ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

১০ টাকা কেজি চাল

প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রামে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী উদ্বোধন করবেন আজ

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রামে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী উদ্বোধন করবেন আজ

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের এ ইউ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘হতদরিদ্রদের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী’র উদ্বোধন করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী এক সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন। এ কর্মসূচীর আওতায় ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবার ১০ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবে। এতে কুড়িগ্রাম জেলার ৯ উপজেলার এক লাখ ২৫ হাজার ২৭৯ পরিবার এ সুবিধার আওতায় আসবে। সারাদেশে ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবার ৫ মাসের জন্য এ কর্মসূচীর সুফল পাবেন। এ কর্মসূচী বাস্তবায়িত হলে আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষায় আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে চিলমারী শহর বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। শত শত গেট আর তোরণে ঢেকে আছে পুরো এলাকা। উৎসুক মানুষ এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা রাত থেকে সভাস্থলে অবস্থান করছেন। শেখ হাসিনার সফরসঙ্গীরা হলেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি, খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট মোঃ কামরুল ইসলাম এমপি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এএম বদরুদ্দোজা প্রমুখ। হতদরিদ্রদের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পল্লী রেশন ডিলারদের মাধ্যমে নির্ধারিত কার্ডধারীদের মাঝে মাসে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি করা হবে। কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক খান মোঃ নুরুল আমিন জানান, সারাদেশের ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবার ইতোমধ্যে নির্বাচন করে কার্ড বিতরণের কাজ চলছে। স্থানীয় জনপ্রতিধিদের মাধ্যমে হতদরিদ্রদের নির্বাচন করা হয়েছে। তাদের দেয়া হচ্ছে সুদৃশ্য কার্ড। ধান লাগানো ও ধান কাটার মধ্যবর্তী সময়ে যখন দিনমজুরদের হাতে কাজ থাকে না, তখনই এ কর্মসূচীর সুফল পাবেন তারা। প্রতি বছর সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নবেম্বর এবং মার্চ ও এপ্রিল মাসে নির্ধারিত ডিলারদের কাছ থেকে ১০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ ৩০ কেজি চাল কিনতে পারবেন কার্ডধারীরা। ফলে এ অঞ্চলে আর মঙ্গা থাকবে না। থাকবে না খাদ্য কষ্ট। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলায় মোট ১ লাখ ২৫ হাজার ২৭৯টি পরিবার খাদ্যবান্ধব কার্ডের মাধ্যমে সরকারের সৃজনশীল এই কর্মসূচীর সুফল পাবেন। এরই মধ্যে চিলমারী উপজেলার ৮ হাজার ২১ জন দরিদ্র পরিবারকে এই কার্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া সদরে ১৭ হাজার ৭২২টি, নাগেশ^রীতে ২৪ হাজার ২০টি, ভুরুঙ্গামারীতে ১৩ হাজার ৯৮৫টি, ফুলবাড়ীতে ৯ হাজার ২৯৮টি, রাজারহাটে ১০ হাজার ৬০২টি, উলিপুরে ২৪ হাজার ২০৮টি, রৌমারীতে ১২ হাজার ৬৮৫টি ও রাজীবপুর উপজেলায় ৪ হাজার ৭৩৮টি কার্ড বিতরণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চাল বিক্রির জন্য জেলায় ২৪৭ জন সম্ভাব্য ডিলারের মধ্যে ১২৬ জনকে ইতোমধ্যে নিযুক্ত করা হয়েছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর চিলমারী সফরকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের দীর্ঘদিনের কিছু দাবি বাস্তবায়নের আশা করছেন। এর মধ্যে রয়েছে চিলমারী থেকে ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস চালু, চিলমারী বন্দর বাস্তবায়ন, দ্বিতীয় তিস্তা সেতুতে ট্রেন লাইন চালু। এসব দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি। কমিটির প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ নলেজ বলেন, ‘দ্বিতীয় তিস্তা সেতুর নক্সায় রেলপথ যুক্ত করলে ঢাকার সঙ্গে ২০০ কিমি দূরত্ব কমে যাবে। গণকমিটির পক্ষ থেকে এ দাবিও তুলে ধরা হবে’।
×