ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্গাপূজা ঘিরে ইলিশের দাম আকাশচুম্বী

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ৫ অক্টোবর ২০১৬

দুর্গাপূজা ঘিরে ইলিশের দাম আকাশচুম্বী

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ মাত্র চার দিনের ব্যবধানে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে হু হু করে বেড়েই চলেছে ইলিশের দাম। গত চারদিন ৯শ’ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের যে ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৫ থেকে সাড়ে ৫শ’ টাকা তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭ থেকে ৮শ’ টাকায়। জানা গেছে, আসন্ন দুর্গোৎসব সামনে রেখেই হু হু করে বৃদ্ধি পেয়েছে ইলিশের দাম। নগরীর পোর্ট রোডের ইলিশ মোকামের ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম বলেন, এখন চারদিকে চলছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ দুর্গোৎসবের শেষ প্রস্তুতি। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই প্রতিবছরের ন্যায় মহাধুমধামের মধ্যদিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গা পূজা। তাই এবারও হিন্দু ধর্মাবলাম্বীদের ঘরে ঘরে চলছে নানা আয়োজন। দুর্গোৎসব উদ্যাপনের এ আয়োজনের খাবারের তালিকায় অতীতের ন্যায় এবারও থাকছে জাতীয় মাছ ইলিশ। যে কারণে আগে ভাগেই অনেকেই ইলিশ ক্রয়ের পর তা ফ্রিজ ভরে রাখতে শুওু করেছেন। তাই হঠাৎ করেই ইলিশের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে মাছের দামও বেড়েছে। নগরীর পোর্ট রোডের ইলিশ মোকামে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ব্যবসায়ী ও ইলিশ ক্রেতাদের উপস্থিতিতে পুরো ইলিশ মোকাম সরগরম। অন্যান্যদিনের তুলনায় বেচাবিক্রিও হচ্ছে বেশি। একাধিক ব্যক্তিদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, মাত্র কয়েকদিন পরেই ইলিশ ধরা বন্ধ হচ্ছে। এছাড়াও পূজার সময় ইলিশের দাম বৃদ্ধি পাবে। তাই আগেভাগেই ইলিশ ক্রয় করার জন্য তারা মোকামে এসেছেন। নগরীর কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, পূজার সময় ইলিশের চাহিদা বেশি থাকে। আর এ উৎসব উদ্যাপনের জন্য ইলিশ ক্রয় করে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। যে কারণে ইলিশের চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে দামও বেড়েছে। চিকিৎসা অবহেলায় রোগীর মৃত্যু স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা ওয়ার্ডের সামনে বিক্ষোভ করেছেন। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। মৃত ওই রোগীর নাম সোলেমান আলী (৬০)। তিনি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার রাজারপাড়া গ্রামের মৃত লালচাঁন ম-লের ছেলে। সোলেমান আলীর ছোট ভাই আবুল কালাম জানান, সোমবার রাতে তার ভাই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এরপর রাত সাড়ে ৪টার দিকে তাকে রামেক হাসপাতালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ওয়ার্ডের ভেতরে জায়গা না পাওয়ায় তাকে ওয়ার্ডের বারান্দায় রাখা হয়। কিন্তু কোন চিকিৎসকই তার ভাইকে ঠিকমতো দেখছিলেন না। এতে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মারা যাওয়ার পর তাকে অক্সিজেন দেয়া হয়। ওই ওয়ার্ডে দায়িত্বরত চিকিৎসক মেডিসিন ইউনিটের প্রধান ও রামেকের সহযোগী অধ্যাপক খলিলুর রহমান বলেন, রোগীর মৃত্যু হয়েছে তবে চিকিসায় কোন অবহেলা হয়নি।
×