ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী

দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তির বিষয়ে আইনী প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ০৫:২০, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তির বিষয়ে আইনী প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের মধ্যে যারা দ-িত হয়েছেন তাদের সম্পত্তির বিষয়ে আমরা আইনী প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা নেয়ার চিন্তা ভাবনা করছি। যে কোন প্রক্রিয়ায়ই হোক সেটা আইনী প্রক্রিয়াতেই করা হবে। জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, জামায়াতের বিচার করতে উপযুক্ত আইন করতে হবে। “আইসিটি এ্যাক্ট ১৯৭৩ সংশোধন করা হচ্ছে। জামায়াত সংগঠন হিসেবে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে।” ওই আইনের খসড়া মন্ত্রিসভার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি আরও বলেন, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতের শপথ ভঙ্গের রায়ের পরেও তাদের মন্ত্রিত্ব হারানোর কোন কারণ নেই। দুই মন্ত্রীর বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এমপিদের ডিসকোয়ালিফিকেশনের বিষয়ে আর্টিকেল ৬৬ (সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ) এ ক্লিয়ারলি দেয়া আছে। সেই ডিসকোয়ালিফিকেশনের মধ্যে আমাদের মন্ত্রিগণ পড়েন না, এই সাজার পরেও।” আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সরানোর সুপ্রীমকোর্টের চিঠির বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, জনগণ এ বিষয়ে যা চায় তাই হবে। জনগণের চাওয়া ও প্রধান বিচারপতির চিঠিতে যদি পার্থক্য থাকে তা হলে প্রধান বিচারপতির কাছে গিয়ে অনুরোধ করব। বিচার বিভাগের সচিবালয় গঠনে আইন মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতা নেই। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী বিভিন্ন ঘটনায় এ কথা বলেছেন। এসময় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হক উপস্থিত ছিলেন। আইন মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতা নেই ॥ আইনমন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগের সচিবালয় গঠনে আইন মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতা নেই। এটা করতে হলে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে সংসদে আইন পাস করতে হবে। মঙ্গলবার একটি জাতীয় দৈনিকে এক বিচারপতির বরাত দিয়ে বিচার বিভাগ সচিবালয় গঠন সম্পর্কে প্রকাশিত বক্তব্যের ব্যাখা দিতে গিয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার খবরের কাগজে তিনি দেখতে পান, তার একজন অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় যাকে তিনি অত্যন্ত শ্রদ্ধা করেন, সেই বিচারপতি একটি মিটিংয়ে বলেছেন, ‘আইন মন্ত্রণালয় বিচার বিভাগের সচিবালয়ের ব্যাপারে সুপ্রীমকোর্টকে কোন (বিচারপতি যে শব্দটি বলেছেন তা উচ্চারণ করতে চান না)...।’ আমরা তাদের কথা শুনি। অত্যন্ত সম্মানিত ও শ্রদ্ধাশীল একজন বিচারপতি এ রকম শব্দচয়ণ করবেন আমি আশা করিনি, দুঃখ পেয়েছি। আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিধির মধ্যে বিচার বিভাগের সচিবালয় গঠনের ক্ষমতা নেই। বাংলাদেশে একটাই সচিবালয় আছে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়। বিচার বিভাগের সচিবালয় করতে হলে মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদন হয়ে আইন করে এবং সংসদে আইন পাস করতে হবে। আইনী প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা ॥ আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, “সম্পত্তির বিষয়ে আইনী প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণের চিন্তাভাবনা করছি। খুব দ্রুততার সঙ্গে করা হবে বা বিলম্ব হবে তা বলছি না, আমরা চাইবো তাড়াতাড়ি করার।” ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের বিষয়ে কিছু বলা নেই। নতুন করে আইন বানাতে হবে। