ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মোজাম্মেল খান

বঙ্গবন্ধু ॥ কিছু অম্লান স্মৃতি

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ১৭ আগস্ট ২০১৬

বঙ্গবন্ধু ॥ কিছু অম্লান স্মৃতি

প্রায় প্রত্যেক জাতির ইতিহাসে, বিশেষ করে সে জাতি যদি পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকে, এমন কোন ব্যক্তিত্বের আবির্ভাব ঘটে তিনি সে জাতির ইতিহাস নিয়ন্ত্রণ করেন, উপনিবেশবাদের অন্ধকার থেকে জাতিকে স্বাধীনতার আলোক সমুদ্রে নিয়ে আসেন। বাঙালীর মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসের রাখাল রাজা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। শেখ মুজিবের কঠোর সমালোচকরাও তার গভীর দেশপ্রেম এবং কিংবদন্তির সাহসিকতা নিয়ে কোন দিনও প্রশ্ন তোলেননি। মানুষ হিসেবে দোষ-গুণ স্বীকার করে নিয়েও এ কথা বিনা দ্বিধায় বলা যায় যে, শেখ মুজিব ছিলেন এ মাটির শ্রেষ্ঠ সন্তান, সম্ভবত সর্বকালের। শেরেবাংলা, সোহ্রাওয়ার্দী এবং মওলানা ভাসানীর প্রতি চরম শ্র্রদ্ধা রেখে আমি বাঙালীর ইতিহাসে এমন কাউকে জানি না যিনি শেখ মুজিবের আসন টলাতে পারেন। আমাদের মুক্তি সংগ্রামের নিরবচ্ছিন্ন ইতিহাসের একজন নিবেদিত পর্যবেক্ষক হিসেবে, একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের প্রত্যক্ষ অংশীদার হিসেবে আমি বিনাদ্বিধায় এ কথাগুলো বলছি। ষাটের দশকের শেষার্ধের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে শেখ মুজিবকে জানার আগ্রহ এবং সুযোগ আমরা পেয়েছিলাম। দূর থেকে বা জনসভাতে তাকে অনেকবার দেখেছি, কিন্তু কাছ থেকে তাকে দেখার এবং কথা বলার সুযোগ কয়েকবার পেয়েছি দেশে এবং বিদেশে। স্মৃতি থেকে সে কথাগুলো বলার জন্যই এ লেখার অবতারণা। বঙ্গবন্ধুকে প্রথম কাছে থেকে দেখি ১৯৭০ সালের সম্ভবত জুন মাসে। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ তখন একটা সেমিনারের আয়োজন করছিল ৬ দফার অর্থনৈতিক যৌক্তিকতা শীর্ষক। বঙ্গবন্ধুকে প্রধান অতিথি হিসেবে নিমন্ত্রণ করার জন্য আমরা ৪ জন, ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নূরুন্নবী খান (পরে কর্নেল এসআইএম নূরুন্নবী খান বীরবিক্রম, জিয়াউর রহমানের সময়ে একটা সামরিক অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত), আমার দুই সহপাঠী বন্ধু ইনু (বর্তমান তথ্যমন্ত্রী) এবং আম্বিয়া (বর্তমান জাসদ নেতা) এবং আমি বঙ্গবন্ধুর বাসভবন ধানম-ির সেই বিখ্যাত ৩২ নম্বর রোডে দেখা করলাম। আমাদের এ সাক্ষাতের ব্যবস্থা অবশ্য করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর সেদিনের অতি প্রিয় স্নেহভাজন সিরাজুল আলম খান। বঙ্গবন্ধু আমাদের নিয়ে ড্রয়িংরুমে বসালেন। নূরুন্নবী খান নিজের পরিচয় দিয়ে আমাদের বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে চাইলেন। খুবই খুশি হলেন দেশের মাঝে এমন একটা আদর্শনীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে জেনে। সবশেষে আমরা আসল উদ্দেশের কথা বললাম। শুনে বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘আমি তো খুবই ব্যস্ত, তোরা বরঞ্চ কামালকে (ড. কামাল হোসেন) নিয়ে যা, ও খুব ভাল ব্যাখা করতে পারে অর্থনৈতিক দিকটা নিয়ে। এ ছাড়া রেহমান সোবহান (অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান) এবং ড. জনসনকে (বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত তুখোড় সিএসপি খান শামসুর রহমান) নিতে পারিস। ওরা সবাই ভাল বলতে পারে।’ তখন ধারণা করা হচ্ছিল বঙ্গবন্ধু লালবাগ এলাকা থেকে শক্তিশালী মুসলিম লীগ প্রার্থী খাজা খয়েরউদ্দিনের বিরুদ্ধে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সুযোগ পেয়ে ইনু বলল, ‘বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু লালবাগ নির্বাচনী এলাকায়। ভোটের সময় কিন্তু আমরা এটা ভুলব না।’ সঙ্গে সঙ্গেই বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘ভয় দেখাচ্ছিস মনে হচ্ছে, সেটা হলে আমি ফরিদপুরে গিয়ে নির্বাচন করব।’ সঙ্গে সঙ্গে আমি বললাম, ‘আমি কিন্তু ওখানকার ভোটার; আমারও কিন্তু মনে থাকবে আপনি না গেলে আমাদের অনুষ্ঠানে।’ আমার কথা শুনে বঙ্গবন্ধু হেসে ফেললেন। ‘তাহলে দেখি রাজনীতি থেকে অবসরই নিতে হবে’, বঙ্গবন্ধু উত্তর দিলেন। আমাদের অবশ্য সেদিন নিরাশ হয়েই ফিরে আসতে হয়েছিল। ’৭২-এর এপ্রিল মাসে। দেশ তখন যুদ্ধবিধ্বস্ত আমরা প্রায় তিন শতাধিক প্রকৌশলী পাস করে বেরিয়েছি, কিন্তু চাকরির অবস্থা খুবই খারাপ। সব মন্ত্রণালয়েই নিয়োগ বন্ধ। আমাদের সবারই অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। সমস্যা সমাধানের জন্য সদ্য পাস করা ইঞ্জিনিয়ারদের একটা সভা ডাকা হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। প্রায় শ’দুয়েক প্রকৌশলী এ সভায় হাজির হয়। সভার শুরুতেই সহপাঠী বন্ধু মহিউদ্দিন (পরে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. গোলাম মহিউদ্দিন, ২০০৪ সালে ১৮ এপ্রিলে ক্যান্সারে প্রয়াত) সভায় সভাপতিত্ব করার জন্য আমার নাম প্রস্তাব করে বসে। আমি এর জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না। সভায় আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে আমরা প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করব এবং আমাদের সমস্যা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলাপ করব। কোন এ্যাপয়েন্টমেন্ট না করে অফিসে যাওয়ার আগে বাসায় গিয়ে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ দলের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য আমাকে নির্বাচিত করা হয়। তবে আমি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সহপাঠী মুস্তাফিজ (মুস্তাফিজুর রহমান, পরে ঘোড়াশাল সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক থেকে অবসরপ্রাপ্ত) আমার সঙ্গে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য অনুরোধ করি। নির্ধরিত দিনে প্রায় পঞ্চাশ জন নতুন প্রকৌশলীর একটা দল নিয়ে আমি এবং মোস্তাফিজ বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর রোডের বাসভবনে পৌঁছি সকাল আটটার আগে। বাড়িতে ঢুকতে আমাদের তেমন কেউ বাধা দেয়নি। দেখলাম অভ্যর্থনাকারী এক ভদ্রলোক বসে আছেন অতি সাধারণ সেই ড্রয়িংরুমে। তাকে আমাদের পরিচয় এবং আগমনের উদ্দেশ বললাম। ভদ্রলোক ওই বাড়িতেই থাকেন বলে মনে হলো। এমন একজন বঙ্গবন্ধুর আত্মীয়কে আমাদের কথা বলতেই তিনি দোতলায় উঠে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে আমাদের কথা জানালেন। সম্ভবত পাঁচ মিনিটের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু নিচে নেমে এলেন। পরনে লুঙ্গি, হাফশার্ট এবং পায়ে স্যান্ডেল, তখনও সেভ করেননি, হাসিমুখে আমাদের সেই প্রিয় নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু আমাদের দিকে এগিয়ে এলেন। আমি ও মুস্তাফিজ সামনে এগিয়ে গিয়ে সালাম দিতেই বঙ্গবন্ধু আমাকে ডান কোল এবং মুস্তাফিজকে বাঁ কোলে জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘বাথরুমে ঢুকেছিলাম, বাইরে থেকে কে যেন বলল, নতুন ইঞ্জিনিয়াররা এসেছে, তখন ভাবলাম ইঞ্জিনিয়াররা যখন আমার বাড়িতে এসেছে তখন দেশের অবস্থা নিশ্চয়ই খুব খারাপ, তাই বাথরুম না শেষ করেই বেরিয়ে আসলাম।’ আমি এবং মুস্তাফিজ আমাদের সমস্যার কথা বললাম। বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘দেশের যে কি অবস্থা সেটা তো তোরাই আমার থেকে ভাল জানিস। তোরাই তো যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিস। তোরা তো এদেশের সেরা সন্তান। দেশ গড়বি বলেই তো স্বাধীন করেছিস। হয়ত গুছিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগবে।’ আমি বললাম, ‘বঙ্গবন্ধু আমরা দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত হতে চাই, আমরা বেতন চাই না, আপাতত আমাদের কিছু ভাতা দিলেই চলবে।’ আমার কথাটা বঙ্গবন্ধু খুব পছন্দ করলেন বলে মনে হলো। বললেন, ‘আমি সব মন্ত্রীকে নির্দেশ দেব, যার মন্ত্রণালয়ে যতটা ইঞ্জিনিয়ারের পোস্ট খালি আছে সেগুলোতে অতি শীঘ্র নিয়োগ দিতে। তোরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করে এ কথাগুলো বলতে পারিস।’ বঙ্গবন্ধুর উপদেশ মোতাবেক আমরা কয়েক মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলাম এবং কয়েক মাসের মধ্যেই আমাদের প্রত্যেকেই একাধিক চাকরি পেয়েছিল। বলাবাহুল্য আমরা সবাই বেতন নিয়েই চাকরি করেছিলাম। বঙ্গবন্ধুকে কাছ থেকে দেখার শেষ সুযোগ এসেছিল দেশের বাইরে। ১৯৭৩ সালের সম্ভবত সেপ্টেম্বর মাস হবে। আমি তখন যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সচেঞ্জ স্টুডেন্ট হিসেবে ফোর্ড ফাউন্ডেশনের বৃত্তি নিয়ে ম্যানিলাতে এপ্রোপ্রিয়েট টেকনোলজির ওপর গবেষণা করছিলাম। বঙ্গবন্ধু জাপানে সরকারী সফর শেষে ফেরার পথে ম্যানিলাতে কয়েক ঘণ্টার জন্য যাত্রাবিরতি করেন। ম্যানিলাতে বাংলাদেশের তদানীন্তন অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত খুররম খান পন্নী আমাদের ৫-৬ জন ছাত্রসহ এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কয়েক বাঙালী কর্মকর্তাকে এয়ারপোর্টে ভিআইপি লাউঞ্জে নিয়ে যান বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করানোর জন্য। বঙ্গবন্ধুর সফর সঙ্গীদের মাঝে তার কন্যা রেহানা এবং ছেলে রাসেলও ছিল। বঙ্গবন্ধুকে ভিআইপি লাউঞ্জে একে একে আমাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন রাষ্ট্রদূত পন্নী সাহেব। আমার সঙ্গে করমর্দনের সময় বঙ্গবন্ধু আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘তোমাকে কোথাও দেখেছি মনে হয়।’ আমি জবাব দেয়ার আগেই বঙ্গবন্ধুর সফরসঙ্গী তোফায়েল আহমেদ আমার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বিবরণ বঙ্গবন্ধুকে দিয়ে দিলেন। আমি এপ্রোপ্রিয়েট টেকনোলজির ওপর গবেষণা করছি জেনে বঙ্গবন্ধু খুবই খুশি হয়েছিলেন (ওই গবেষণার ফসল দিয়ে পরবর্তীতে নাসা প্যাটেন্ট তৈরি করেছে এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাদের বিশেষ জার্নালে প্রকাশ করেছে)। আমাদের সবার সঙ্গে খুবই আন্তরিকতা নিয়ে গল্প করেছিলেন তিনি। এয়ারপোর্ট থেকে হেলিকপ্টারে করে প্রেসিডেন্ট মার্কোসের মালাকানিয়াং প্রাসাদে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। কয়েক ঘণ্টা পরে ফেরার পথে মার্কোস এসেছিলেন বিমানবন্দরে অতিথিকে বিদায় জানাতে। আমার ঠিক পাশে দাঁড়ানো মার্কোসকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন শেখ মুজিব সম্পর্কে তার অভিমত চেয়ে। জবাবে মার্কোস বলেছিলেন, ‘পৃথিবীতে যে কয়জন মুষ্টিমেয় নেতা তাদের জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্ত করেছেন, শেখ মুজিব তাদের অন্যতম। তার মতন মানুষের সাক্ষাত পেয়ে আমি নিজেকে গর্বিত এবং সৌভাগ্যমান মনে করছি। তিনি হলেন এক গৌরবময় ইতিহাসের নিয়ন্ত্রক। আমরা অন্যরা স্ব-স্ব দেশের ইতিহাসের এক একজন চরিত্র মাত্র।’ মার্কোসের এ কথাগুলো আমার অন্তর থেকে এখনও মুছে যায়নি বিশেষ করে এ জন্য যে, গত চার দশকের বেশিরভাগ সময়ই ইতিহাসের সে অবিসংবাদিত নিয়ন্ত্রক তার সৃষ্ট ইতিহাস থেকেই নির্বাসিত ছিলেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। ১৯৯৬ সালে থেকে ঘোষিত এবং পালিত এ শোক দিবস ২০০১ সালে বিএনপি সরকার চরম প্রতিহিংসা পরায়ণতায় বাতিল করে। ইতিহাসের সে এক চরম অন্ধকারাচ্ছন অবস্থার মাঝেও ২০০৮ সালে আলোর ঝলকানির মতো বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দুই বিচারপতি তাদের দেয়া এক ঐতিহাসিক রায়ে জাতীয় শোক দিবসের পুনরুজ্জীবন ঘটিয়ে প্রকারান্তরে স্বাধীনতা নামের এক অমর কাব্যের কবির প্রতি নিবেদন করেছেন শ্রদ্ধার নৈবেদ্য। এ সুবিবেচনার জন্য সমগ্র জাতির অভিবাদন তাদের প্রতি। একইভাবে সেদিনের তত্ত্ব¡াবধায়ক সরকার মহামান্য আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান জানিয়ে শোকাবহ ১৫ আগষ্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পুনর্প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সমগ্র জাতির ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। এর আগে পাঠ্যপুস্তকে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংযোজনের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের জন্য সমগ্র জাতির গভীর ধন্যবাদ তাদের প্রাপ্য। লেখক : কানাডা প্রবাসী অধ্যাপক
×