ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

হাবের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৮:৪১, ২২ আগস্ট ২০১৬

হাবের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এবার হজ এজেন্সিজ অব বাংলাদেশ (হাব)-এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগ তুলেছে হাব সমন্বয় পরিষদ নামের একটি সংগঠন। সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ সৌদি আরব থেকে আরও ২০ হাজার অতিরিক্ত কোটা এনে হজযাত্রীদের পাঠানোর জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছেন। আগামী চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে যদি এ কোটা না আনা হয়, তাহলে ইহরামের কাপড় গায়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের কর্মসূচী পালন করার ঘোষণা দেন তারা। রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হাব সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক রুহুল আমিন মিন্টু হাবের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে লুটপাটের অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, এখনও আরও ২০ হাজার অতিরিক্ত কোটা সৌদি আরব থেকে আনা সম্ভব। বিষয়টি বিবেচনায় রাখার পরও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতার দরুন কোটা বাড়ানো যাচ্ছে না। ধর্ম মন্ত্রণালয় গঠিত নয় সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ৪০ হাজার হজযাত্রী প্রাক নিবন্ধিত হওয়া সত্ত্বেও সৌদি সরকারের নিকট বাড়তি হাজীর নতুন কোটার জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। অথচ মধ্যপ্রাচ্যে বর্তমান অস্থিতিশীল অবস্থার কারণে প্রায় ৭ লাখ হজযাত্রীর কোটা খালি রয়েছে। ইতোমধ্যে পাকিস্তান ও ভারতকে ৫০ হাজার অতিরিক্ত কোটা বরাদ্দ দিয়েছে সৌদি আরব। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এ কমিটির আন্তরিকতা, দক্ষতা ও দূরদর্শিতার অভাবে এখনও প্রাক নিবন্ধিত ৪০ হাজার বাংলাদেশের হজযাত্রী রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন। এ প্রসঙ্গে একটি উদাহরণ টেনে রুহুল আমিন মিন্টু বলেন, হাব ৭০০ টাকার ব্যাগ ১৯০০ টাকায় বিক্রি করে প্রায় ১৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এই টাকা এজেন্সির মালিকদের ফেরত দেয়ার দাবি উঠেছে। এছাড়া আইটি নামক দানব গত দুই বছর দুর্নীতিতে জড়িয়েছে। হঠাৎ আইটি বন্ধ করে রাতের অন্ধকারে নামে-বেনামে ১০ থেকে ১৫ হাজার হাজী নিবন্ধন করেছে। দুর্নীতির শেষ এখানেই নয়। কতিপয় হাব নেতার রোহিঙ্গা ও যুদ্ধাপরাধী পাচার ও ১০০ কোটি টাকার অবৈধ বাণিজ্য করার লক্ষ্যে রিপ্লেস ইস্যুতে ধর্ম সচিব এবং হজ পরিচালকের পদত্যাগের দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়েছে হাব। নেতৃবৃন্দ আরও জানান, গত ২৮ জুলাই সরকারী কোটা বেসরকারী কোটায় পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু গত বিশ দিনেও এই ৪৮০০ কোটা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। এই সিন্ডিকেটের কোটা ও রিপ্লেসমেন্ট বাণিজ্যের দরুন বিমানের ১৫টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। এ সিন্ডিকেট ইতোমধ্যেই ১৭০০ বেসরকারী কোটা বিক্রি করে দিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ, মাওলানা ক্বারী গোলাম মোস্তফা, মাওলানা জাকারিয়া, মোঃ শাহ আলম, মুজিবুল হক শুক্কুর, গোলাম ফারুক, মাওলানা বুলবুলি, শহিদুল হক খান ও রেজাউল করিম উজ্জ্বল।
×