ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ভ্যানচালক খুন

নীলফামারীতে চার স্কুলছাত্র গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

নীলফামারীতে চার স্কুলছাত্র গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ সুবিধ চন্দ্র রায় নামের ব্যাটারিচালিত ভ্যানচালককে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার স্কুলছাত্র গ্রেফতার হয়েছে। ঘটনার তিন মাসের মাথায় বুধবার রাতে নীলফামারী থানা পুলিশ এই চারজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত চারজনই জেলা সদরের পলাশবাড়ি পরশমণি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ও পলাশবাড়ি ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। এরা হলো- ওই গ্রামের নিলচরণ রায়ের ছেলে দশম শ্রেণীর ছাত্র সুজয় চন্দ্র রায়, আতিয়ার রহমানের ছেলে দশম শ্রেণীর ছাত্র ফরিদুল ইসলাম, সুনীল চন্দ্র রায়ের ছেলে নবম শ্রেণীর ছাত্র কমল চন্দ্র রায় ওরফে উত্তম ও ফারুক ইসলামের ছেলে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র জাকির হোসেন। এদের মধ্যে তিনজনকে নিজবাড়ি থেকে ও সুজয় চন্দ্র রায়কে শহরের কানছিড়া মহল্লার ছাত্রাবাস থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরা চারজনই পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, পকেট খরচের টাকা যোগাতে ছিনতাইয়ের কাজে নেমে পড়েছিল। ফলে এ হত্যাকা- ঘটে। নীলফামারী থানার ওসি বাবুল আকতার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেফতারকৃতদের কিশোর অপরাধ ধারায় আদালতে বিচার করা হবে বলে জানানো হয়। প্রথমদিকে এ হত্যাকা-টি জঙ্গীরা করেছে বলে ছড়িয়ে পড়লেও পুলিশের তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, চলতি বছরের ৩ জুলাই সন্ধ্যায় খেতারডাঙ্গা যাওয়ার কথা বলে পলাশবাড়ি বাজার হতে ভ্যানচালককে ভাড়া করে ওই চার ছাত্র। রাত আটটার দিকে মালিরকুড়া ব্রিজ নামক স্থানে ভ্যানটি এলে তারা ভ্যানচালকের মোবাইল ও টাকা ছিনতায়ের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে কুড়াল, চাকু ও খুর দিয়ে আঘাত করে। এ সময় ওই রাস্তায় পথচারী দেখতে পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। প্রথমে ভ্যানচালককে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে ও পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে ৪ জুলাই শনিবার ভোরে মারা যায়। কৃষি কর্মকর্তার মৃত্যু ঘিরে খুলনায় তোলপাড় স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রাক্তন ছাত্র ও বিসিএস কৃষি কর্মকর্তা সুমন শীলের (৩০) মৃত্যুকে কেন্দ্র করে খুলনায় ব্যাপক তোলপাড় চলছে। তার বাড়ি পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামে। তিনি চট্টগ্রামের উখিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঢাকার একটি বাসায় তার রহস্যজনক মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার সকালে সুমনের মৃতদেহ পাইকগাছায় নিয়ে আসেন তার আত্মীয় নবদ্বীপ রায় ও তার স্ত্রী গীতা রানী রায়। এরপর পাইকগাছা থানা পুলিশ তাদের দুইজনকে আটক করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সুমনকে হত্যা করা হয়েছে বলে তার পরিবার ও স্বজনদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গলায় ফাঁসের চিহ্ন দেখা গেছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা, ময়নাতদন্ত রিপোর্টে তা জানা যাবে। এদিকে বিভিন্ন মহল থেকে সুমনের মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটন ও ন্যায়বিচারের দাবি জানানো হয়েছে। শেরপুরে মগডালে ঝুলন্ত লাশ নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ৩১ আগস্ট ॥ নালিতাবাড়ীতে ঝুলন্ত অবস্থায় আমজাদ আলীর (৫৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের হাতিপাগার এলাকার গামারী গাছ থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। বিকেলে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। তবে পরিবারের অভিযোগ, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফিরে আসেননি আমজাদ আলী। বুধবার সকালে বাড়ির অদূরে রাস্তা সংলগ্ন গামারী গাছের প্রায় ১২ ফুট উচ্চতার মগডালে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে সংবাদ পেয়ে পরিবারের লোকজন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলেই মনে করছে।
×