ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য উদ্যান ত্রিপুরা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ১৭ আগস্ট ২০১৬

মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য উদ্যান ত্রিপুরা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর

সংবাদদাতা, আগরতলা থেকে ॥ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের চোত্তাখোলায় অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ও শিল্পী হাশেম খান ‘১৯৭১ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’ কর্তৃক বাস্তবায়িত ভাস্কর্য উদ্যানটি মঙ্গলবার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত চোত্তাখোলায় ২০১১ সাল থেকে ত্রিপুরা রাজ্য সরকার ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উদ্যান নির্মাণের কাজ শুরু করে। প্রায় ২২০ একর জমির ওপর নির্মিত এ মৈত্রী উদ্যানের উপদেষ্টাও শিল্পী হাশেম খান ও মুনতাসীর মামুন। ২০১৪ সালে ‘১৯৭১ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’ এবং ত্রিপুরা সরকার যৌথভাবে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যা’ শীর্ষক একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করে। যেখানে গণহত্যা জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন অনুরোধ করেন, ত্রিপুরা রাজ্য জাদুঘরের একটি কক্ষ যাতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও ত্রিপুরার ভূমিকার ওপর সজ্জিত করা হয়। পাশাপাশি নির্মাণাধীন ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উদ্যানে একটি ভাস্কর্য উদ্যানের প্রস্তাব দেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ও ট্রাস্টি তারিক সুজাত। পরবর্তী সময়ে শিল্পী হাশেম খানের নেতৃত্বে এবং অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের পরিকল্পনায় শুরু হয় ভাস্কর্য উদ্যান নির্মাণের কাজ। এখানে চারটি ভাস্কর্য স্থান পেয়েছে। খ্যাতিমান শিল্পী হাশেম খানের ‘গণহত্যা ১৯৭১’ শিরোনামে একটি ভাস্কর্য উদ্যান নির্মাণে নানাভাবে সহায়তা করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, স্থানীয় এমএলএ সুধন দাস, সিপিআই (এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গৌতম দাশ, স্থানীয় পঞ্চায়েত চেয়ারপার্সন রতœা দাস ও বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ভাস্কর্য উদ্যান নির্মাণে গনহত্যা জাদুঘরকে সহায়তা করেছে বাংলাদেশের দি ফার্মার্স ব্যাংক, হাশেম খান-পাভিন ট্রাস্ট ও গণহত্যা জাদুঘর ট্রাস্ট। ইতোমধ্যে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী, স্থানীয় লোকজন, আগত দর্শণার্থী ও সরকারের সংশ্লিষ্ট লোকজন উদ্যানটির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। রাজ্য সরকারের একটি সূত্রে জানা যায়, এ বছরের কোন এক সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যৌথভাবে ভাস্কর্য উদ্যানটিসহ মৈত্রী উদ্যানটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। ভেজাল সিমেন্ট, রং ও রাসায়নিক তৈরির ছয় কারখানাকে জরিমানা স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর লালবাগ এলাকায় ভেজাল সিমেন্ট, রং ও রাসায়নিক দ্রব্য তৈরির দায়ে ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে র‌্যাব। র‌্যাব-২ পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এ আদেশ প্রদান করেন। মঙ্গলবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বেড়িবাঁধ এলাকায় বেশ কয়েকটি কারখানায় অভিযান চালায়। প্রতিটি কারখানায় দেখা যায় বিদেশী সব নামী দামী ব্র্যান্ডের সিমেন্ট, চক পাউডার, ও প্লাস্টিক পণ্য তৈরির কাঁচামালের মজুদ।
×