ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

৫২ লাখ জাল টাকা উদ্ধার

রাজধানীতে জালনোট তৈরি চক্রের ৮ জন আটক

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬

রাজধানীতে জালনোট তৈরি চক্রের ৮ জন আটক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫২ লাখ জাল টাকাসহ ৮ জনকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। আটকদের কাছ থেকে জাল টাকা তৈরির বেশকিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। আটকরা হলেন- মোঃ রেজাউল ইসলাম ওরফে মুন্না (২৬), মোঃ আব্দুল কাদের ওরফে অপু (২৮), মোঃ লতিফ (২৫), মোঃ ফজর আলী (২৯), মোঃ মহরম মিয়া (৩৮), মোছাঃ সুমি বেগম (২০), মোঃ আঃ বারেক (২৫) ও মোঃ সাদ্দাম (২৩)। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে জালনোট তৈরির কাজে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, একটি প্রিন্টার, ১৫টি কার্টিজ, ৪টি প্লাস্টিকের ছোট জার, ৪টি কাঠের তৈরি ফ্রেম, সাদা পেপার ৪৫০ পিস জব্দ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫২ লাখ জাল টাকাসহ ৮ জনকে আটক করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে জাল টাকা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এদিকে আটকদের বিষয়ে শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ডিএমপি। মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে তারা তাদের প্রস্তুত করা জালনোট বাজারজাত করে থাকে। পবিত্র ঈদ-উল আযহার পশুর হাট সামনে রেখে তারা জালনোট প্রস্তুত ও মজুদ করছিল। মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রথমে পল্টন এলাকা থেকে সাদ্দাম, বারেক, সুমি বেগম, মহরম মিয়াকে আটক করা হয়। তারপর তাদের দেহ তল্লাশি করে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার বাংলাদেশী জালনোট, আট হাজার ভারতীয় রুপী উদ্ধার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী কোতোয়ালি এলাকা থেকে জালিয়াত চক্রের মূল হোতা রেজাউল ইসলামসহ কাদের, লতিফ ও ফজর আলীকে আটক করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সোহেল নামে একজন কৌশলে পালিয়ে যায়। তারা পেশাদার জাল টাকা প্রস্তুতকারক ও বিক্রেতা। চক্রটি ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় স্বল্প মেয়াদে বাসা ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন সিন্ডিকেট তৈরি করে নিজেরা বাংলাদেশী জালনোটসহ বিভিন্ন দেশের ডলার, রুপী তৈরি করে আসছিল। এসব জালনোট ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করে আসছে। জালনোট প্রস্তুত হতে খুচরা পর্যায়ে বিতরণ পর্যন্ত তারা বিভিন্ন স্তর অবলম্বন করে। প্রতিটি স্তরেই রয়েছে মহিলা সদস্যসহ একাধিক সিন্ডিকেট। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজধানীতে এখনও জালনোট তৈরির তিনটি চক্র সক্রিয়। কিছুদিন আগে আমরা ৬০ লাখ টাকার জালনোট উদ্ধার করেছি। আর বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার করা হয়েছে ৫২ লাখ টাকার জালনোট। তবে এদের দৌরাত্ম্য আগে থেকে কমে এসেছে। অপরদিকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ আলাদা অভিযানে ৩১ অজ্ঞান ও মলম পার্টির সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারদের মধ্যে ২১ জনকে ছয় মাস থেকে দু’বছর কারাদ- দিয়েছে ডিএমপির ভ্রাম্যমাণ আদালত।
×