ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শাশুড়ি-দেবরের নির্যাতনে গৃহবধূ হাসপাতালে

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ১৯ আগস্ট ২০১৬

শাশুড়ি-দেবরের নির্যাতনে গৃহবধূ হাসপাতালে

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ১৮ আগস্ট ॥ পারুল আক্তার (২৩) নামে এক বিধবা মহিলাকে বৃহস্পতিবার তার শাশুড়ি ও দেবর বেদম মারপিট করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বর্তমানে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ভাউলারহাট পদমপুর গ্রামের মৃত ডাঃ কামরুল হাসানের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী পারুল আক্তার অভিযোগ করে বলেন, গত ২৪ জানুয়ারি তার স্বামী মারা গেছেন। মৃত্যুর আগে স্বামী বসতভিটার ৪ শতক জমি তার নামে লিখে দিয়েছেন। স্বামী কামরুল হাসান মারা যাওয়ার পর থেকে তার ওপর নেমে আসে অশান্তি। প্রায় সময় তার শাশুড়ি ও দুই দেবর বসতবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য তাকে মারপিট করে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে স্বামীর দেয়া ৪ শতক জমির ওপর নির্মিত বসতবাড়িতে তালা ঝুলিয়ে দেয় শাশুড়ি নূর জাহান বেগম এবং গৃহবধূ পারুল আক্তারকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলেন। কিন্তু এতে রাজি না হওয়ায় শাশুড়ি নূর জাহান বেগম, দেবর রকিবুল ইসলাম লাবু ও জাহাঙ্গীর আলম পারুল আক্তারকে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে বেধরক মারপিট করে। খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে গৃহবধূর পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে ওই গৃহবধূ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ আব্দুল জব্বার জানান, লাঠির আঘতে গৃহবধূর মাথা ফেটে গেছে। মুক্তিযোদ্ধা ও আমলা পরিচয়ে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ সংবাদ সম্মেলন স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ রাজারহাট উপজেলার নাজিম খান ইউনিয়নে বিরোধপূর্ণ জমির মালিকানা নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম সাধারণ পাঠাগারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। হামলা ও মামলার ঘটনায় দরিদ্র কয়েকটি পরিবার নিঃস্ব হওয়ার পথে। এ সময় রাজারহাট উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রজব আলীসহ ২০ জন মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকার ভুক্তভোগী জনতার ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাইফুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয়, সম্প্রতি কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে শাহ আলম খন্দকার মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে বিরোধপূর্ণ জমি নিজের বলে দাবি করে যে বক্তব্য উপস্থাপন করেন, তা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। প্রকৃতপক্ষে শাহ আলম খন্দকারের পরিবার মামলাবাজ, দাঙ্গাবাজ ও ভূমিদস্যু। তাদের পরিবারের অধিকাংশের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অবৈধ অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে। তারা এলাকার নিরীহ মানুষকে টার্গেট করে বিভিন্নভাবে ফাঁসিয়ে জমি দখল করেন। ভূমিদস্যু এ পরিবারটি আমাদের পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ২ একর ৭০ শতক জমি জবরদখল করার চেষ্টা করছেন।
×