ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রোনালদোকে জিদানের সতর্কবার্তা

প্রকাশিত: ১৯:৩৯, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬

রোনালদোকে জিদানের সতর্কবার্তা

অনলাইন ডেস্ক ॥ খুব ভালো খেলছিলেন না ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ম্যাচের ৭১ মিনিটের সময় কোচ জিনেদিন জিদান যখন তাঁকে তুলে নিলেন, তখন স্পষ্টতই তাঁর চোখে-মুখে হতাশা। কোচের সিদ্ধান্তটা যে তাঁর পছন্দ হয়নি, সেটা বুঝিয়ে দিলেন ভালোভাবেই। লাস পালমাসের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করে লা লিগায় ২ পয়েন্ট হারানো রিয়ালের কোচ ম্যাচ শেষে ব্যাখ্যা দিয়েছেন রোনালদোকে তুলে নেওয়ার। মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়নস লিগে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটির কথা ভেবেই রোনালদোকে তুলে নিয়েছেন জিদান। এর আগেও অনেক ম্যাচে বদলি হয়ে উঠে যাওয়ার সময় নিজের হতাশা প্রকাশ করেছেন রোনালদো। বদলি হওয়াটা তাঁর হয়তো আসলেই পছন্দ নয়। এটা বুঝতে পেরে কোচ জিদানও কাল একটা সতর্কবার্তা দিলেন রোনালদোকে, ‘তাঁকে (রোনালদো) প্রয়োজনে মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হতে পারে, আজ যেমনটা হলো। আমরা যা করব, যেটা করেই যাব, তার কোনো পরিবর্তন হবে না।’ হতাশা প্রকাশ করায় রোনালদোর ওপর জিদানের বিরক্তিটাও কিন্তু গোপন থাকেনি, ‘আমি জানি, সে ম্যাচের পুরো সময়টাই খেলতে চেয়েছিল, কিন্তু আমাকেও তো খেলোয়াড়দের কথা ভাবতে হবে! মঙ্গলবারই তো বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ।’ দিনটা অবশ্য একেবারেই ভালো যায়নি রোনালদোর। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ দিকে আলভেরো মোরাতার পাস থেকে দারুণ একটি গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। আরও একবার ফাঁকায় বল পেয়েও তুলে দেন গোলকিপারের হাতে। এই মৌসুমে রোনালদো এখন পর্যন্ত পুরো ৯০ মিনিট খেলেছেন মাত্র দুটো ম্যাচে। চোটের কারণে খেলতে পারেননি এসপানিওলের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচটিও। টানা ১৬ ম্যাচ জিতে লা লিগায় টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের রেকর্ডে বার্সেলোনার পাশে বসেছে রিয়াল। কিন্তু এরপর সর্বশেষ দুটো ম্যাচ জিদানের দল সমর্থকদের হতাশই করছে। প্রথমে ভিয়ারিয়ালের সঙ্গে ড্র, একই ফল কাল লাস পালমাসের বিপক্ষেও। মাত্র চার দিনের ব্যবধানে ৪ পয়েন্ট খোয়ানোটা জিদানের জন্যও এসেছে বড় ধাক্কা হয়ে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার সঙ্গে পয়েন্টের যে ব্যবধানটা এত দিন স্বস্তি দিচ্ছিল সমর্থকদের, সেটাই এখন কমে দাঁড়িয়েছে ১-এ। লিগের শীর্ষস্থানটা অবশ্য এখনো নিজেদের দখলেই রেখেছে রিয়াল। লাস পালমাসের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় হতাশাটা হচ্ছে দুবার এগিয়ে গিয়েও জিততে না পারা। জিদান নিজেও এ ব্যাপারে তাঁর বিরক্তির কথা বলেছেন, ‘আমরা যেন গোল দুটো প্রতিপক্ষকে উপহার দিয়েছি।’ মনোযোগের ঘাটতিকেই দায়ী করেছেন রিয়াল কোচ, ‘ম্যাচটা আমাদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল। ম্যাচে জয়ও প্রাপ্যই ছিল। কিন্তু আমরা শেষ পর্যন্ত মনোযোগটা ধরে রাখতে পারিনি।’ ম্যাচের ৩৩ মিনিটে এগিয়ে যায় রিয়াল। ডিফেন্ডার নাচো ফার্নান্দেসের শট পালমাসের গোলকিপার ভারাস ঠেকিয়ে দিলেও ফিরতি হেড থেকে গোল করেন মার্কো আসেনসিও। এগিয়ে গেলেও তা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি জিদানের দল। রাফায়েল ভারানের একটি ভুল থেকে মোমোর ক্রস চলে যায় তানার কাছে। বলটি ঠান্ডা মাথায় নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোল করেন তানো। ৬৭ মিনিটে রোনালদোর তীব্র শট পালমাস গোলকিপার ঠেকালেও ফিরতি শটে গোল করেন বদলি করিম বেনজেমা। খেলা শেষ হওয়ার ৫ মিনিটে বাকি থাকতে রিয়াল সমর্থকদের হতাশ করেই সমতায় ফেরে পালমাস। সার্জিও আরুজোর শট প্রথমে রিয়াল গোলকিপার কিকো কাসিয়া ঠেকালেও পুরোপুরি ফেরাতে পারেননি। ফিরতি বল পেয়ে মোটামুটি দুরূহ কোণ থেকে গোল করেন আরওজো। সূত্র: রয়টার্স, এএফপি।
×