ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আমতলী সরকারী কলেজে দুই অধ্যক্ষ ॥ কার্যক্রম স্থবির

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

আমতলী সরকারী কলেজে দুই অধ্যক্ষ ॥ কার্যক্রম স্থবির

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ১৭ সেপ্টেম্বর ॥ আমতলী সরকারী কলেজে দু’জন অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন। সহকারী অধ্যাপক মাসুদ রেজা নির্বাহী আদেশে আর অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান উচ্চ আদালতের আদেশে। এতে কলেজের কার্যক্রম মুখথুবড়ে পড়েছে। জানা গেছে, আমতলী ডিগ্রী কলেজকে এ বছর জাতীয়করণ করা হয়। ৩০ জুন চাখার শের-ই বাংলা মহাবিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাসুদ রেজাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমতলী সরকারী কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে প্রেষণে (সংযুক্ত) নিয়োগ দেয়। তিনি ১১ জুলাই কলেজে যোগদান করেছেন। ওই সময় অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান ছুটিতে থাকায় চলতি দায়িত্বে থাকা সহকারী অধ্যাপক আবুল হোসেন বিশ্বাস নবাগত অধ্যক্ষর কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। এদিকে অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান ওই পদে আছে কি নেই এর কোন চিঠি শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেয়নি। ৬ সেপ্টেম্বর অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান সংযুক্ত অধ্যক্ষ মাসুদ রেজার সংযুক্তি আদেশ বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেন। ওইদিনই বিচারপতি তরিকুল হাকিম ও মোঃ এম ফারুকের যৌথ বেঞ্চ সংযুক্ত আমতলী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদ রেজার নিয়োগ আদেশ স্থগিত করে অধ্যক্ষ মজিবুর রহমানকে বৈধ অধ্যক্ষ বলে আদেশ প্রদান এবং সংযুক্ত মাসুদ রেজার নিয়োগ কেন আইন বহির্ভূত বলে ঘোষণা করা হবে না তার কারণ দর্শানোর জন্য সরকারের উপর রুল জারি করেছে। শনিবার সরেজমিনে কলেজে ঘুরে দেখা গেছে, অধ্যক্ষ মাসুদ রেজা এবং অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান কলেজের ১১ নং ও ১২ নং কক্ষে দু’জনেই অধ্যক্ষের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে অফিস করছেন। এতে শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা মহাবিপদে পড়েছেন। দু’অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জটিলতায় ২০১৪-১৫ শিক্ষা বর্ষের ১৩৬ জন ডিগ্রী প্রথম বর্ষের ছাত্রীর উপবৃত্তির তালিকা সময়মতো মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে জমা দিতে পারেনি। এতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ওই ছাত্রীদের উপবৃত্তি পাওয়া। কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবুল হোসের বিশ্বাস বলেন, বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষ মাসুদ রেজা শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন-ভাতার ভাউচারে স্বাক্ষর করে সোনালী ব্যাংকে পাঠিয়ে দেন। অপরদিকে মজিবুর রহমান বৈধ অধ্যক্ষ দাবি করে হাইকোর্টের আদেশের কপি ব্যাংকে জমা দিয়েছেন। এ জটিলতার কারণে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বেতনের টাকা দেয়া স্থগিত রেখেছে। অধ্যক্ষ মাসুদ রেজা বলেন, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সংযুক্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। আমি সেই আদেশ অনুসারে কলেজের কার্যক্রম পরিচালনা করছি। অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমার অধ্যক্ষ পদের কোন ফয়সালা না করে সংযুক্ত অধ্যক্ষ হিসেবে মাসুদ রেজাকে আমতলী সরকারী কলেজে নিয়োগ দিয়েছেন। এ সংযুক্তি আদেশের উপর আমি উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেছি। আদালত আমাকে বৈধ অধ্যক্ষ হিসেবে আদেশ দেয়ায় আমি সাইনবোর্ড টানিয়ে অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
×