ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নেত্রকোনায় বাবা-মেয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে অবরোধ

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ৬ অক্টোবর ২০১৬

নেত্রকোনায় বাবা-মেয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে অবরোধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা, ৫ অক্টোবর ॥ পূর্বধলা উপজেলার শ্যামগঞ্জ এলাকার জালশুকা-কুমুদগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ফারিয়া রহমান প্রাপ্তি ও তার বাবার ওপর বখাটেদের হামলার প্রতিবাদে বুধবার ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচী পালন করেছে। বেঁধে দেয়া ১২ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে চেয়ারম্যান পুত্র শাহাদাতসহ প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার না করায় ছাত্রছাত্রীরা ক্লাস এবং পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে। এদিকে হামলার ঘটনায় স্কুলটির প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বুধবার পুলিশ আরও দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে। জানা গেছে, বুধবার ওই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় দিনের মতো জেএসসি মডেল টেস্ট পরীক্ষা বর্জন করে। সব শ্রেণীর ছাত্রছাত্রী বুধবার বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ সড়কে মানববন্ধন সৃষ্টি করে সড়ক অবরোধ করে রাখে। এ কারণে সড়কের দু’দিকে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এ সময় আশপাশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরাও বিক্ষোভে অংশ নেন। দুপুর ২টার দিকে নেত্রকোনা থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আনোয়ার হোছাইন আকন্দ এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ আবু নাসের সেখানে পৌঁছে আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেয়। পূর্বধলা থানার ওসি আঃ রহমান জানান, ওই ঘটনায় জালশুকা কুমুদগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমীন বাদী হয়ে বিশকাকুনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনের পুত্র শাহাদাত হোসেন ও খায়েরসহ অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। বুধবার রুবেল এবং সোহেল নামে আরও দুই বখাটেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল আসামি শাহাদাতকে গ্রেফতারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে জালশুকা গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ফারিয়া রহমান প্রাপ্তি জেএসসি মডেল টেস্ট পরীক্ষা দিতে গেলে আমজাদ হোসেনের বখাটে ছেলে শাহাদাত হোসেন ও তার সঙ্গীরা পরীক্ষা হলে গিয়ে তাকে উত্ত্যক্ত করে। মেয়েটি সাড়া না দেয়ায় বখাটেরা তার ওপর প্রকাশ্যে হামলা চালায় এবং মারধর করে। তখন স্কুলের শিক্ষকরা এগিয়ে এসে তাকে রক্ষা করেন। খবর পেয়ে মেয়েটির বাবা মিজানুর রহমান স্কুলে আসতে চাইলে বখাটেরা রাস্তায় তার ওপরও হামলা চালায়। গুরুতর আহত হওয়ায় বর্তমানে তিনি পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
×