ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে দুর্ভোগ

ট্রান্সফরমার বিকল

প্রকাশিত: ০৪:০১, ৫ অক্টোবর ২০১৬

ট্রান্সফরমার বিকল

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ নগরীর পলাশপুর বিদ্যুত উপকেন্দ্রের দুটি ট্রান্সফরমারের একটি বিকল হওয়ায় ছয়টি ফিডারে গত সাতদিন ধরে চরম বিদ্যুত বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। ফলে নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোড এবং বাণিজ্যিক এলাকা চকবাজার, হাটখোলা, বাজার রোড, পোর্ট রোড, কালীবাড়িসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার কয়েক হাজার বিদ্যুত গ্রাহকদের অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সূত্র মতে, একটি ট্রান্সফরমার দিয়ে এসব এলাকায় প্রতি এক ঘণ্টা করে বিদ্যুত সরবরাহ করে পরবর্তী এক ঘণ্টা লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। ফলে বিদ্যুত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ধস নামার পাশাপাশি অসহনীয় গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে বয়ে যাওয়া বজ্রসহ ঝড়ো বৃষ্টিতে পলাশপুর বিদ্যুত উপ-কেন্দ্রের দুটি ট্রান্সফরমারের একটি বিকল হয়ে যায়। একটি ট্রান্সফরমার দিয়ে উপকেন্দ্র সচল রাখা হলেও বহু বছরের পুরনো ওই ট্রান্সফরমারটিতে অতিরিক্ত লোড দেয়া যাচ্ছে না। ফলে ছয়টি ফিডারে একযোগে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ করতে পারছেন না বিদ্যুত বিভাগ। যে কারণে তারা পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ফিডারে এক ঘণ্টা পর পর লোডশেডিং দিতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে চলমান অসহনীয় ভ্যাপসা গরমের মধ্যে বারবার বিদ্যুতের ভেলকিবাজি খেলায় জনজীবন অতিষ্ঠ হওয়ার পাশাপাশি ব্যাংক-বীমা, অফিস-আদালতসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। পলাশপুর উপকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমজি ফারুক হোসেন জানান, উপকেন্দ্রে দুটি ট্রান্সফরমার ছিল। দুটির বিদ্যুত সররবাহ ক্ষমতা ছিল ১০ মেগাওয়াট করে মোট ২০ মেগাওয়াট। ৩০ বছরের অধিক পুরনো হওয়ায় দুটি ট্রান্সফমরমারে সর্বোচ্চ ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত সরবরাহ করা যেত। উপকেন্দ্রের অধীন ১২ ফিডারে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১২ মেগাওয়াট। গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঝড়ো বৃষ্টিতে একটি ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে যায়। অপর ট্রান্সফরমারটি দিয়ে সর্বোচ্চ ৭ মেগাওয়াট বিদ্যুত সরবরাহ করা যাচ্ছে। এমন অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে এক ঘণ্টা পর পর একযোগে ৩টি ফিডার সচল রেখে অপর ৩টি ফিডারে লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। উপকেন্দ্রের প্রকৌশলী মনজুরুল আলম জানান, গত রবিবার ঢাকা থেকে নতুন একটি ট্রান্সফরমার আনা হয়েছে। ওই ট্রান্সফরমার স্থাপনের পর সব কাজ শেষ করে আগামী শুক্রবারের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
×