ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

গণতন্ত্রের সঙ্কটের মূল নিহিত সংবিধানেই ॥ ড. মইনুল

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ৪ অক্টোবর ২০১৬

গণতন্ত্রের সঙ্কটের মূল নিহিত সংবিধানেই ॥ ড. মইনুল

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ রাষ্ট্রক্ষমতার কেন্দ্রীভবন এদেশে ক্ষমতার দ্বন্দ্বকে এমন এক সুতীব্র সংঘাতের বিষয়ে পরিণত করেছে যে, ঘটনা পরম্পরায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার পালাবদল ইস্যুটি গণতন্ত্রের পথ থেকে ছিটকে গিয়ে খোদ গণতন্ত্রকেই গভীর সঙ্কটে নিমজ্জিত করেছে। এ ধরনের সঙ্কট একটি রাষ্ট্রের উন্নয়ন সম্ভাবনাকে যে কোন সময় তছনছ করে দিতে পারে। বাংলাদেশ গণতন্ত্রের যে সঙ্কটে নিমজ্জিত হয়েছে তার মূল নিহিত রয়েছে প্রধানত সংবিধানেই। বিশেষত সাংবিধানিক কয়েকটি ধারার সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি মিথষ্ক্রিয়ার ফলে পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থায় সরকারের প্রধান নির্বাহীর একাধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির প্রাক্তন সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম দৈনিক আজাদীর সাবেক সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ স্মারক বক্তৃতায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে রবিবার সন্ধ্যায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তিনি প্রয়াত আজাদী সম্পাদক সম্পর্কে বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ এক অনন্য নাম। তিনি বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মের প্রাক্কালে অর্থাৎ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে পাকিস্তানের একজন প্রতাপশালী রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন স্পীকারকে পরাজিত করেছিলেন। এ জয়ের মাধ্যমে মেম্বার অব ন্যাশনাল এসেম্বলি নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেন। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ড. মইনুল ইসলামের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরেন সাংবাদিক কবি আবুল মোমেন। বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরী। ক্লাবের যুগ্মসম্পাদক চৌধুরী ফরিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর মু. সিকান্দার খান, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী ও অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের পুত্র সাপ্তাহিক স্লোগান সম্পাদক মোহাম্মদ জহির। অনুষ্ঠানের শুরুতে সদ্যপ্রয়াত সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। সড়ক যেন নদী স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কক্সবাজার সদর ঈদগাঁও ভোমরিয়াঘোনার যোগাযোগ সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এতে দুর্ভোগ ও দুর্গতির শিকার হচ্ছে যানবাহন, শিক্ষার্থীসহ ওই সড়কে চলাচলকারী হাজার হাজার লোকজন। সব সময় পানি জমে থাকায় এবং খালের পানিতে একাকার হয়ে সড়কটি ছোট নদীতে পরিণত হয়েছে। জানা যায়, গত বছর কয়েক দফা বন্যায় ল-ভ- হয়ে যাওয়া ঈদগাঁও পালপাড়া-ভোমরিয়াঘোনা-কানিয়াছড়া-ঈদগড় যোগাযোগ সড়ক এখনও সংস্কারের মুখ দেখেনি। বন্যার এক বছর পেরিয়ে গেলেও চলাচলের একমাত্র রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। ঈদগাঁও ঈদগড় সড়কের পালপাড়া-কানিয়াছড়া-ভোমরিয়াঘোনা পয়েন্টে গতবছর বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া চলাচল রাস্তা খালে পরিণত হয়ে পড়ায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ এলাকার অসহায় লোকজন প্রতিনিয়ত বিপাকে পড়ছে। এছাড়াও ঈদগাঁও-পালপাড়া-ঈদগড় সড়ক দিয়ে লোকজন কানিয়ারছড়া, গজালিয়া, শিয়াপাড়া, ভোমরিয়াঘোনা, চৌধুরীপাড়া, পালপাড়ার বিভিন্ন এলাকাসহ নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারীর প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষজন কোন না কোনভাবে যাতায়াত করে থাকে। ওই সড়কের একপাশ ভেঙ্গে ঈদগাঁও নদীর পার্শ্বে দেবে যাচ্ছে। যত্রতত্র স্থানে খানাখন্দ আর বড় বড় গর্তে ছেয়ে গেছে সড়কজুড়ে। যাতে রাতে নানান যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে কোন না কোন দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে।
×