ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

এনামুল বিজয় ও সোহাগ গাজীর ব্যাটিং ঝলক

জাতীয় ক্রিকেট লীগে বল হাতে চমক আশরাফুলের

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ৩ অক্টোবর ২০১৬

জাতীয় ক্রিকেট লীগে বল হাতে চমক আশরাফুলের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগের ম্যাচেই ক্রিকেটে ফিরেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। কিন্তু বৃষ্টির দাপটে খেলা না হওয়াতে মাঠেই নামা হয়নি। তবে রবিবার থেকে শুরু হওয়া ১৮তম ওয়ালটন জাতীয় ক্রিকেট লীগের (এনসিএল) দ্বিতীয় রাউন্ডের চারদিনের ম্যাচে মাঠে নেমেই ঝলক দেখিয়েছেন নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা সাবেক বাংলাদেশ অধিনায়ক আশরাফুল। তবে ব্যাট হাতে নয়, ঢাকা মেট্রোপলিসের হয়ে বল হাতে চমক দেখিয়েছেন তিনি। তবে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে আশরাফুল ৩ উইকেট শিকার করলেও সোহাগ গাজীর হার না মানা অর্ধশতকে প্রথমদিন ৬ উইকেটে ৩০১ রান নিয়ে শেষ করেছে বরিশাল বিভাগ। প্রথম স্তরের অপর ম্যাচে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ঢাকা বিভাগ ও খুলনা বিভাগের ম্যাচ বৃষ্টির বাগড়ায় পড়েছে। তবে এর আগেই খুলনা এনামুল হক বিজয়ের অপরাজিত ৮৪ রানে ১ উইকেটে ১৭২ রান তুলেছে। দ্বিতীয় স্তরের দুই ম্যাচে রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বিভাগ ও রাজশাহী বিভাগ এবং সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রংপুর বিভাগ ও সিলেট বিভাগ মুখোমুখি হয়েছে। প্রথম স্তর ॥ নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা আরাফাত সানি বেশ ভালই বোলিং করছিলেন। তবে নৈপুণ্যে তাকে ছাড়িয়ে গেছেন তিন বছর ক্রিকেট নির্বাসন থেকে ফেরা আশরাফুল। তিনি ১৭ ওভারে ৫ মেডেনসহ ৪৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট এবং সানি ২ উইকেট শিকার করেন। তবে এরপরও ঢাকা মেট্রোর বিরুদ্ধে বরিশাল ভালভাবেই প্রথম দিন শেষ করেছে ৬ উইকেটে ৩০১ রান তুলে। শাহরিয়ার নাফীস ৪৮ রানে ফিরে অর্ধশতক এবং আবু সায়েম ১৬৫ বলে ১২ চার ও ১ ছক্কায় ৯৮ রান করে শতক হাতছাড়া করে সাজঘরে ফেরেন। তবে সোহাগ গাজী দুর্দান্ত ব্যাট করে এখনও অপরাজিত আছেন ১১৯ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় ৮৭ রান করে ক্রিজে আছেন। অপর ম্যাচে বগুড়ায় খুলনা আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই মেহেদি মারুফের উইকেট হারালেও বিজয় ও মোসাদ্দেক ইফতেখারের হার না মানা জোড়া অর্ধশতকে ১ উইকেটে ১৭২ রান তুলেছে। এরপর বৃষ্টিতে আর খেলা হয়নি। বিজয় ১৪৫ বলে ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ৮৪ এবং ইফতেখার ১৪১ বলে ৫ চারে ৭১ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। স্কোর ॥ বরিশাল-ঢাকা মেট্রো ম্যাচ- খুলনা ॥ বরিশাল প্রথম ইনিংস- ৩০১/৬; ৮৮ ওভার (সায়েম ৯৮, সোহাগ ৮৭*, শাহরিয়ার ৪৮; আশরাফুল ৩/৪৯, আরাফাত ২/৯৯)। খুলনা-ঢাকা ম্যাচ- বগুড়া ॥ খুলনা ইনিংস- ১৭২/১; ৫০.৫ ওভার (বিজয় ৮৪*, ইফতেখার ৭১*; শাহাদাত ১/৩৪)। দ্বিতীয় স্তর ॥ রাজশাহীতে প্রথমদিনেই ছিল বোলারদের দাপট। স্বাগতিক বোলারদের দাপটে চট্টগ্রামের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ১৪১ রানে। ইরফান শুক্কুর সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন। ফরহাদ রেজা ৪৫ রানে ৪টি ও সাকলাইন সজীব ৩৬ রানে ৩টি উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে শুরুতেই মাইশুকুর রহমানের (১) উইকেট হারালেও মিজানুর রহমানের ৯১ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৭১ রান করলে ১ উইকেটে ১২১ রান নিয়ে শেষ করেছে রাজশাহী। ২০ রানে পিছিয়ে আছে তারা। সিলেটে অপর ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে বিলম্বে শুরু হয়। এরপর ব্যাট করতে নেমে সিলেটের দুই স্পিনার শাহানুর রহমান ও অলক কাপালীর ঘূর্ণি দাপটে বিপর্যস্ত হয়েছে রংপুর। দিনশেষে ৭ উইকেটে ১৯১ রান তুলেছে তারা প্রথম ইনিংসে। ধীমান ঘোষ ১১২ বলে ৪ চারে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন। তিনটি করে উইকেট নেন শাহানুর ও কাপালী। স্কোর ॥ চট্টগ্রাম-রাজশাহী ম্যাচ-রাজশাহী ॥ চট্টগ্রাম প্রথম ইনিংস- ১৪১/১০; ৫৪.১ ওভার (শুক্কুর ২৮, ইয়াসির ২৪, মাহবুবুল ২২, নাজিমুদ্দিন ২০; ফরহাদ ৪/৪৫, সাকলাইন ৩/৩৬, মামুন ২/১৯)। রাজশাহী প্রথম ইনিংস- ১২১/১; ৩৫ ওভার (মিজানুর ৭১*, জুনায়েদ ৪৫*; হোসেন ১/১০)। রংপুর-সিলেট ম্যাচ-সিলেট ॥ রংপুর প্রথম ইনিংস- ১৯১/৭; ৭৫ ওভার (ধীমান ৪৫, জাহিদ ৩৯, সায়মন ৩২, নবিন ৩১; অলক ৩/৩৭, শাহানুর ৩/৪৯)। *প্রথমদিন শেষে স্কোর।
×