ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় পিতা ও দুই পুত্রসহ সাতজনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ১৮ আগস্ট ২০১৬

জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় পিতা ও দুই পুত্রসহ সাতজনের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, জয়পুরহাট, ১৭ আগস্ট ॥ জয়পুরহাটের জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আব্দুর রহিম বুধবার একটি হত্যা মামলায় পিতা ও দুই পুত্রসহ ৭ জনকে মৃত্যুদ- ও একজনকে যাবজ্জীবন, একই সঙ্গে মুত্যুদ-প্রাপ্ত ৭ জনের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও যাবজ্জীবনপ্রাপ্তকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছর কারাদ-াদেশ দিয়েছেন। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামিরা হলো সদর উপজেলার ধারকী প্রামাণিকপাড়ার ওয়াজেদ আলী (৫৫), তার দুই পুত্র আবুল হাসান দিলীপ (২৫) ও মোঃ আনু (২০), সাবাদুল (৩৮), চৈতন মোল্লা (৪৩), মসির উদ্দিন (৪৮) ও মন্টু (৩০)। যাবজ্জীবন কারাদ- হয়েছে মাহবুব আলম বাবুর। ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর সদর উপজেলার ধারকী ম-লপাড়া গ্রামের আব্দুল মতিন তার ৪ বছরের কন্যা বাঁধনের আকিকার দাওয়াত দেয়ার জন্য একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এ সময় ধারকী বড়াইল প্রামাণিকপাড়ার ওয়াজেদ আলীর বাড়ির কাছে এলে ওয়াজেদ আলী, তার দুই পুত্রসহ ১২/১৩ জন মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে আব্দুল মতিন ও দেলোয়ারের ওপর হামলা চালায় এবং হাঁসুয়া, সামুরাই, কোদাল, লাঠিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে দুইজনকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় আব্দুল মতিন ও দেলোয়ারকে এলাকার কয়েকজন জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে আব্দুল মতিনের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় স্থানান্তরের জন্য চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন। ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যান আব্দুল মতিন। এ ঘটনার পর আব্দুল মতিনের বড় ভাই শাহ আলম জয়পুরহাট থানায় উল্লিখিত আসামিদের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই গোলাম রব্বানি তদন্ত শেষে ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে চার্জশীট দেন। এই মামলা চলাকালে মন্টু পলাতক থাকে। মাগুরায় ৪ জনের যাবজ্জীবন ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, চাঞ্চল্যকর আব্দুর রউফ হত্যা মামলার রায়ে ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত। বুধবার দুপুরে মাগুরার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বেগম মাহফুজা বেগম এ রায় দেন। যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্তরা হচ্ছে- শ্রীপুর উপজেলার বরালিদহ গ্রামের মোহন, সুরত আলী, হাসেম ও পারভেজ। এদের মধ্যে পারভেজ পলাতক রয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত ৪ জনকে খালাস দেয়।
×