ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা, সঙ্গীতানুষ্ঠান

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১৮ আগস্ট ২০১৬

বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা, সঙ্গীতানুষ্ঠান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা, কবিতা পাঠ ও সঙ্গীতানুষ্ঠান হয় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে বুধবার সন্ধ্যায়। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। পাঠ ও আবৃত্তিতে অংশ নেন আবৃত্তিশিল্পী মাসকুর-এ-সাত্তার কল্লোল ও ইকবাল খোরশেদ। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করবে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী। শামসুর রাহমান স্মরণ ॥ কবিতা আর কথামালায় কবি শামসুর রাহমানকে স্মরণ করা হয় কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের সেমিনার হলে বুধবার বিকেলে। বাংলা কবিতার বরপুত্র এ কবির দশম প্রয়াণবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সাংস্কৃতিক সংগঠন আন্তর্জাতিক সাহিত্য সংস্কৃতি সংযোগ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। সংগঠনের সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে কবি শামসুর রাহমানের স্মৃতিচারণ করেন কবি নির্মলেন্দু গুণ, কবি আসাদ মান্নান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষক ড. সাইম রানা, বেগম আখতার কামাল, চিত্রশিল্পী নাজমা আক্তার, সঙ্গীতশিল্পী বাবু রহমান প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শামসুর রাহমান এ দুজন কবিকে একসঙ্গে দেখি। একজন হলো রাজনীতির কবি অন্যজন বাংলা সাহিত্যের। দুজনের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। দুজনই অমর হয়ে আছেন মাটি ও মানুষকে ঘিরে। এ শোকের মাসে আমরা এ দুই মহান ব্যক্তিত্বকে হারিয়েছি। প্রত্যুষে উঠে আমাদের নিজেদের স্বার্থে এদের মতো মহান ব্যক্তিদের স্মরণ করা উচিত। আমি মনেকরি শামসুর রাহমান অক্ষর দিয়ে ছবি আঁকতেন মানুষের জন্য। তিনি ছিলেন একজন সৎ, সমাজসংস্কারক সহিত্যিক। আগামী প্রজন্মের কবিদের উচিত শামসুর রাহমানের মতো কবিদের পদাঙ্ক অনুসরণ করা। কবি নির্মলেন্দু গুণ বলেন, প্রায় ত্রিশ বছরেরও আগে কবি শামসুর রাহমান যখন অসুস্থ হয়ে মহাখালী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, তখন তাঁকে নিয়ে আমি একটি কবিতা লিখেছিলাম। এ কবিতার জন্য তাঁর কাছ থেকে অনুমতিও পেয়েছিলাম তাঁকে শোনানোর। আমার এ কবিতা লেখার পর প্রায় ত্রিশ বছর উনি বেঁচে ছিলেন। আমি আজ এ কবিতা পাঠ করে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে চাই। এরপর তিনি নিজের লেখা ‘শামসুর রাহমানের জন্য এলিজি’ কবিতা আবৃত্তি করেন। সভাপতির বক্তব্যে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, যারা অসাধারণ কাজ করে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন, তাদের আমি মৃত্যুদিবস মনে করি না। আমাদের কবিতা ধারাকে যারা ভিন্ন এক মাত্রা দিয়ে উপস্থাপন করেছেন, তাদের মধ্যে কবি শামসুর রাহমান অন্যতম। তাঁর মৃত্যু হতে পারে না। তিনি মৃত্যুঞ্জয়ী। রাজনীতির স্রোতধারায় সংস্কৃতি যে প্রবহমানতা ছিল, কালের স্রোতে আজ তা পিছিয়ে গেছে। আমাদের তরুণ সমাজই পারে সেই সব কীর্তিমানদের কবিতা প্রবাহ আগামী প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পৌঁছে দিতে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পথিকের স্বাগত বক্তব্যের মধ্যদিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। কবিতা আবৃত্তি করেন কবি বদরুল হায়দার, লিলি হক, মিলন সব্যসাচী প্রমুখ। সবশেষে চাষার পাল সঙ্গীত সংগঠনের শিল্পীদের পরিবেশনায় ছিল সঙ্গীতানুষ্ঠান।
×