ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কল্যাণপুরে নিহত ৯ জঙ্গীকেও জুরাইনে বেওয়ারিশ দাফন

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

কল্যাণপুরে নিহত ৯ জঙ্গীকেও জুরাইনে বেওয়ারিশ দাফন

শংকর কুমার দে ॥ গুলশানের হামলার কায়দায় ভারতেও হামলার ছক কষছিল কলকাতায় ও অসমে গ্রেফতার হওয়া জেএমবির জঙ্গীরা। গুলশানে নিহত জঙ্গীদের মতোই কল্যাণপুরে অভিযানে নিহত নয় জঙ্গীর লাশ আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে খাতায় অজ্ঞাতনামা লিখে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে জুরাইন কবরস্থানে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মরচুয়ারিতে রাখা নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায়, মিরপুরের রূপনগরে ও আজিমপুরে নিহত পাঁচ জঙ্গীর লাশও আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামকে দাফনের জন্য দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ময়মনসিংহের ত্রিশাল থেকে ছিনিয়ে নেয়া দুর্ধর্ষ জেএমবি জঙ্গী সালাউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি ও বোমা বিশেষজ্ঞ বোমারু মিজানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ভারতে গ্রেফতারকৃত জঙ্গীরা। জঙ্গী হামলার আশঙ্কা বন্ধে শীর্ষ জঙ্গী মেজর (বরখাস্ত) সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, নুরুল ইসলাম মারজান, বাশারুজ্জামানকে খুঁজে বের করার জন্য অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ খবর জানা গেছে। হাসপাতাল সূত্র জানান, গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নিহত জঙ্গীদের মতোই কল্যাণপুরে নিহত ৯ জঙ্গীর লাশ দাফনের জন্য আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামে হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় কল্যাণপুরে নিহত ৯ জঙ্গীর লাশ পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলমের উপস্থিতিতে হস্তান্তর করা হয়। এই তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান সোহেল মাহমুদ। তিনি জানান, মৃতদেহগুলো থেকে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। অন্য কোন সংস্থার প্রয়োজন হতে পারে, সেটা মাথায় রেখে অতিরিক্ত নমুনাও রাখা হয়েছে বলে জানান চিকিৎসক সোহেল। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, বুধবার বেলা ১টা ৫০ মিনিটে ঢাকার জুরাইন কবরস্থানে এই ৯ জঙ্গীর দাফনের কাজ সম্পন্ন করে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম কর্তৃপক্ষ। এর আগে বুধবার সকালে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম কর্তৃপক্ষ ও ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) বিভাগ কর্তৃপক্ষ মরদেহ গ্রহণ করতে ঢামেক হাসপাতালে উপস্থিত হন। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় তাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। পরে তিনটি পিকআপ ভ্যানে ৯ জঙ্গীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় জুরাইন কবরস্থানে। কল্যাণপুরে পুলিশের অভিযানে নব্য জেএমবির নিহত ৯ জঙ্গীর মরদেহ বেওয়ারিশ বা অজ্ঞাত হিসেবেই দাফন করা হলো। নিহত জঙ্গীদের পরিবার শনাক্ত করা গেলেও জঙ্গী বলে তারা মরদেহ নিতে অস্বীকৃতি জানান। তাই নিয়মানুযায়ী তাদের মরদেহ অজ্ঞাত হিসেবে দাফন করা হয়। এর আগে গত ২৬ জুলাই ভোরে কল্যাণপুরে একটি জঙ্গী আস্তানায় অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জঙ্গী আস্তানায় থাকা ৯ জঙ্গী নিহত হয়। নিহতদের মরদেহ দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে ছিল। তবে তাদের পরিবারের সদস্যরা মরদেহের বিষয়ে দীর্ঘদিন কোন খোঁজখবর নেয়নি। রাজধানীর কল্যাণপুরে জঙ্গী আস্তানায় গত ২৫ জুলাই রাতভর অপারেশন স্টর্ম-২৬ খোঁজে অভিযান চালানো হয়। এর পরদিন ২৬ জুলাই ভোরে ৯ জঙ্গীর লাশ পাওয়া যায় জঙ্গী আস্তানায়। কল্যাণপুরে জাহাজ বিল্ডিং পরিচিত জঙ্গীবিরোধী অভিযানে নিহত ৯ জঙ্গীর মধ্যে ৮ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেলেও এখনও পর্যন্ত এক জঙ্গীর পরিচয় শনাক্ত হয়নি। পরিচয় নিশ্চিত হওয়া অপর ৮ জন হলেন আবদুল্লাহ, আবু হাকিম