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের যে দাবি উঠেছে সে বিষয়ে আইনী প্রক্রিয়াতেই ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে সরকার। এজন্য নতুন একটি আইন প্রণয়ন করা হবে । “যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তির বিষয়ে জনগণের দাবি উঠেছে। আমরা জনগণের সরকার, এ সরকার আসনে বসেছে যেন জনগণের মুখে হাসি ফোটে। সম্পত্তির বিষয়ে আইনী প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণের চিন্তাভাবনা করছি। খুব দ্রুততার সাথে করা হবে বা বিলম্ব হবে তা বলছি না, আমরা চাইব তাড়াতাড়ি করার।” ‘জনগণের দাবি’ পূরণে যে পদক্ষেপই নেয়া হোক তা আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “আইসিটি (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল) আইনের মধ্যে একটি সুযোগ করা যেতে পারে বা নতুন আইন করা যেতে পারে।” আইনটি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্যই করা হচ্ছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আনিসুল হক বলেন, আমি বাজেয়াপ্ত করার কথা বলিনি, বাজেয়াপ্ত করা হবে কি না- তা কোর্ট নির্ধারণ করবে। যেসব যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদ- কার্যকর হয়েছে মুসলিম আইনে তাদের সম্পত্তি সন্তানদের মালিকানায় চলে যাওয়ায় আইন সংশোধনের বদলে নতুন আইন করাই ‘শ্রেয় হবে’ বলে মত দেন মন্ত্রী। আইসিটি এ্যাক্ট সংশোধন হচ্ছে ॥ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির নিষিদ্ধ হচ্ছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আইসিটি এ্যাক্ট ১৯৭৩ সংশোধন করা হচ্ছে। জামায়াত সংগঠন হিসেবে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। জামায়াতের বিচার করতে উপযুক্ত আইন করতে হবে।” ওই আইনের খসড়া মন্ত্রিসভার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানান তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্রশিবিরের কার্যক্রম বন্ধের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। কিভাবে তাদের কর্মকা- নিষিদ্ধ করা যায়’। দল বা সংগঠন হিসেবে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করে জামায়াত নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনটি সংশোধন করা উচিত। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দু’টি রায়ের পর্যবেক্ষণে সংগঠন হিসেবে জামায়াতের যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত করে খতিয়ে দেখতে বলেছেন। আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালের ৪ নবেম্বর যে সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন, সেই সংবিধানে পরিষ্কারভাবে লেখা ছিল- ধর্মভিত্তিক কোন রাজনৈতিক দল হতে পারবে না। জামায়াত সেই সময় এক্সিস্ট করত না। ১৯৭৩ সালে যখন আইন করা হয়, তখন জামায়াতের কোন অস্তিত্ব ছিল না। তাই কোন দলকেই এ আইনের আওতায় বিচার করার কোন বিধানও ছিল না। যখন আন্তর্জাতিক অপরাধ টাইব্যুনাল রায়ে যখন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন, সেক্ষেত্রে এর একটা বিধি ব্যবস্থা করা উচিত। এ চিন্তা এবং জনগণের দাবি গ্রহণ করে আমরা এ আইনের কিছু সংশোধন করছি’। জামায়াত নিষিদ্ধ হচ্ছে কি-না তা স্পষ্ট করার প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আবারও বলব, নিষিদ্ধ করবেন কি করবেন না- সেটা আদালতের ব্যাপার। আমার কাজ হচ্ছে, এমন আইন করে দেয়া, যেন সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচার হয়। সংশোধিত সে আইনটিই এখন মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য অপেক্ষমাণ। এর চেয়ে আমি আর বেশি কিছু বলব না’। দুই মন্ত্রীর পদত্যাগের প্রয়োজন নেই ॥ আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতের শপথ ভঙ্গের রায়ের পরেও তাদের মন্ত্রিত্ব হারানোর কোন কারণ নেই। ফাঁসি কার্যকর হওয়া যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেম আলীর আপীল মামলার রায়ের আগে সুপ্রীমকোর্টে ও প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে করা মন্তব্যের জন্য ওই দুই মন্ত্রীকে আদালত অবমাননার দায়ে গত ২৭ মার্চ ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন আপীল বিভাগ। গত ১ সেপ্টেম্বর ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেন সর্বোচ্চ আদালত। পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, তারা আইন লঙ্ঘন এবং সংবিধান রক্ষা ও সংরক্ষণে তাদের শপথ ভঙ্গ করেছেন। এরপর দুই মন্ত্রীর পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে, যেটির শুনানি হবে আজ বৃহস্পতিবার। আইনমন্ত্রী বলেন, ‘খবরের কাগজে আমি পড়েছি, হাইকোর্ট একটি রুল দিয়েছেন, জবাব দিতে বলেছেন তাদের অবস্থান কি? এজন্য আমি খুব সাবধানে কথাটা বলতে চাই। কারণ, আমি আদালত অবমাননার মধ্যে পড়তে চাই না। তাছাড়া বিচারাধীন বিষয়ের মধ্যে পড়ে যায়’। ‘আপনার জানেন, এ দেশে গণতন্ত্রের বয়স খুব কম। এখানে শপথ ভঙ্গের জন্য কোন দ- নেই যে, এটা করতে হবে, ওটা করতে হবে। এ রকম কোন আইনও নেই, বিধানও নেই। কোন কনভেনশনও নেই’। আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিচারপতিরা রায় দিয়েছেন। রায়ে তারা আপীল বিভাগ কিন্তু বলে দেননি, পাঁচজন বিচারপতি বলে দেননি যে, শপথ ভঙ্গ হয়েছে। তারা বলে দেননি যে, শপথ ভঙ্গের কারণে মন্ত্রিত্ব নেই। বরং তারা যেটা বলেছেন, এই শপথ ভঙ্গের কারণে তারা যে ক্ষমা চেয়েছিলেন, তা না করে শাস্তি দিচ্ছি’। ‘তিনজন বিচারপতি শপথ ভঙ্গের ব্যাপারে ঐকমত্য প্রকাশ করেননি। তারা পরিষ্কার বলেছেন, যখন তাদের বিচার করা হচ্ছে- তখন এ ইস্যুটা সামনে আসেনি। এ ইস্যু নিয়ে কোন রুল জারি করা হয়নি। যেহেতু রুল জারি করা হয়নি, সেহেতু বিবেচনায় আনাই আইনসম্মত না। তাদেরকে জবাব দেয়ার অধিকার আমরা দেইনি। যদি রুল জারি করা হতো, তাহলে তারা জবাব দিতে পারতেন’। একটি উদাহরণ ॥ আইনমন্ত্রী একটি উদাহরণ টেনে বলেন, বিচার বিভাগ লর্ড ডেনিমের উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, ইউনাইটেড কিংডমের একজন বিজ্ঞ বিচারক অথবা লর্ড ডেনিমকে একজন লিখেছিলেন- তোমাকে একটি গালি দেয়া হলো। তুমি কনটেমপ্ট করতে পারতে, করলে না কেন? তখন ওই বিচারপতি বললেন, তার বলার অধিকার আছে। আর সেটা আমি শুনলাম কি শুনলাম না, আমার কাজ যেটা সেটা আমি করে যাই। আমি একজন বিচারপতি, আমাকে ব্যক্তিগতভাবে গালি দেয়া হলে, তা গ্রহণ করে ওপরের দিকে দেখতে পারি, নিচের দিকে না দেখে। তাহলে বিচারকেরই ভাল হয়। তাতে বিচারপতিদের মহানুভবতা প্রকাশ পায়’। আইনমন্ত্রী জানান, ‘জাজমেন্টের মধ্যেই এ উদাহরণ আছে। তারা বলেছেন, শপথ ভঙ্গের ব্যাপারে আমরা কনসিডার করতে পারি না’। আইনমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, এমপিদের ডিসকোয়ালিফিকেশন সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা আছে। সেখানে কিন্তু সেই ডিসকোয়ালিফিকেশনের মধ্যে মন্ত্রীরা পড়েন না, এই সাজার পরেও। সেহেতু আমার মনে হয়, কনটেমপ্ট না হয়, সেই আবেদনেই বলছি, তাদের মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ বা পদ হারানোর কোন প্রয়োজন নেই, কারণ নেই’। প্রয়োজনে প্রধান বিচারপতির কাছে যাব ॥ ১৮ আগস্ট সুপ্রীমকোর্টের রেজিস্ট্রার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠি আইন মন্ত্রণালয়ে ট্রাইব্যুনাল সরানোর জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। ঐ চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টে বর্তমানে পর্যাপ্ত স্থানাভাবে বিচারপতি গণের প্রয়োজনীয় চেম্বার ও এজলাসের ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া স্থান সঙ্কুলান না হওয়ার কারণে সুপ্রীমকোর্ট রেজিস্ট্র্রার অফিসের কর্মকর্তা /কর্মচারীদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক চেম্বার দফতরের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। ভবিষ্যতে বিষয়টি আরও প্রকট হবে বিধায় জরুরী ভিত্তিতে বিচারপতিদের চেম্বার ও এজলাস এবং কর্মকর্তা কর্মচারীদের অফিস হিসেবে ব্যবহারের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় স্থানের ব্যবস্থা করা আবশ্যক। এই চিঠির উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, জনগণ এ বিষয়ে যে চায় তাই হবে। যদি জনগণের চাওয়া ও প্রধানবিচারপতির চিঠিতে পার্থক্য থাকে তা হলে প্রধান বিচারপতির কাছে গিয়ে হাত-পা ধরে বসে থাকব।
×