ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

নিষেধাজ্ঞায় হতাশ হোপ সোলো

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

নিষেধাজ্ঞায় হতাশ হোপ সোলো

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টানা ৬ মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র মহিলা ফুটবলের ইতিহাসে অনেক রেকর্ডের অধিকারী গোলরক্ষক হোপ সোলোকে এই দীর্ঘ সময়ের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে জাতীয় দল থেকে। ৩৫ বছর বয়সী এ তারকা সে কারণে ফেব্রুয়ারির আগে আর জাতীয় দলে ফিরতে পারছেন না। সেই হতাশায় জাতীয় ক্লাব ফুটবল আসরেও অংশ নিচ্ছেন না আপাতত। অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোন নির্দিষ্ট কারণ প্রদর্শন ছাড়াই নিজ ক্লাব সিয়াটল রেইন থেকে ছুটি নিয়েছেন সোলো। নিষেধাজ্ঞায় দারুণভাবে মুষড়ে পড়েছেন তিনি। অশ্রুসিক্ত সোলোকে এ বিষয়ে কথা বলতে দেখা গেছে এক টেলিভিশন প্রতিবেদনে। কারণ নিষেধাজ্ঞাই শুধু নয়, তার সঙ্গে চুক্তিও বাতিল করা হয়েছে। সে কারণে তিনি এই সময়টাতে কোন বেতনও পাবেন না। যুক্তরাষ্ট্রের মহিলা ফুটবলের ইতিহাসে সর্বাধিক ২০২ ম্যাচ খেলা, সর্বাধিক ১৫৩ জয়, এক মৌসুমে সর্বাধিক ২৬ জয় এবং টানা ১২৫৬ মিনিট খেলা ও টানা ৫৫ ম্যাচ অপরাজেয় থাকার রেকর্ড আছে সোলোর। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মেয়েদের একটি বিশ্বকাপ ও দুটি অলিম্পিক স্বর্ণ এনে দিয়েছেন। যদি এবার রিও অলিম্পিকের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সুইডেনের সঙ্গে দারুণ খেললেও নির্দিষ্ট সময়ে ১-১ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচে মার্কিন মেয়েরা টাইব্রেকারে পরাজিত হয় ৪-৩ গোলে। ম্যাচে সুইডেন খুবই রক্ষণাত্মক কৌশলে খেলেছিল। এ কারণে সোলো সুইডেনকে ‘কাপুরুষ’ বলে অভিহিত করেন। এমন মন্তব্যের কারণে দারুণ সমালোচিত হয়ে তোপের মুখে পড়েন এ গোলরক্ষক। পরে ক্ষমা প্রার্থনাও করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেটাতেও ছাড় পাননি। তাকে ৬ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে তিনি আগামী বছর ফেব্রুয়ারির আগে আর জাতীয় দলে ডাক পাবেন না। এ বিষয়ে সোলো তার স্বামী জেরামি স্টিভেন্সকে অশ্রুসিক্ত নয়নে বলেন, ‘ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা কোন বেতন ছাড়া এবং চুক্তি বাতিল। এটা শুধুই নিষেধাজ্ঞা নয়। কিভাবে এতকিছু শাস্তির মধ্যে থাকতে পারে? ১৭ বছর খেলে এটাই আমাকে বরণ করতে হলো?’ সোলো যতই হতাশ হোন না কেন তার কঠিন কোন শাস্তি পাওনাই ছিল। কারণ এর আগেও বাজে ব্যবহারের জন্য তাকে ৩০ দিনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সোলো খেলার জগতের বাইরেও বেশ সমস্যায় আছেন। কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে তাঁকে ২০১৪ সালের একটি ঘটনার জন্য। তার বিপক্ষে অভিযোগ তিনি তার বোন ও ভাগ্নেকে বিষ খাইয়েছেন এবং শারীরিকভাবে আঘাত করেছেন। তবে সোলোর দাবি তিনি ঝগড়া-বিবাদের শিকার। এ বছর ওয়াশিংটনের আপীল বিভাগ বিচারের শুনানি না করার জন্য সোলো যে আবেদন করেছিলেন তা নাকচ করে দেয়। ২০১৫ সালের দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় দলের সঙ্গে যখন অনুশীলন ক্যাম্পে ছিলেন সোলো, সে সময় তার স্বামী জেরামি স্টিভেন্স গ্রেফতার হন। অভিযোগ ছিল জাতীয় দলের গাড়ি সোলোকে নিয়ে স্টিভেন্স মদ্যপ অবস্থায় অনিয়ন্ত্রিত গতিতে চালাচ্ছিলেন। ৩০ দিনের কারাদ- ও ৪ বছরের নজরদারির শাস্তি পান স্টিভেন্স আর সোলোকে ৩০ দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয় জাতীয় দল থেকে। কিন্তু শোধরাননি সোলো। আবারও তিনি বাজে মনোভাবের কারণে সাসপেন্ড হলেন। আর এখন ছুটি নিয়েছেন ক্লাব ফুটবল থেকেও। কিন্তু সোলোর পক্ষে কথা বলছেন না কেউ। কারণ বাজে আচরণ, অনিয়ন্ত্রিত মন্তব্য এটা তার পুরনো অভ্যাস!
×