথমবারের মতো তার দেশকে কোয়ার্টারে নিয়ে গিয়েছিল। যে কোন পজিশনে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতি অফস্পিনেও দারুণ কার্যকর।
×