ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

ছেলেকে স্বীকৃতি দিয়ে ‘তরুণ’ হতে ছুটলেন মারাদোনা

প্রকাশিত: ২০:২৭, ২৭ আগস্ট ২০১৬

ছেলেকে স্বীকৃতি দিয়ে ‘তরুণ’ হতে ছুটলেন মারাদোনা

অনলাইন ডেস্ক ॥ কখনও মেসিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করছেন। কখনও এই বয়সেও মেদ ঝরাতে জার্মান বিজ্ঞানীর অত্যাধুনিক চিকিৎসার সাহায্য নিচ্ছেন। আবার এত দিন অস্বীকার করেও হঠাৎই ২৯ বছর পর ছেলেকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রকাশ্যে আবেগের বানে ভাসছেন। দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনার জীবনের মঞ্চে নাটকের আর শেষ নেই! আর্জেন্তিনীয় কিংবদন্তি ফুটবলারের যে বর্ণময় জীবনে এক নতুন অধ্যায় যোগ করলেন ২৯ বছরের দিয়েগো জুনিয়র। ইতালির ক্লাব নাপোলিতে খেলার সময় স্থানীয় মডেল ক্রিস্টিনা সিনাগ্রার সঙ্গে কিছু দিনের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল মারাদোনার। জুনিয়রের জন্ম তার পরেই। ১৯৮৬-র সেপ্টেম্বরে। তবে এত দিন মারাদোনা স্বীকার করতে চাননি যে, তিনি জুনিয়রের বাবা। এমনকী ডিএনএ পরীক্ষা করতেও অস্বীকার করেছিলেন। তা সত্ত্বেও নাপোলির আদালত মারাদোনার নামে ছেলের এই নাম রাখে। মারাদোনার ছেলে দিয়েগো জুনিয়রও ফুটবলার। ১১ বছর বয়সে সুযোগ পেয়েছিলেন নাপোলির জুনিয়র দলে। বাবা যে ক্লাবে দাপিয়ে খেলেছিলেন। এত দিন পর হঠাৎ মারাদোনা স্বীকার করে নিলেন কেন ছেলেকে? শোনা যাচ্ছে, মারাদোনার এখনকার বান্ধবী রোকিও অলিভাই গোটা ব্যাপারটার মূলে। তিনিই ডিনার আয়োজন করে প্রকাশ্যে মারাদোনা আর জুনিয়রকে কাছাকাছি আসার সুযোগ করে দেন। মারাদোনাও আর আপত্তি করেননি। বরং দিয়েগো জুনিয়রকে জড়িয়ে ধরে আবেগে ভাসতে ভাসতে বলেন, ‘‘ও তো অনেকটা আমার মতোই দেখতে। ছেলেকে আমি খুব ভালবাসি।’’ দু’জনের চোখেই তখন জল। একটি নাচের রিয়ালিটি শো-এ অংশ নিতে বুয়েনস আইরেসে উড়ে এসেছিলেন দিয়েগো জুনিয়র। তার পরই বাবার বান্ধবীর ডিনারে আসেন। পরে দিয়েগো জুনিয়র বলেন, ‘‘রোকিও ফোন করে বলেছিল, তোমার বাবা তোমার সঙ্গে কথা বলতে চান। আর উনি ফোনটা ধরে আমাকে বললেন, যে মেসেজগুলো পাঠিয়েছ তাতে হ্যালো ওল্ড ম্যান লিখেছ কেন। বাবা বলে ডাকবে না?’’ এর পর হোয়াটসঅ্যাপেও কথা হয় দু’জনের। বাবাকে জড়িয়ে ধরাটা তাঁর কাছে দুনিয়ার সবচেয়ে সুন্দর অনুভূতি। আরও শোনা যাচ্ছে, পোপ ফ্রান্সিস বুয়েনস আইরেসের আর্চবিশপ থাকার সময় মারাদোনাকে বলেছিলেন দিয়েগো জুনিয়রকে ছেলে হিসেবে স্বীকৃতি দিতে। কিন্তু ব্যাপারটা এত দিন আর হয়ে ওঠেনি। বান্ধবী রোকিওর উদ্যোগে যে বরফটা শেষ পর্যন্ত গলল। এটাই অবশ্য প্রথম নয়, এর আগে এ রকম সাদামাঠা একটি পারিবারিক ডিনারে মারাদোনা স্বীকৃতি দিয়েছিলেন মেয়ে জানা-কে। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল সেটাও। দিয়েগো জুনিয়র আর ২০ বছরের জানা ছাড়া মারাদোনার আরও দুই মেয়ে আছেন। দালমা (২৯) ও জিয়ানিনা (২৭)। যাঁদের মা মারাদোনার প্রাক্তন স্ত্রী ক্লদিয়া ভিলাফানে। মারাদোনার সবচেয়ে ছোট ছেলের বয়স তিন। দিয়েগো ফার্নান্দো। প্রাক্তন প্রেমিকা ভেরোনিকা ওজেদার সঙ্গে সম্পর্কের পর জন্মায় সে। শুধু বিতর্কিত সম্পর্কে জড়ানোই নয়, ৫৫ বছরের মারাদোনা ছেলেকে স্বীকৃতি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই বুয়েনস আইরেসে একটি ক্লিনিকে যান। অ্যান্টি-এজিং ট্রিটমেন্টের জন্য। প্রচুর পরিমাণে ‘ভিটামিন সি’ পাম্প করে তাঁর মুখে ঢোকানো হয় সেখানে। যাতে তাঁর বয়স কম লাগে। ক্লিনিকে যাওয়ার সময় তাঁর বড় ছেলে আর প্রেমিকাকেও মারাদোনার সঙ্গে দেখা গিয়েছে বলে খবর। দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনার জীবনে নাটক চলছেই! সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×