নাঈম, তাজ-উল-হক রাশিক, আকিফুজ্জামান, সাজাদ রউফ অর্ক, জুবায়ের হোসেন, মতিয়ার রহমান ও তারেক। এই ৯ জনের লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গের মরচুয়ারিতে সংরক্ষণ করা আছে। এরই মধ্যে শনাক্ত হওয়া ৮ জনের স্বজনদের ডিএনএ নমুনাও সংগ্রহ করে নাম-পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে তদন্ত সংস্থা। গত দুই মাস ধরে কল্যাণপুরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত ৯ জঙ্গীর লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মরচুয়ারিতে ছিল। দাবিদার না থাকায় খাতায় অজ্ঞাতনামার লিখে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে গত ২২ সেপ্টেম্বর আঞ্জুমানের মাধ্যমে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয় জুলাইয়ে গুলশানের ক্যাফেতে নিহত ৫ জঙ্গীসহ ছয়জনের লাশ। গুলশান হামলার ২৬ দিনের মাথায় কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের ‘তাজ মঞ্জিল’ নামের একটি ভবনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ৯ জঙ্গী নিহত হয়। কল্যাণপুরের জাহাজ বিল্ডিং পরিচিত তাজ মঞ্জিলে পুলিশের জঙ্গীবিরোধী অভিযান শেষে ছয় তলা ভবনটি এখন পরিত্যক্ত। ভাড়াটিয়া বাসিন্দারা বাড়িটি ছেড়ে দিয়েছেন। বাড়ির পাঁচতলার ফ্ল্যাটে পুলিশ জঙ্গীবিরোধী অভিযান চালায়। ফ্ল্যাটটি এখনও মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত হিসেবে সংরক্ষণ করা আছে। বাড়ির সামনে এখনও পুলিশ প্রহরা রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সোমবার জানিয়েছিলেন, একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করব, এর মধ্যে যদি কোন স্বজন না আসে তাহলে বাকি মৃতদেহগুলো আঞ্জুমানকে দাফনের জন্য দিয়ে দেয়া হবে। মরচুয়ারিতে রয়েছে যাদের লাশ ॥ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মরচুয়ারিতে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় নিহত ৩ জন, রূপনগর ১ জন ও আজিমপুরে নিহত ১ জঙ্গীর লাশ নিয়ে মোট ৫ জঙ্গীর লাশ রয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় নিহত গুলশান হামলার মাস্টারমাইন্ড কানাডার পাসপোর্টধারী তামিম চৌধুরীর লাশ। তার সঙ্গে ওই অভিযানে নিহত হন আরও দুই জঙ্গী। তারা হচ্ছে, যশোর এমএম কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ফজলে রাব্বি এবং অন্যজন ঢাকার ধানম-ির তাওসিফ হোসেন। এছাড়াও গত ২ সেপ্টেম্বর মিরপুরের রূপনগরের একটি বাসায় পুলিশের অভিযানে নিহত হন মেজর (অব) জাহিদুল ইসলাম মুরাদ ওরফে মেজর মুরাদের লাশ রয়েছে। সর্বশেষ গত ১০ সেপ্টেম্বর বিজিবি সদর দফতরের ২ নম্বর গেটের কাছে আজিমপুরের একটি বাড়িতে অভিযানের সময় নিহত হন নব্য জেএমবির আরেকজন জ্যেষ্ঠ সংগঠক তানভীর কাদেরির লাশও রয়েছে মরচুয়ারিতে। গুলশানের কায়দায় জঙ্গী হামলা ॥ ঢাকার গুলশানের মতো একই কায়দায় ছয় জঙ্গী ভারতেও হামলার ছক কষছিল বলে তথ্য পাওয়ার দাবি করেছে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের বরাত দিয়ে কলকাতা টেলিগ্রাফ এক প্রতিবেদনে এ ধরনের তথ্যের কথা উল্লেখ করেছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে বিচারক হত্যা মামলার আসামি জেএমবি নেতা আসাদুল ইসলাম আরিফের মৃত্যুদ- কার্যকর করা হলে ভারতে ওই হামলার পরিকল্পনা ছিল গ্রেফতারকৃত জেএমবির জঙ্গীদের। পশ্চিমবঙ্গ ও অসম থেকে গ্রেফতার ছয় জেএমবি সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ এ হামলা পরিকল্পনার তথ্য জেনেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। সংবাদ মাধ্যম টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেএমবির শীর্ষ কমান্ডার আসাদুল ইসলাম আরিফের মৃত্যুদ-ের আদেশ হয়েছে। তার সাজা কার্যকর করা হলে সপ্তাহ খানেকের মধ্যে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারির মতো হামলার পরিকল্পনা করছিল নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জেএমবির। গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলায় বিদেশীসহ ২২ জন নিহত হন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে হামলাকারী ৫ জঙ্গীসহ ছয় জন নিহত হয়। কে এই আসাদুল ইসলাম আরিফ ॥ কে এই আসাদুল ইসলাম আরিফ, যার মৃত্যুদ-াদেশ কার্যকর করা হলে প্রতিশোধ হিসেবে গুলশান হামলার কায়দায় আবারও হামলার ছক কষেছিল ভারতে গ্রেফতারকৃত জেএমবির জঙ্গীরা। ২০০৫ সালের ১৪ নবেম্বর বরিশালের ঝালকাঠি জেলার সিনিয়র সহকারী জজ সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাড়ের গাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। ওই হত্যা মামলায় জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলাভাইসহ ছয়জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। কিন্তু সে সময় আসাদুল ইসলাম আরিফ পলাতক থাকায় বেঁচে যান। ২০০৭ সালে আসাদুল ইসলাম আরিফ ময়মনসিংহে গ্রেফতার হন। তার বিরুদ্ধে বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত আগস্টে সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ তার মৃত্যুদ-ের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করা হয়। এরপর আসাদুল ইসলাম আরিফের ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলানোর বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত। ২০০৫ সালে নিষিদ্ধ করার পরপরই বাংলাদেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল জেএমবি। ত্রিশালের ছিনতাইকৃত জঙ্গীদের সঙ্গে যোগাযোগ ॥ পশ্চিমবঙ্গ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্বৃতি দিয়ে টেলিগ্রাম পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, কলকাতায় ও অসমে গ্রেফতার হওয়া সন্দেহভাজন ছয় জঙ্গীর মধ্যে উত্তর চব্বিশ পরগনা থেকে গ্রেফতার আনোয়ার হোসেন ফারুক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে বলেছেন, তার বাংলাদেশী সহযোগীদের সঙ্গে ভারতে সালাউদ্দিন নামের সংগঠনের এক শীর্ষ নেতার যোগাযোগ রয়েছে। হামলায় ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় বিস্ফোরক সংগ্রহের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সালাউদ্দিনকে। প্রতিবেদনে বলা হয়, আরিফের মৃত্যুদ-ের প্রতিশোধ হিসেবে জেএমবি এ হামলার মধ্য দিয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল গ্রেফতারকৃত জঙ্গীরা। এজন্যই ময়মনসিংহের ত্রিশালের প্রিজন ভ্যান থেকে ছিনিয়ে নেয়া জঙ্গী সালাউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি ও বোমারু মিজানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেছিল তারা। ২০১৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারিতে ময়মনসিংহের ত্রিশালের সাইনবোর্ড এলাকায় প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে পুলিশ হত্যা করে জেএমবির শূরা সদস্য রাকিবুল হাসান ও সালাউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি (৩৮) এবং বোমা বিশেষজ্ঞ মিজানকে (৩৫) ছিনিয়ে নেয় জেএমবির সদস্যরা। কাশিমপুর কারাগার থেকে পুলিশ ভ্যানের প্রহরায় জেএমবির সদস্যদের ময়মনসিংহ আদালতে হাজির করতে নেয়ার সময়ে ত্রিশালে জঙ্গী দলের গুলি ও বোমা হামলা এক পুলিশ সদস্য নিহত ও কয়েকজন আহত করে তিন জেএমবির সদস্যদের ছিনিয়ে নেয়। এই জঙ্গী হামলার নেতৃত্ব দেয়া আনোয়ার হোসেন ওরফে জামাই ফারুক যিনি কলকাতা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। জেএমবি তিন জঙ্গীকে ছিনিয়ে নেয়ার পালানোর পথে ওইদিনই মির্জাপুরে রাকিবুল হাসান নামের এক জেএমবি জঙ্গী গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। বাকি দুজনের কোন খোঁজ না পেয়ে বাংলাদেশের পুলিশ তাদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে। ছিনিয়ে নেয়ার পর গত সাড়ে তিন বছরেও জেএমবির জঙ্গী সালাউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি (৩৮) এবং বোমা বিশেষজ্ঞ মিজান ওরফে বোমা মিজানকে গ্রেফতার করা সম্ভবপর হয়নি। বাংলাদেশের পুলিশ তাদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে। ভারতে গ্রেফতারকৃত জঙ্গীরা পুরস্কার ঘোষিত জঙ্গী সালাউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি (৩৮) এবং বোমা বিশেষজ্ঞ মিজানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেছে বলে পশ্চিমবঙ্গ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্বৃতি দিয়ে টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
×