ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জে গুণীজনদের বাড়িতে স্মৃতিফলক স্থাপন দাবি

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ২৫ আগস্ট ২০১৬

মুন্সীগঞ্জে গুণীজনদের বাড়িতে স্মৃতিফলক স্থাপন দাবি

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জে সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যেন সেন, বদ্ধুদেব বসু, সরেজনী নাইডু, সাতারু বজ্রেন দাস, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, বিপ্লবী বিনয় বাদল দীনেশের বাড়িতে স্মৃতিফলক স্থাপনের দাবি উঠেছে। বুধবার জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় প্রস্তাবটি উত্থাপন করে মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল বলেন, এই কালজয়ী বাঙালীদের আদর্শ নতুন প্রজন্মকে ছড়িয়ে দিতে এবং সৃজনশীল জাতি গঠনে বর্তমান গ্রেক্ষাপটে এ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নীতিবাক্য চর্চা এবং ধর্মীয় মূল্যবোধকে দৃঢ় করতে মাতৃভাষায় ধর্মগ্রন্থ চর্চা ও সন্ধ্যার পরে শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে রাখা এবং পরিবারের অংশ হিসেবে সন্তানদের গড়ে তোলা প্রয়োজন। জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল হাসান বাদলের সভাপতিত্বে এ সভায় আলোচনা করেনÑ এ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম শওকত আলম মজুমদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ লুৎফর রহমান, লৌহজং উপজেলার চেয়ারম্যান ওসমান গনি তালুকদার, শ্রীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মমিন আলী, মিরাকাদিম পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিন প্রমুখ। চাঁপাইয়ে ছড়িয়ে পড়ছে ক্যারাম জুয়া স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ ক্যারাম জুয়া ছড়িয়ে পড়েছে জেলা জুড়ে। সদরসহ পাঁচ উপজেলায় দেড় হাজার পয়েন্টে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই জুয়া মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। যার কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেকায়দায় পড়ে চলমান শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করতে হিমশিম খাচ্ছে। সম্প্রতি গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের বেগুনবাড়ীর আপা বাজারে ক্যারাম জুয়ার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। তারমধ্যে সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জেলা জুড়ে বিভিন্ন মোড়, ছোট বাজারের পানবিড়ির দোকান কিংবা চায়ের স্টল অথবা মুদি দোকানদাররা তাদের দোকানের সামনে ৩/৪টি ক্যারাম দিয়ে ব্যবস্থা করে জুয়া খেলার। সকাল হলেই আশপাশের মহল্লা ও গ্রামের বেকার যুবকরা বাবা-মায়ের গাঁট কেটে পয়সা এনে বাজি ধরে কেরাম খেলা শুরু করে। এরমধ্যে আয়োজক দোকানদারের নির্দিষ্ট পরিমাণ পার্সেন্টেজ থাকে। সে এই করে প্রতিদিন আয় করে অর্ধ সহস্রাধিক বা তারও বেশি টাকা। তার দেখাদেখি অন্য দোকানদাররাও বাড়তি আয় করতে ক্যারাম জুয়ার ব্যবস্থা করে থাকে। ফলে প্রতিদিন বাড়ছে ক্যারামের সংখ্যা। সেই সঙ্গে বাড়ছে জুয়াড়িদের সংখ্যা। কলাপাড়া আদালত ভবনের জীর্ণদশা নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২৪ আগস্ট ॥ আদালত ভবনের জীর্ণদশা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, যে কোন সময় তা ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিচারক, আইনজীবী, আদালত কর্মচারী, পুলিশসহ বিচার প্রত্যাশী মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভবনটি ব্যবহার করছে। ভবনের সিলিং ফ্যান পড়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আনিছুর রহমান গুরুতর জখম হয়েছেন। তার মুখম-লে জখম হয়। একাধিক সেলাই দেয়া হয়েছে। আনিছুর রহমান জানান, খাস কামরায় তিনি কাজ করছিলেন মঙ্গলবার দুপুরে ফ্যানটি ছুটে তার টেবিলে পড়লে ফ্যানের পাখায় মুখম-লের ডান গালে গুরুতর জখম হন। অল্পের জন্য তিনি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। তিনি আরও জানান ফ্যানটি যে রডের সঙ্গে ঝোলানো ছিল তা জং ধরে ভেঙ্গে গেছে। ঘুরে দেখা গেছে, মূল ভবনের পিলার ভেঙ্গে রড বেরিয়ে গেছে। কার্নিশসহ ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। কার্নিশের নিচ বরাবর পুরো ভবনটিতে ফাটল ধরেছে। ছাদ চুইয়ে পানি পড়ার কারণেন অফিসিয়াল নথিপত্র থেকে কাগজপত্র রক্ষা করতে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। দেয়াল, বিম ও পিলারের পলেস্তারা ভেঙ্গে রড বেরিয়ে গেছে। কুয়াকাটায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দুই জেলেকে মারধর নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২৪ আগস্ট ॥ দাদনের টাকা পরিশোধ না করায় দুই সহোদর জেলে আবু তালেব (২৫) ও হেলালকে রশিতে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় মহিপুর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে দুই জেলের মা ময়না বেগম এ মামলাটি করেছেন। মামলায় আড়ত মালিক কুদ্দুস মৃধাসহ পাঁচ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হাফিজুর রহমান জানান, প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার কুয়াকাটার খাজুরা এলাকা থেকে দুই সহোদর জেলেকে কুয়াকাটায় ‘মৃধা ফিস’ আড়তে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের এক পর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়েন তারা।
×